১০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআত হলো সেই দল, যারা রাসূলুল্লাহ ﷺ এবং তাঁর সাহাবীদের পথে চলে

আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতই একমাত্র সঠিক আক্বিদা কেন ?

সুজাত আশরাফি
  • আপডেট সময়ঃ ১১:০৪:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / ১১৪ বার পড়া হয়েছে।

আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআত হলো সেই দল, যারা রাসূলুল্লাহ ﷺ এবং তাঁর সাহাবীদের পথে চলে

আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতই একমাত্র সঠিক আক্বিদা কেন ?

— এই প্রশ্নটির উত্তর ইসলামের মূল উৎস, অর্থাৎ কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে বিশ্লেষণ করলেই পাওয়া যায়। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআত হলো সেই দল, যারা রাসূলুল্লাহ ﷺ এবং তাঁর সাহাবীদের পথে চলে, এবং দ্বীনের মৌলিক বিষয়ে তাদের অনুসরণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। নিচে এর বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো।


১. আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সংজ্ঞা-

আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআত শব্দগুচ্ছের অর্থ:

  • আহলুস সুন্নাত: সুন্নাহ বা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পথ অনুসরণকারী।

  • আল-জামাআত: সাহাবায়ে কিরামের পথ অনুসরণকারী ঐক্যবদ্ধ দল।

অর্থাৎ, তারা সেই সব মুসলিম, যারা কুরআন ও সহীহ হাদীসকে বুঝতে সাহাবায়ে কিরামের ব্যাখ্যা অনুযায়ী গ্রহণ করে এবং বিদআত ও গোমরাহী থেকে নিজেদের রক্ষা করে।


২. রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ভবিষ্যদ্বাণী-

রাসূলুল্লাহ ﷺ স্পষ্টভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে মুসলিমরা দলাদলিতে বিভক্ত হবে:

হাদীস:

“ইহুদিরা ৭১টি দলে বিভক্ত হয়েছে, খ্রিস্টানরা ৭২টি দলে বিভক্ত হয়েছে, আর আমার উম্মত ৭৩টি দলে বিভক্ত হবে — এদের মধ্যে একটি দল ছাড়া সবাই জাহান্নামে যাবে।”
সাহাবারা বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল! সেই দল কোনটি?”
তিনি বললেন, “যা আমি এবং আমার সাহাবীরা আজ যে পথে আছি।”
— (তিরমিজি: ২৬৪১, সহীহ)

এই হাদীসটি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিচ্ছে, যে দল রাসূলুল্লাহ ﷺ ও সাহাবীদের আক্বিদা ও আমলের পথ অনুসরণ করবে, তারাই নাজাতপ্রাপ্ত দল। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতই সেই দল, যারা নিজেদের আক্বিদা ও মানহাজ গঠনে সাহাবাদের পদ্ধতি অনুসরণ করে।


৩. কুরআনের দলিল-

আল্লাহ বলেন:

“আর যে কেউ রাসূলের বিরোধিতা করে সরল পথ পরিস্কারভাবে জেনে যাওয়ার পর এবং মুমিনদের পথ ছাড়া অন্য পথে চলে, আমরা তাকে সেদিকেই ফিরিয়ে দেব যে দিকে সে ফিরতে চায় এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব, আর সেটি কতই না মন্দ গন্তব্য।”
— (সূরা আন-নিসা: ১১৫)

এখানে ‘মুমিনদের পথ’ বলতে সাহাবাদের পথ বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সাহাবাদের পথ ছাড়া অন্য কোনো পথ গ্রহণকারী বিভ্রান্ত হবে।


৪. সাহাবায়ে কিরামের অবস্থান-

সাহাবায়ে কিরাম ছিলেন সরাসরি নবী ﷺ-র কাছ থেকে দ্বীন গ্রহণকারী এবং কুরআনের জীবন্ত অনুবাদ। তাঁদের পথই প্রকৃত ইসলামের মানদণ্ড।

ইবনে মাসউদ (রাযি.) বলেন:

