০৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
উচ্চশিক্ষা ও স্বপ্নের ক্যারিয়ারের জন্য বিদেশে যাওয়ার উপায়

মধ্যবিত্ত,গরিব বা স্টাডি গ্যাপ হলেও বিদেশে পড়তে যাওয়ার সুযোগ

Nafis Ahmad
  • আপডেট সময়ঃ ০৫:২৮:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / ৫০ বার পড়া হয়েছে।

পড়তে যাওয়ার সুযোগ

হতাশায় নিমজ্জিত দেশের কোটি বেকার শ্রেণীর অধিকাংশ জানেই না যে,তারা চাইলে হতাশায় না ডুবে একটু চেষ্টা করেই একটি সোনালী জীবন আবিষ্কার করতে পারে।

একজন ১ম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তাও সেই লাইফস্টাইল পাওয়া কঠিন আর এটি সম্ভব হয় একমাত্র বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে যাওয়ার মাধ্যমে।

‘বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্বপ্নের ক্যারিয়ারের মানেই অনেক টাকার ব্যাপার বা মধ্যবিত্ত-গরিবদের জন্য এটা সম্ভব নয়’

এমন একটি অসত্য ধারণা আজকাল সবার মাঝেই পাওয়া যায়,যেটি এই সময়ের জন্য চরম ভুল ধারণা।

যার কারণে শিক্ষিত বেকার ছেলে মেয়েরা দেশে থেকে জীবনের মূল্য নষ্ট করে।অথচ অসংখ্য মধ্যবিত্ত,নিম্নমধ্যবিত্ত বা গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরাও আজকের দুনিয়ায় বিদেশে উচ্চশিক্ষায় যাচ্ছে।

জীবন সফল করছে।লক্ষ্য টাকা ইনকাম করছে পড়াশোনা অবস্থায়।

পরবর্তীতে একটি উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়ে তুলে বিভিন্ন দেশে নাগরিকও হয়ে যাচ্ছে।এর সংখ্যা গুটিকয়েক নয় বরং হাজার হাজার।

তাহলে কি প্রয়োজন ভুল ধারণা নিয়ে বসে থাকার?

এই আর্টিকেলে এমন সকল সমস্যার সমাধান ও একটি বাস্তব রোডম্যাপ জানতে চলেছি।

যার মাধ্যমে আপনিও খারাপ রেজাল্ট,দীর্ঘদিন পড়াশোনা গ্যাপ বা গরীব-মধ্যবিত্ত হয়েও বিদেশে স্বপ্নের জীবন গড়ার সূত্র বা রাস্তা পেয়ে যাবেন

এবং নিজ প্রচেষ্টায় বেকারত্ব বা অনিশ্চিত ক্যারিয়ারের অভিশাপ থেকে উদ্ধার হয়ে সোনালী জীবন বানাতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

দুনিয়ায় শতশত দেশ রয়েছে। আপনার দরকার একটি দেশ।একটি স্কলারশিপ বা সুযোগ। একটি সিরিয়াস প্রচেষ্টা।

আমি আপনাকে রাস্তা দেখিয়ে দেব,আপনি সে রাস্তায় এগুতে গেলেই সফল হবেন।পরিশ্রমী ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্যশীল হলে গ্যারান্টি নিয়ে বলতে পারি আপনিও সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।

কারণ সার্টিফিকেট ধারী সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীর জন্যই কোন না কোন দেশে সুযোগ রয়েছে।

৫/১০বছর পড়াশোনা থেকে দূরে থাকলেও সুযোগ রয়েছে।সুতরাং আপনাকে শুধু সেই দেশ ও সুযোগ গুলো খোজে বের করা দরকার এবং আবেদন করেফেলা দরকার।

৫/১০টা জায়গায়ও যদি আবেদন করা যায়,দেখবেন একজায়গায় ঠিকই আপনার সুযোগ হয়ে গেছে।আর তখনই আপনার জীবন ঘুরে দাড়ানোর সূচনা করবে।

