০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মূল আকিদা,ভিত্তি,পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য

Abu Sayeed
  • আপডেট সময়ঃ ০৩:২৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / ৫৫ বার পড়া হয়েছে।

“আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআহ” এমন একটি দল যারা কুরআন, বিশুদ্ধ সুন্নাহ এবং সালাফে সালেহীনের ইজমার উপর ভিত্তি করে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুসরণ করে। এরা ইসলামের মূলধারা ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের আকিদাহ বা বিশ্বাসের মূল ভিত্তি হলো — কুরআন ও সুন্নাহর প্রতি অটল থাকা, বিদআত থেকে দূরে থাকা, এবং মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা।

মূল আকিদাহ এবং ভিত্তিগুলো রেফারেন্সসহ বিশদভাবে আলোচনা-


১. আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস (তাওহীদ)

তাওহীদ আহলুস সুন্নাতের আকিদার মূল স্তম্ভ। এটি তিন ভাগে বিভক্ত:

  • রুবুবিয়্যাহ: আল্লাহ একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা ও পরিচালনাকারী।
  • উলুহিয়্যাহ: একমাত্র আল্লাহই উপাসনার যোগ্য।
  • আস্মা ও সিফাত: আল্লাহর নাম ও গুণাবলীতে বিশ্বাস রাখা, বিকৃতি বা উপমা না করে।

দলীল:
“বল, তিনিই আল্লাহ, একক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।” — (সূরা ইখলাস ১১২:১-২)
“তাঁর সমতুল্য কিছুই নেই, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।” — (সূরা আশ-শূরা ৪২:১১)


২. কুরআন ও সুন্নাহর প্রতি বিশ্বাস

আহলুস সুন্নাতের মতে, কুরআন আল্লাহর অপরিবর্তিত বাণী এবং হাদীস রাসূল ﷺ এর জীবনাচরণ ও বাণীর প্রামাণ্য উৎস।

দলীল:
“রসূল যা দিয়েছেন, তা গ্রহণ করো, আর যা থেকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাকো।” — (সূরা হাশর ৫৯:৭)


৩. সালাফে সালেহীনের পথ অনুসরণ

সাহাবা, তাবিয়ীন এবং তাবে-তাবিয়ীনের জীবনাদর্শের অনুসরণ করা আহলুস সুন্নাতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

দলীল:
রাসূল ﷺ বলেন: “আমার যুগের মানুষ সেরা, তারপর যারা তাদের অনুসরণ করে, তারপর যারা তাদের অনুসরণ করে।” — (সহীহ বুখারী ২৬৫২)


৪. তাকদিরে বিশ্বাস (কদর)

আল্লাহর পূর্বজ্ঞান, ইচ্ছা, লিখন ও সৃষ্টি—এই চারটি স্তম্ভের উপর কদরের আকিদা প্রতিষ্ঠিত।

দলীল:
“নিশ্চয়ই আমি প্রত্যেক বস্তু তাকদির অনুযায়ী সৃষ্টি করেছি।” — (সূরা আল-কামার ৫৪:৪৯)


৫. গায়েব (অদৃশ্য জগতে) বিশ্বাস

মালায়েকা, জিন, কিয়ামত, হাশর, জান্নাত-জাহান্নাম, কবরের আজাব—এসবের প্রতি বিশ্বাস রাখা ঈমানের অংশ।

দলীল:
“যারা গায়েবের উপর বিশ্বাস করে, সালাত কায়েম করে এবং আমি যা দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।” — (সূরা বাকারা ২:৩)


৬. বিদআত পরিহার

আহলুস সুন্নাত বিদআত বা নতুন প্রবর্তিত বিষয়গুলোকে প্রত্যাখ্যান করে, বিশেষ করে আকিদাহ ও ইবাদাতে।

দলীল:
রাসূল ﷺ বলেন: “যে আমার এই দীনীতে এমন কিছু সংযোজন করলো যা এর অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত হবে।” — (বুখারী ২৬৯৭, মুসলিম ১৭১৮)


৭. সাহাবাদের ভালোবাসা ও সম্মান

সাহাবাদের (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) প্রতি ভালোবাসা রাখা ঈমানের অঙ্গ, তাদের অপমান করা হারাম।

দলীল:
“হে আমাদের রব! আমাদের পূর্ববর্তী ঈমানদার ভাইদের জন্য মাফ করে দাও…” — (সূরা হাশর ৫৯:১০)