“যারাই সঠিক পথে চলতে চাও, তাদের পথ অনুসরণ করো যারা মৃত্যুবরণ করেছে (অর্থাৎ সাহাবীরা)। কারণ জীবিত ব্যক্তির উপর গোমরাহির আশঙ্কা থাকে। সাহাবীরাই ছিলেন এই উম্মতের সবচেয়ে উত্তম, অন্তরে পবিত্র, জ্ঞানে গভীর এবং অহঙ্কারমুক্ত।”
— (জামে বায়ানুল ইলম: ১৮১০)


৫. ইমামদের মতামত-

সকল প্রখ্যাত ইমাম যেমন: ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিক, ইমাম শাফিঈ, ইমাম আহমদ বিন হাম্বল— তাঁরা সকলেই কুরআন, সুন্নাহ ও সাহাবায়ে কিরামের পথকে শ্রেষ্ঠ ও সঠিক বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাঁরা বিদআত ও দলগত বিভাজনের বিরোধিতা করেছেন।

ইমাম মালিক (রহ.) বলেন:

“এই উম্মতের প্রথম প্রজন্ম যে পথে ছিল, কেউ যদি তা ছাড়া অন্য কোনো পথে সফল হতে চায়, তবে সে কখনো সফল হবে না।”
— (আল-ইতিসাম, শাতিবী)


৬. বিদআতী ও গোমরাহ ফেরকাসমূহ-

ইসলামের ইতিহাসে বহু বিভ্রান্ত ফেরকা সৃষ্টি হয়েছে: খারিজি, শিয়া, কাদিয়ানী, বাতিনী, রাফেদী, মুতাযিলা, জাহমিয়া, ইত্যাদি। তারা হয় রাসূলের সুন্নাহ থেকে বা সাহাবাদের বুঝ থেকে বিচ্যুত হয়েছে।অথচ রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:“তোমরা আমার সুন্নাহ ও আমার প্রতিনিধি তথা খলিফাগণের সুন্নাহ আঁকড়ে ধরো…”— (আবু দাউদ: ৪৬০৭)

এ থেকে বোঝা যায়, সুন্নাহ এবং সাহাবীদের পথে চলা ছাড়া ইসলাম পরিপূর্ণ হয় না।


৭. আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বৈশিষ্ট্য

১. কুরআন ও সহীহ হাদীস নির্ভরতা-তাদের আক্বিদার ভিত্তি কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ।

২. সাহাবা ও সালাফের ফাহম অনুযায়ী বুঝ-তারা দ্বীন বুঝে সালাফে সালেহীনের ব্যাখ্যায়।

৩. বিদআতের বিরোধিতা-তারা দ্বীনে নতুন সংযোজন বা বিকৃতি (বিদআত) থেকে বিরত থাকে।

৪. উম্মতের ঐক্যকে গুরুত্ব দেয়া-তারা দলাদলি ও ফিরকা বিভেদ থেকে বিরত থেকে উম্মতের ঐক্য বজায় রাখে।


৮. সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিকতা-

বর্তমানে বহু তথাকথিত ইসলামী ফেরকা নিজেকে ‘সত্য’ দাবি করে, কিন্তু তাদের আক্বিদা ও আমল যাচাই করলে দেখা যায় তা কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বৈশিষ্ট্য হলো: তারা নিজেকে “সত্য” দাবি করে না শুধু মুখে, বরং দলিল দ্বারা প্রমাণ করে।


ইসলামের প্রকৃত রূপ, বিশুদ্ধ আক্বিদা এবং সরল পথ কেবল আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মধ্যেই রয়েছে, কারণ:

  • তারা কুরআন ও সহীহ হাদীসের অনুসরণ করে।

  • তারা সাহাবায়ে কিরামের ব্যাখ্যা অনুযায়ী দ্বীন বুঝে।

  • তারা দলাদলি ও গোমরাহি থেকে বিরত থাকে।

  • তারা বিদআত থেকে নিজেদের রক্ষা করে।

অতএব, কুরআন ও সহীহ হাদীস এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ-র ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতই একমাত্র নাজাতপ্রাপ্ত দল এবং সঠিক আক্বিদার বাহক।


রেফারেন্স-

  1. সহীহ তিরমিজি: হাদীস ২৬৪১

  2. সূরা আন-নিসা: আয়াত ১১৫

  3. আল-ইতিসাম – শাতিবী

  4. জামে বায়ানুল ইলম – ইবনে আবি শাইবা

  5. সহীহ আবু দাউদ: হাদীস ৪৬০৭

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআত হলো সেই দল, যারা রাসূলুল্লাহ ﷺ এবং তাঁর সাহাবীদের পথে চলে

আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতই একমাত্র সঠিক আক্বিদা কেন ?