[প্রিয় পাঠক : ‘সুন্নিকন্ঠ’ ওয়েবসাইটের বিশেষ কিছু ক্যাটাগরি তথা- অনুপ্রেরণা,আইডিয়া ও পরামর্শ,লাইফস্টাইল,বিদেশে পড়াশোনা ও তরুণদের ক্যাটাগরির প্রতিটি আর্টিকেল পড়ুন।এই লিখা গুলো আপনাকে হতাশার জীবন থেকে বের করে এনে,স্বপ্নের সোনালী জীবনে অভিষেক ঘটাবে এবং আপনাকে চিন্তাভাবনা,বুঝদারীতা ও বিচক্ষণতার দুনিয়ায় উচ্চতর ক্রিয়েটিভ,প্রডাক্টিভ ও যোগ্য ব্যক্তিত্ব বানিয়ে তুলবে ইনশাআল্লাহ]

যাদের টাকা,রেজাল্ট ও বয়স ঠিকাছে তাদের জন্য কম খরচে বিদেশে পড়তে যাওয়ার আলোচনা আরেকটি আর্টিকেলে লিখা হবে।

চলুন আজকের আলোচনায় কিছু বাস্তব স্বপ্নের সুযোগ জেনে নেই।

💠যদি মনে করেন যে,

আমার রেজাল্ট দূর্বল,খুব গরীব,ইংরেজি ভাষায়ও দূর্বল। IELTS করা হয় নি।পড়াশোনা থেকে অনেক বছর দূরে।আমার কোন লোকও নেই।

শুনেছি অনেক টাকা ছাড়া বিদেশে পড়তে যাওয়া সম্ভব হয় না।আইইএলটিএস ভালো স্কোর লাগে।একাডেমিক ভালো রেজাল্ট লাগে।

সুতরাং আমার মতো এমন একজন দূর্বল মানুষের পক্ষে কি বিদেশে পড়তে যাওয়া সম্ভব?

জবাব হলো-হ্যা। ১০০% সম্ভব।শুধু প্রয়োজন ধৈর্য্য নিরলস প্রচেষ্টা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রতিজ্ঞা।

এ তিনটি জিনিস আপনাকে রাখতেই হবে।যদি এটুকু পারেন তাহলে আপনাকে দিয়েও সোনালী জীবন আবিষ্কার সম্ভব।

যদি উল্লেখিত সমস্যা গুলোর ২/১টায় ভালো অবস্থা থাকে তাহলে বিদেশে পড়তে যাওয়া আরও সহজে সম্ভব।যদি এতো সমস্যা না থাকে তাহলে তো কথাই নেই।

দুনিয়ার অনেক দেশ আপনার জন্য সুযোগ খুলে রেখেছে।আপনি কেবল চেষ্টা করবেন।এগুবেন আর সুযোগ অর্জন করবেন।

উল্লেখিত সমস্যা গুলো এক সাথে সবার থাকে না।অধিকাংশই দু’একটি বিষয়ে সমস্যায় থাকে আর কোন না কোন দিকে ভালো সামর্থ্যবান হয়ে থাকে।

হয়তো রেজাল্ট বা আর্থিক অবস্থা অথবা ইংরেজি IELTS-আইইএলটিএস স্কোর।

যদি ধরে নেই সব গুলোতেই সমস্যা তাহলেও মেধাবী ও পরিশ্রমীদের জন্য বিভিন্ন দেশে সুযোগ রয়েছে।আজ কেবল একটি দেশ সম্পর্কে বলি।

যেমন -চায়না। গোটা বিশ্ব জানে চায়না হলো টেকনোলজি,অর্থনীতি ও ব্যবসার দুনিয়া।সেখানে কেউ বেকার থাকে না।

বিদেশি শিক্ষার্থীদেরকে তারা থাকা ও পড়ার স্কলারশিপ দিয়ে নিয়ে আসে।অনার্স,মাস্টার্স বা পিএইচডি স্টুডেন্টদের কে স্টাইপেন বাবদ টাকাও দিয়ে থাকে।

বিভিন্ন স্কলারশিপ রয়েছে।যেখানে থাকা পড়ার পাশাপাশি পনেরো থেকে ষাট হাজারের মতো মাসিক স্টাইপেনও দিয়ে থাকে।