৮. তাকফির থেকে বিরত থাকা

কারো ঈমান নিয়ে হঠকারী ফতোয়া দেওয়া থেকে আহলুস সুন্নাত বিরত থাকে, যতক্ষণ না শরীয়তের স্পষ্ট দলীল থাকে।

দলীল:
রাসূল ﷺ বলেন: “যদি কেউ তার ভাইকে কাফির বলে, আর সে যদি কাফির না হয়, তাহলে সেই বাক্য তার দিকেই ফিরে আসে।” — (সহীহ মুসলিম)


৯. নেতৃত্ব ও ঐক্যের প্রতি বিশ্বাস

আহলুস সুন্নাত মুসলিম শাসকের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখে (যদি সে স্পষ্ট কুফরি না করে) এবং বিদ্রোহকে ফিতনা মনে করে।

দলীল:
“আল্লাহর আদেশ মানো, রাসূলের আদেশ মানো এবং যারা তোমাদের উপর কর্তৃত্ব রাখে তাদেরও।” — (সূরা নিসা ৪:৫৯)


১০. মধ্যমপন্থা ও ভারসাম্য বজায় রাখা

চরমপন্থা ও শৈথিল্য—উভয় থেকে বিরত থেকে, আহলুস সুন্নাত মধ্যপন্থা অবলম্বন করে।

দলীল:
“এভাবে আমি তোমাদেরকে একটি মধ্যম উম্মত করেছি…” — (সূরা বাকারা ২:১৪৩)


১১. বিভ্রান্ত ফিরকাসমূহ থেকে বিরত থাকা

আহলুস সুন্নাত খারিজী, শিয়া, জাহমিয়্যা, মু’তাজিলা, রাফিদাহ—এদের ভ্রান্ত বলে মনে করে।

দলীল:
রাসূল ﷺ বলেন: “এই উম্মত ৭৩টি দলের মধ্যে বিভক্ত হবে; সবই জাহান্নামে যাবে, একটিকে ছাড়া।” সাহাবারা জিজ্ঞেস করলো: “কে তারা?” তিনি বললেন: “যারা আমার এবং আমার সাহাবাদের পথ অনুসরণ করে।” — (তিরমিজি ২৬৪১)


১২. চার ইমামের অনুসরণ

হানাফি, মালিকি, শাফিয়ি ও হাম্বলি—এই চার মাজহাব গ্রহণযোগ্য। তবে কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর বিরোধিতা করা যাবে না।

দলীল:
ইমাম আবু হানিফা বলেন: “যদি হাদীস সহীহ হয়, সেটাই আমার মত।”


১৩. মাহদী ও কিয়ামতের নিদর্শনে বিশ্বাস

মাহদীর আগমন, দাজ্জাল, ঈসা আ: এর আগমন, ইয়াজুজ-মাজুজ ইত্যাদির প্রতি বিশ্বাস আহলুস সুন্নাতের অংশ।

দলীল:
রাসূল ﷺ বলেন: “মাহদী আমার বংশধর থেকে হবেন…” — (আবু দাউদ ৪২৮২)

আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআহ কুরআন, সহীহ সুন্নাহ এবং সালাফে সালেহীনের ঐক্যমতের উপর অটল থাকে। এদের আকিদাহ প্রকৃত ইসলামের পরিচায়ক, যেখানে বিদআত, চরমপন্থা ও কুসংস্কারের কোনো স্থান নেই। তাদের ভিত্তিগুলো ইসলামকে সঠিকভাবে বোঝা ও প্রয়োগ করার জন্য এক শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।


FAQs (প্রশ্নোত্তর)

১. আহলুস সুন্নাত কি কোনো নির্দিষ্ট দল?
না, এটি সেই সকল মুসলমানদের সম্মিলন যারা কুরআন, সুন্নাহ ও সালাফদের পথ অনুসরণ করে।

২. চার মাজহাব না মানলে কি কেউ আহলুস সুন্নাত হতে পারে না?
মানা উত্তম, তবে সহীহ হাদীসের উপর ভিত্তি করে চললে কাউকে আহলুস সুন্নাত থেকে বাদ দেওয়া যায় না।

৩. আহলুস সুন্নাত কি শুধু বুখারী ও মুসলিমের হাদীস মানে?
না, অন্যান্য কিতাব থেকেও সহীহ ও হাসান হাদীস গ্রহণযোগ্য।

৪. সুফিবাদ সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী?
যদি তা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর ভিত্তিতে হয়, তবে গ্রহণযোগ্য; অন্যথায় নয়।

৫. আহলুস সুন্নাত কি শুধুই সুন্নি মুসলমানদের বোঝায়?
হ্যাঁ, আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআহ মূলত সুন্নি মুসলিমদেরই বোঝায়।