আপডেট সময়ঃ ১১:০৪:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতই একমাত্র সঠিক আক্বিদা কেন ?

— এই প্রশ্নটির উত্তর ইসলামের মূল উৎস, অর্থাৎ কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে বিশ্লেষণ করলেই পাওয়া যায়। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআত হলো সেই দল, যারা রাসূলুল্লাহ ﷺ এবং তাঁর সাহাবীদের পথে চলে, এবং দ্বীনের মৌলিক বিষয়ে তাদের অনুসরণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। নিচে এর বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো।


১. আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সংজ্ঞা-

আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআত শব্দগুচ্ছের অর্থ:

  • আহলুস সুন্নাত: সুন্নাহ বা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পথ অনুসরণকারী।

  • আল-জামাআত: সাহাবায়ে কিরামের পথ অনুসরণকারী ঐক্যবদ্ধ দল।

অর্থাৎ, তারা সেই সব মুসলিম, যারা কুরআন ও সহীহ হাদীসকে বুঝতে সাহাবায়ে কিরামের ব্যাখ্যা অনুযায়ী গ্রহণ করে এবং বিদআত ও গোমরাহী থেকে নিজেদের রক্ষা করে।


২. রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ভবিষ্যদ্বাণী-

রাসূলুল্লাহ ﷺ স্পষ্টভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে মুসলিমরা দলাদলিতে বিভক্ত হবে:

হাদীস:

“ইহুদিরা ৭১টি দলে বিভক্ত হয়েছে, খ্রিস্টানরা ৭২টি দলে বিভক্ত হয়েছে, আর আমার উম্মত ৭৩টি দলে বিভক্ত হবে — এদের মধ্যে একটি দল ছাড়া সবাই জাহান্নামে যাবে।”
সাহাবারা বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল! সেই দল কোনটি?”
তিনি বললেন, “যা আমি এবং আমার সাহাবীরা আজ যে পথে আছি।”
— (তিরমিজি: ২৬৪১, সহীহ)

এই হাদীসটি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিচ্ছে, যে দল রাসূলুল্লাহ ﷺ ও সাহাবীদের আক্বিদা ও আমলের পথ অনুসরণ করবে, তারাই নাজাতপ্রাপ্ত দল। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতই সেই দল, যারা নিজেদের আক্বিদা ও মানহাজ গঠনে সাহাবাদের পদ্ধতি অনুসরণ করে।


৩. কুরআনের দলিল-

আল্লাহ বলেন:

“আর যে কেউ রাসূলের বিরোধিতা করে সরল পথ পরিস্কারভাবে জেনে যাওয়ার পর এবং মুমিনদের পথ ছাড়া অন্য পথে চলে, আমরা তাকে সেদিকেই ফিরিয়ে দেব যে দিকে সে ফিরতে চায় এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব, আর সেটি কতই না মন্দ গন্তব্য।”
— (সূরা আন-নিসা: ১১৫)

এখানে ‘মুমিনদের পথ’ বলতে সাহাবাদের পথ বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সাহাবাদের পথ ছাড়া অন্য কোনো পথ গ্রহণকারী বিভ্রান্ত হবে।


৪. সাহাবায়ে কিরামের অবস্থান-

সাহাবায়ে কিরাম ছিলেন সরাসরি নবী ﷺ-র কাছ থেকে দ্বীন গ্রহণকারী এবং কুরআনের জীবন্ত অনুবাদ। তাঁদের পথই প্রকৃত ইসলামের মানদণ্ড।

ইবনে মাসউদ (রাযি.) বলেন:

“যারাই সঠিক পথে চলতে চাও, তাদের পথ অনুসরণ করো যারা মৃত্যুবরণ করেছে (অর্থাৎ সাহাবীরা)। কারণ জীবিত ব্যক্তির উপর গোমরাহির আশঙ্কা থাকে। সাহাবীরাই ছিলেন এই উম্মতের সবচেয়ে উত্তম, অন্তরে পবিত্র, জ্ঞানে গভীর এবং অহঙ্কারমুক্ত।”
— (জামে বায়ানুল ইলম: ১৮১০)


