১১:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
পীর বাঙ্গাল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ

পীর সাবের শাহ কে? তার পরিচয়,কর্ম জীবন ও খ্যাতি সম্পর্কে বিস্তারিত।

Mufty Sheikh Imran
  • আপডেট সময়ঃ ০৩:০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৫৮ বার পড়া হয়েছে।

পীর সাবের শাহ

পীর বাঙ্গাল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মা.জি.আ.) সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হলো — পরিচয়, কর্ম-জীবন, এবং খ্যাতি।

জায়গায় তথ্যের স্পষ্টতা কম থাকতে পারে, কারণ বিভিন্ন উৎসে তথ্য মিলছে-মমিলছে।


পরিচয়

পূর্ণ নাম সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ। খেতাবে পরিচিত “পীর সাবির শাহ” বা “পীর বাঙ্গাল”।
তাঁর পৈতৃক বাড়ি সিরিকোট (Sirikote), হারিপুর (Haripur), খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ, পাকিস্তানেই।


তিনি আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (Serikoti) এর উত্তরসূরি। তাঁর পিতা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রাহ.) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ও আধ্যাত্মিক নেতা।

তিনি হিজরি সংক্ষেপে “মা.জি.আ.” খেতাব পেয়ে থাকেন,

যা পূর্ণ হতে পারে “মাওলানাহ, যেভাবে জানি, জমায়াতে আলেমিয়া” বা তার মতো কোন আধ্যাত্মিক/ধর্মীয় সম্মানসূচক টাইটেল।

( মিলাদ কিয়াম: ১১০টি বহুল আলোচিত প্রশ্ন ও উত্তর (দলিলসহ)

কর্ম-জীবন ও অবদান-
পীর সাবির শাহ এর ধর্মীয়, শিক্ষা, আধ্যাত্মিক ও সামাজিক কাজগুলো নিম্নরূপ:</p>

খেলাফত ও আধ্যাত্মিক দায়িত্ব-
তিনি খেলাফত পেয়েছেন তাঁর পিতা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রহ.) থেকে।
আধ্যাত্মিক তরিকত ও শরীয়ত বিষয়ে নেতৃত্ব দেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা-

সিরিকোট এ একটি “Tayyabul Uloom Educational Complex” প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেখানে আধুনিক ও ইসলামি শিক্ষা যুগপৎ দেওয়া

হয়।

চট্টগ্রামে “Jamea Ahmedia Sunnia Mohila Madrasa” প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা মহিলাদের শিক্ষা দানে সক্রিয়।

সংগঠনের কাজ
আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ-এর এক বড় ধর্মীয় সংগঠন-এর এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট।

ট্রাস্টের মাধ্যমে ধর্মপ্রচার, শিক্ষা, সামাজিকভাবে বিভিন্ন ধর্মীয় মাহফিল আয়োজন ও মানবিক কাজ করা হয়।

বিভিন্ন দেশের সফর ও মুসলিম উম্মাহ ও ইসলামী ভাইচারা বৃদ্ধিতে কাজ করেছেন।

মাহফিল, জশনে-জুলুস ও ধর্মীয় উপলক্ষ-
প্রতি বছর চট্টগ্রামে জশনে-জুলুসে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী-এর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তিনি নেতৃত্ব দেন।

ধর্মীয় বক্তৃতা ও সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন, মানুষকে ধর্ম প্রচার ও নৈতিকতার দিক নির্দেশনা দেন।

খ্যাতি ও প্রভাব-
তাঁর ধর্মীয় কর্মকাণ্ড ও শিক্ষাগত প্রতিষ্ঠান-সম্প্রসারণের কারণে বাংলাদেশে বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলে

অনেক অনুসারী ও শ্রোতা রয়েছে।“পীর বাঙ্গাল” হিসেবে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন।

“বাঙ্গাল” শব্দটি বোঝায় বাঙালি মুসলিমদের মধ্যে তার আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় জনপ্রিয়তা।

সংবাদমাধ্যমে তাঁর ভাষণ ও মতামত প্রচারিত হয় এবং মুসলিম জনতার মাঝে ধর্মীয় ও নৈতিক বিষয়ে প্রভাব রাখে

পীর সাবির শাহর রাজনৈতিক জীবনকালের সময়রেখা-
১৯৮৫ – প্রথমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও বিজয়।

১৯৮৮ – পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) থেকে নির্বাচন করে জয়ী হন।
১৯৯০ – পুনরায় একই আসনে বিজয়ী হন।

২০ অক্টোবর ১৯৯৩ – খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ।
২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪ – মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়।

১৯৯৭-১৯৯৯ – প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন।
২0০৮-২০১৩ – খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

১৮ মার্চ ২০১৮ – পাকিস্তানের সিনেটের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ।
২০১৮-২০২৪ – সিনেটে তাঁর মেয়াদ অব্যাহত থাকে এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যান।

( মিলাদ কিয়াম: ১১০টি বহুল আলোচিত প্রশ্ন ও উত্তর (দলিলসহ)