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মূল আকিদা,ভিত্তি,পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য

আপডেট সময়ঃ ০৩:২৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

“আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআহ” এমন একটি দল যারা কুরআন, বিশুদ্ধ সুন্নাহ এবং সালাফে সালেহীনের ইজমার উপর ভিত্তি করে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুসরণ করে। এরা ইসলামের মূলধারা ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের আকিদাহ বা বিশ্বাসের মূল ভিত্তি হলো — কুরআন ও সুন্নাহর প্রতি অটল থাকা, বিদআত থেকে দূরে থাকা, এবং মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা।

মূল আকিদাহ এবং ভিত্তিগুলো রেফারেন্সসহ বিশদভাবে আলোচনা-


১. আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস (তাওহীদ)

তাওহীদ আহলুস সুন্নাতের আকিদার মূল স্তম্ভ। এটি তিন ভাগে বিভক্ত:

  • রুবুবিয়্যাহ: আল্লাহ একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা ও পরিচালনাকারী।
  • উলুহিয়্যাহ: একমাত্র আল্লাহই উপাসনার যোগ্য।
  • আস্মা ও সিফাত: আল্লাহর নাম ও গুণাবলীতে বিশ্বাস রাখা, বিকৃতি বা উপমা না করে।

দলীল:
“বল, তিনিই আল্লাহ, একক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।” — (সূরা ইখলাস ১১২:১-২)
“তাঁর সমতুল্য কিছুই নেই, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।” — (সূরা আশ-শূরা ৪২:১১)


২. কুরআন ও সুন্নাহর প্রতি বিশ্বাস

আহলুস সুন্নাতের মতে, কুরআন আল্লাহর অপরিবর্তিত বাণী এবং হাদীস রাসূল ﷺ এর জীবনাচরণ ও বাণীর প্রামাণ্য উৎস।

দলীল:
“রসূল যা দিয়েছেন, তা গ্রহণ করো, আর যা থেকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাকো।” — (সূরা হাশর ৫৯:৭)


৩. সালাফে সালেহীনের পথ অনুসরণ

সাহাবা, তাবিয়ীন এবং তাবে-তাবিয়ীনের জীবনাদর্শের অনুসরণ করা আহলুস সুন্নাতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

দলীল:
রাসূল ﷺ বলেন: “আমার যুগের মানুষ সেরা, তারপর যারা তাদের অনুসরণ করে, তারপর যারা তাদের অনুসরণ করে।” — (সহীহ বুখারী ২৬৫২)


৪. তাকদিরে বিশ্বাস (কদর)

আল্লাহর পূর্বজ্ঞান, ইচ্ছা, লিখন ও সৃষ্টি—এই চারটি স্তম্ভের উপর কদরের আকিদা প্রতিষ্ঠিত।

দলীল:
“নিশ্চয়ই আমি প্রত্যেক বস্তু তাকদির অনুযায়ী সৃষ্টি করেছি।” — (সূরা আল-কামার ৫৪:৪৯)


৫. গায়েব (অদৃশ্য জগতে) বিশ্বাস

মালায়েকা, জিন, কিয়ামত, হাশর, জান্নাত-জাহান্নাম, কবরের আজাব—এসবের প্রতি বিশ্বাস রাখা ঈমানের অংশ।

দলীল:
“যারা গায়েবের উপর বিশ্বাস করে, সালাত কায়েম করে এবং আমি যা দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।” — (সূরা বাকারা ২:৩)


৬. বিদআত পরিহার

আহলুস সুন্নাত বিদআত বা নতুন প্রবর্তিত বিষয়গুলোকে প্রত্যাখ্যান করে, বিশেষ করে আকিদাহ ও ইবাদাতে।

দলীল:
রাসূল ﷺ বলেন: “যে আমার এই দীনীতে এমন কিছু সংযোজন করলো যা এর অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত হবে।” — (বুখারী ২৬৯৭, মুসলিম ১৭১৮)


৭. সাহাবাদের ভালোবাসা ও সম্মান

সাহাবাদের (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) প্রতি ভালোবাসা রাখা ঈমানের অঙ্গ, তাদের অপমান করা হারাম।

দলীল:
“হে আমাদের রব! আমাদের পূর্ববর্তী ঈমানদার ভাইদের জন্য মাফ করে দাও…” — (সূরা হাশর ৫৯:১০)


৮. তাকফির থেকে বিরত থাকা

কারো ঈমান নিয়ে হঠকারী ফতোয়া দেওয়া থেকে আহলুস সুন্নাত বিরত থাকে, যতক্ষণ না শরীয়তের স্পষ্ট দলীল থাকে।