চায়নায় উচ্চশিক্ষা এবং ক্যারিয়ার গড়ার ১০০টি প্রশ্ন ও উত্তর 

শ্রেণি ব্যবধানে পরিমাণ কম বেশি হয়।

ইন্টারভিউতে মোটামুটি ইংরেজিতে কথা বলতে পারলেই স্কলারশিপ নিয়ে আসা যায়।দু’একমাস স্পোকেন ইংলিশ কোর্স করলেই সেই ইংরেজি আয়ত্ত হয়ে যায়।

আইইএলটিএস ও লাগে না।দূর্বল রেজাল্ট হলেও চলে।

যতো ভালো রেজাল্ট ততো বেশি মাসিক টাকা পায়।ঐ টাকায় নিজের খাবার খরচ করেও বাড়িতে পাঠানো বা জমানো যায়।

আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা,বাসস্থান ও কর্মজীবনের সুযোগ হয়ে যায়।৫/১০বছর পড়াশোনা থেকে দূরে থাকলেও তারা সেটি ধরে না।সুযোগ দেয়।

সব চেয়ে বড় কথা হলো সেখানে যাওয়ার পর কোন স্টুডেন্টকে আলাদা কাজ করার অনুমতি দেয় না,কারণ তারা অলরেডি স্কলারশিপ দিচ্ছে আবার অধিকাংশকে ভালো মানের মাসিক টাকাও দিচ্ছে।

যেটা বাংলাদেশের মানসম্মত একটি বেতন বলা যায়।চায়নায় উচ্চশিক্ষায়  ক্যারিয়ার, সুযোগ-সুবিধা ও ভবিষ্যত

এর পরেও এদেশে গিয়ে একটু চালাকির মাধ্যমে আলাদা কাজ করেও টাকা উপার্জন করা যায়।

প্রায় সব শিক্ষার্থীরাই করে থাকে।ব্যবসা করা যায়।নিজে দেশ থেকে স্টুডেন্টদের নিয়ে গিয়ে এজেন্সির মতো ভালো একটি ইনকাম করা যায়।

চায়না থেকে দেশে পন্য পাঠিয়েও ইনকাম করা যায়।আরও অনেক সুযোগ আছে যেগুলো সেখানে গেলে পায়াওয়া যায়।

সুতরাং অপশন এবং সুযোগ আছে এটা নিশ্চিত। যদি চেষ্টা করা যায় তাহলে জীবন পাল্টানো সম্ভব ইনশাআল্লাহ।

ইউটিউব বা গুগলে খোজ নিলে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।আরও সহজ মনে হবে।এক কথায় ভয় বা ভুল ধারণাই পালটে যাবে।

এবার আসি টাকা খরচের ব্যাপারে। এটা দুই ভাবে হতে পারে।ব্যক্তিগত বা এজেন্সি।

তাও আবার আহামরি কোন টাকার ব্যাপার নেই। যদি আবেদন প্রসেসিং টা নিজে শিখে একটু নেট ঘাটাঘাটি করে চেষ্টা করা যায়,

তাহলে ২০২৫ এ সর্বোচ্চ ৭০-৭৫হাজারের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী সব প্রসেসিং কমপ্লিট করে চায়নার মাটিতে পৌঁছে যেতে পারবে।

আর যদি এজেন্সির কাছে যায় তাহলে তারাও এরকমই খরচ করে কিন্তু নিজেরা ফি নেয় বেশি।সেটা যার থেকে যেমন নেয়া যায়।কেউ টোটাল দেড় লক্ষ নেয়।

আবার কেউ এর চেয়ে কম নেয় বা বেশিও নেয়।এক কথায় এটা দরদামের মতোই ব্যাপার কিন্তু খরচ একই।

চায়না থেকে পড়াশোনা করে পাশাপাশি কিছু টাকা জমিয়ে,চাইলে ইউরোপ আমেরিকায় সরাসরি চলে যাওয়া যায়।সেটা চায়না থেকে আরও সহজ ও কম খরচে সম্ভব হয়।

তা ছাড়া আরও এমন অনেক দেশ আছে যারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের থাকা,খাওয়া,পড়া ও কাজেরও সুযোগ দিয়ে থাকে।

একটু খোঁজ নিলেই পাওয়া যাবে।দেশে বসে থেকে নিজেকে পরিবার ও দেশের বোঝা বানানোর চেয়ে,