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

পীর বাঙ্গাল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ

পীর সাবের শাহ কে? তার পরিচয়,কর্ম জীবন ও খ্যাতি সম্পর্কে বিস্তারিত।

আপডেট সময়ঃ ০৩:০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পীর বাঙ্গাল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মা.জি.আ.) সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হলো — পরিচয়, কর্ম-জীবন, এবং খ্যাতি।

জায়গায় তথ্যের স্পষ্টতা কম থাকতে পারে, কারণ বিভিন্ন উৎসে তথ্য মিলছে-মমিলছে।


পরিচয়

পূর্ণ নাম সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ। খেতাবে পরিচিত “পীর সাবির শাহ” বা “পীর বাঙ্গাল”।
তাঁর পৈতৃক বাড়ি সিরিকোট (Sirikote), হারিপুর (Haripur), খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ, পাকিস্তানেই।


তিনি আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (Serikoti) এর উত্তরসূরি। তাঁর পিতা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রাহ.) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ও আধ্যাত্মিক নেতা।

তিনি হিজরি সংক্ষেপে “মা.জি.আ.” খেতাব পেয়ে থাকেন,

যা পূর্ণ হতে পারে “মাওলানাহ, যেভাবে জানি, জমায়াতে আলেমিয়া” বা তার মতো কোন আধ্যাত্মিক/ধর্মীয় সম্মানসূচক টাইটেল।

( মিলাদ কিয়াম: ১১০টি বহুল আলোচিত প্রশ্ন ও উত্তর (দলিলসহ)

কর্ম-জীবন ও অবদান-
পীর সাবির শাহ এর ধর্মীয়, শিক্ষা, আধ্যাত্মিক ও সামাজিক কাজগুলো নিম্নরূপ:</p>

খেলাফত ও আধ্যাত্মিক দায়িত্ব-
তিনি খেলাফত পেয়েছেন তাঁর পিতা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রহ.) থেকে।
আধ্যাত্মিক তরিকত ও শরীয়ত বিষয়ে নেতৃত্ব দেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা-

সিরিকোট এ একটি “Tayyabul Uloom Educational Complex” প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেখানে আধুনিক ও ইসলামি শিক্ষা যুগপৎ দেওয়া

হয়।

চট্টগ্রামে “Jamea Ahmedia Sunnia Mohila Madrasa” প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা মহিলাদের শিক্ষা দানে সক্রিয়।

সংগঠনের কাজ
আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ-এর এক বড় ধর্মীয় সংগঠন-এর এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট।

ট্রাস্টের মাধ্যমে ধর্মপ্রচার, শিক্ষা, সামাজিকভাবে বিভিন্ন ধর্মীয় মাহফিল আয়োজন ও মানবিক কাজ করা হয়।

বিভিন্ন দেশের সফর ও মুসলিম উম্মাহ ও ইসলামী ভাইচারা বৃদ্ধিতে কাজ করেছেন।

মাহফিল, জশনে-জুলুস ও ধর্মীয় উপলক্ষ-
প্রতি বছর চট্টগ্রামে জশনে-জুলুসে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী-এর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তিনি নেতৃত্ব দেন।

ধর্মীয় বক্তৃতা ও সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন, মানুষকে ধর্ম প্রচার ও নৈতিকতার দিক নির্দেশনা দেন।

খ্যাতি ও প্রভাব-
তাঁর ধর্মীয় কর্মকাণ্ড ও শিক্ষাগত প্রতিষ্ঠান-সম্প্রসারণের কারণে বাংলাদেশে বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলে

অনেক অনুসারী ও শ্রোতা রয়েছে।“পীর বাঙ্গাল” হিসেবে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন।

“বাঙ্গাল” শব্দটি বোঝায় বাঙালি মুসলিমদের মধ্যে তার আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় জনপ্রিয়তা।

সংবাদমাধ্যমে তাঁর ভাষণ ও মতামত প্রচারিত হয় এবং মুসলিম জনতার মাঝে ধর্মীয় ও নৈতিক বিষয়ে প্রভাব রাখে

পীর সাবির শাহর রাজনৈতিক জীবনকালের সময়রেখা-
১৯৮৫ – প্রথমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও বিজয়।

১৯৮৮ – পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) থেকে নির্বাচন করে জয়ী হন।
১৯৯০ – পুনরায় একই আসনে বিজয়ী হন।

২০ অক্টোবর ১৯৯৩ – খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ।
২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪ – মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়।

১৯৯৭-১৯৯৯ – প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন।
২0০৮-২০১৩ – খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

১৮ মার্চ ২০১৮ – পাকিস্তানের সিনেটের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ।
২০১৮-২০২৪ – সিনেটে তাঁর মেয়াদ অব্যাহত থাকে এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যান।

( মিলাদ কিয়াম: ১১০টি বহুল আলোচিত প্রশ্ন ও উত্তর (দলিলসহ)