দলীল:
রাসূল ﷺ বলেন: “যদি কেউ তার ভাইকে কাফির বলে, আর সে যদি কাফির না হয়, তাহলে সেই বাক্য তার দিকেই ফিরে আসে।” — (সহীহ মুসলিম)


৯. নেতৃত্ব ও ঐক্যের প্রতি বিশ্বাস

আহলুস সুন্নাত মুসলিম শাসকের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখে (যদি সে স্পষ্ট কুফরি না করে) এবং বিদ্রোহকে ফিতনা মনে করে।

দলীল:
“আল্লাহর আদেশ মানো, রাসূলের আদেশ মানো এবং যারা তোমাদের উপর কর্তৃত্ব রাখে তাদেরও।” — (সূরা নিসা ৪:৫৯)


১০. মধ্যমপন্থা ও ভারসাম্য বজায় রাখা

চরমপন্থা ও শৈথিল্য—উভয় থেকে বিরত থেকে, আহলুস সুন্নাত মধ্যপন্থা অবলম্বন করে।

দলীল:
“এভাবে আমি তোমাদেরকে একটি মধ্যম উম্মত করেছি…” — (সূরা বাকারা ২:১৪৩)


১১. বিভ্রান্ত ফিরকাসমূহ থেকে বিরত থাকা

আহলুস সুন্নাত খারিজী, শিয়া, জাহমিয়্যা, মু’তাজিলা, রাফিদাহ—এদের ভ্রান্ত বলে মনে করে।

দলীল:
রাসূল ﷺ বলেন: “এই উম্মত ৭৩টি দলের মধ্যে বিভক্ত হবে; সবই জাহান্নামে যাবে, একটিকে ছাড়া।” সাহাবারা জিজ্ঞেস করলো: “কে তারা?” তিনি বললেন: “যারা আমার এবং আমার সাহাবাদের পথ অনুসরণ করে।” — (তিরমিজি ২৬৪১)


১২. চার ইমামের অনুসরণ

হানাফি, মালিকি, শাফিয়ি ও হাম্বলি—এই চার মাজহাব গ্রহণযোগ্য। তবে কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর বিরোধিতা করা যাবে না।

দলীল:
ইমাম আবু হানিফা বলেন: “যদি হাদীস সহীহ হয়, সেটাই আমার মত।”


১৩. মাহদী ও কিয়ামতের নিদর্শনে বিশ্বাস

মাহদীর আগমন, দাজ্জাল, ঈসা আ: এর আগমন, ইয়াজুজ-মাজুজ ইত্যাদির প্রতি বিশ্বাস আহলুস সুন্নাতের অংশ।

দলীল:
রাসূল ﷺ বলেন: “মাহদী আমার বংশধর থেকে হবেন…” — (আবু দাউদ ৪২৮২)

আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআহ কুরআন, সহীহ সুন্নাহ এবং সালাফে সালেহীনের ঐক্যমতের উপর অটল থাকে। এদের আকিদাহ প্রকৃত ইসলামের পরিচায়ক, যেখানে বিদআত, চরমপন্থা ও কুসংস্কারের কোনো স্থান নেই। তাদের ভিত্তিগুলো ইসলামকে সঠিকভাবে বোঝা ও প্রয়োগ করার জন্য এক শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।


FAQs (প্রশ্নোত্তর)

১. আহলুস সুন্নাত কি কোনো নির্দিষ্ট দল?
না, এটি সেই সকল মুসলমানদের সম্মিলন যারা কুরআন, সুন্নাহ ও সালাফদের পথ অনুসরণ করে।

২. চার মাজহাব না মানলে কি কেউ আহলুস সুন্নাত হতে পারে না?
মানা উত্তম, তবে সহীহ হাদীসের উপর ভিত্তি করে চললে কাউকে আহলুস সুন্নাত থেকে বাদ দেওয়া যায় না।

৩. আহলুস সুন্নাত কি শুধু বুখারী ও মুসলিমের হাদীস মানে?
না, অন্যান্য কিতাব থেকেও সহীহ ও হাসান হাদীস গ্রহণযোগ্য।

৪. সুফিবাদ সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী?
যদি তা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর ভিত্তিতে হয়, তবে গ্রহণযোগ্য; অন্যথায় নয়।

৫. আহলুস সুন্নাত কি শুধুই সুন্নি মুসলমানদের বোঝায়?
হ্যাঁ, আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআহ মূলত সুন্নি মুসলিমদেরই বোঝায়।