৫. ইমামদের মতামত-

সকল প্রখ্যাত ইমাম যেমন: ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিক, ইমাম শাফিঈ, ইমাম আহমদ বিন হাম্বল— তাঁরা সকলেই কুরআন, সুন্নাহ ও সাহাবায়ে কিরামের পথকে শ্রেষ্ঠ ও সঠিক বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাঁরা বিদআত ও দলগত বিভাজনের বিরোধিতা করেছেন।

ইমাম মালিক (রহ.) বলেন:

“এই উম্মতের প্রথম প্রজন্ম যে পথে ছিল, কেউ যদি তা ছাড়া অন্য কোনো পথে সফল হতে চায়, তবে সে কখনো সফল হবে না।”
— (আল-ইতিসাম, শাতিবী)


৬. বিদআতী ও গোমরাহ ফেরকাসমূহ-

ইসলামের ইতিহাসে বহু বিভ্রান্ত ফেরকা সৃষ্টি হয়েছে: খারিজি, শিয়া, কাদিয়ানী, বাতিনী, রাফেদী, মুতাযিলা, জাহমিয়া, ইত্যাদি। তারা হয় রাসূলের সুন্নাহ থেকে বা সাহাবাদের বুঝ থেকে বিচ্যুত হয়েছে।অথচ রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:“তোমরা আমার সুন্নাহ ও আমার প্রতিনিধি তথা খলিফাগণের সুন্নাহ আঁকড়ে ধরো…”— (আবু দাউদ: ৪৬০৭)

এ থেকে বোঝা যায়, সুন্নাহ এবং সাহাবীদের পথে চলা ছাড়া ইসলাম পরিপূর্ণ হয় না।


৭. আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বৈশিষ্ট্য

১. কুরআন ও সহীহ হাদীস নির্ভরতা-তাদের আক্বিদার ভিত্তি কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ।

২. সাহাবা ও সালাফের ফাহম অনুযায়ী বুঝ-তারা দ্বীন বুঝে সালাফে সালেহীনের ব্যাখ্যায়।

৩. বিদআতের বিরোধিতা-তারা দ্বীনে নতুন সংযোজন বা বিকৃতি (বিদআত) থেকে বিরত থাকে।

৪. উম্মতের ঐক্যকে গুরুত্ব দেয়া-তারা দলাদলি ও ফিরকা বিভেদ থেকে বিরত থেকে উম্মতের ঐক্য বজায় রাখে।


৮. সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিকতা-

বর্তমানে বহু তথাকথিত ইসলামী ফেরকা নিজেকে ‘সত্য’ দাবি করে, কিন্তু তাদের আক্বিদা ও আমল যাচাই করলে দেখা যায় তা কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বৈশিষ্ট্য হলো: তারা নিজেকে “সত্য” দাবি করে না শুধু মুখে, বরং দলিল দ্বারা প্রমাণ করে।


ইসলামের প্রকৃত রূপ, বিশুদ্ধ আক্বিদা এবং সরল পথ কেবল আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মধ্যেই রয়েছে, কারণ:

  • তারা কুরআন ও সহীহ হাদীসের অনুসরণ করে।

  • তারা সাহাবায়ে কিরামের ব্যাখ্যা অনুযায়ী দ্বীন বুঝে।

  • তারা দলাদলি ও গোমরাহি থেকে বিরত থাকে।

  • তারা বিদআত থেকে নিজেদের রক্ষা করে।

অতএব, কুরআন ও সহীহ হাদীস এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ-র ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতই একমাত্র নাজাতপ্রাপ্ত দল এবং সঠিক আক্বিদার বাহক।


রেফারেন্স-

  1. সহীহ তিরমিজি: হাদীস ২৬৪১

  2. সূরা আন-নিসা: আয়াত ১১৫

  3. আল-ইতিসাম – শাতিবী

  4. জামে বায়ানুল ইলম – ইবনে আবি শাইবা

  5. সহীহ আবু দাউদ: হাদীস ৪৬০৭