অন্তত চায়নার মতো ১ম শ্রেণির অর্থনীতির দেশে গিয়ে আন্তর্জাতিক জীবন ঠন করাটা কম করে হলেও শতগুণ বড় সমাধান এবং ভাগ্যের ব্যাপার।

চায়নায় পড়াশোনা শেষে চাকরি নিলে,কমপক্ষে কয়েক লক্ষ টাকার বেতনে চাকরি করা যায়।

আবার থাকা খাওয়ার খরচও খুব কম।বাংলাদেশের খরচের মতোই।সামান্য একটু বেশি।৫হাজারের জায়গায় ১০ হাজার কিন্তু চাকরির সেলারী হয় বেশি।

একটি কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকও ২/৩ লক্ষ টাকা সেলারী পায়(বাংলা টাকায়)।

মজার ব্যাপার হলো চায়না প্রায় শতভাগ ভিসা দিয়ে থাকে।ক্যান্সেল হয় না।ভেবেচিন্তে প্রস্তুতি নিয়ে যারাই চেষ্টা করে,প্রত্যেকেই সফল হয়।

সুতরাং আপনি কেন সুযোগ থাকা অবস্থায় বসে থাকবেন? মনে করুন আপনার এই টাকাও নেই।

তাহলে কি করবেন?

হুটহাট প্লান না করে বছর ব্যাপী পরিকল্পনা নিন।একটু ইংরেজি শিখুন।আবেদন ও ভিসা প্রসেসিং টা কিছুদিন নেট ঘাটাঘাটি করে শিখে নিন।দরকার হয়,

যে পারে তাকে কিছু টাকা দিয়ে হলেও শিখে নিন।তাহলে বড় ধরনের খরচ বেচে যাবে।

যে কোন বৈধ কাজ করে টাকা জমান।স্বজন ও বন্ধুদের জানান।হেল্প চান এবং জমান।সারাজীবনের স্বার্থে একটা সময় সর্বোচ্চ পর্যায়ের চেষ্টা করুন।ফাইনালি সম্পূর্ণ টাকা না জমাতে পারলে লোন নিন।

পরিশ্রমী হতে পারলে,নিজের ইনকাম দিয়েই লোন শোধ করতে পারবেন।বিদেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে একজন পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীর জন্য এর চেয়েও বড় সুযোগ আর হতে পার না।

‘এই আর্টিকেলে যে কথা গুলো বলা হলো এগুলো বাস্তবতা থেকে তুলে এনে আপনাদের জানানো হয়েছে।পরবর্তী আর্টিকেলে যথাক্রমে ধারাবাহিক বিভিন্ন আইডিয়া,সুযোগ ও পরামর্শ তুলে ধরা হবে।

একেকটি আর্টিকেলকে নিজের মেন্টর ও মোটিভেশান মনে করুন।’সুন্নিকন্ঠ’র সাথে থাকুন।মনে রাখবেন,চেষ্টা যে করে সে ব্যর্থ হয় না।চেষ্টাকারীকেই আল্লাহ সফলতা দান করেন -আল-কুরআন

চায়নায় উচ্চশিক্ষার ১০০টি বহুল আলোচিত প্রশ্নোত্তর (FAQs)

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

উচ্চশিক্ষা ও স্বপ্নের ক্যারিয়ারের জন্য বিদেশে যাওয়ার উপায়

মধ্যবিত্ত,গরিব বা স্টাডি গ্যাপ হলেও বিদেশে পড়তে যাওয়ার সুযোগ

আপডেট সময়ঃ ০৫:২৮:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

হতাশায় নিমজ্জিত দেশের কোটি বেকার শ্রেণীর অধিকাংশ জানেই না যে,তারা চাইলে হতাশায় না ডুবে একটু চেষ্টা করেই একটি সোনালী জীবন আবিষ্কার করতে পারে।

একজন ১ম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তাও সেই লাইফস্টাইল পাওয়া কঠিন আর এটি সম্ভব হয় একমাত্র বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে যাওয়ার মাধ্যমে।

‘বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্বপ্নের ক্যারিয়ারের মানেই অনেক টাকার ব্যাপার বা মধ্যবিত্ত-গরিবদের জন্য এটা সম্ভব নয়’

এমন একটি অসত্য ধারণা আজকাল সবার মাঝেই পাওয়া যায়,যেটি এই সময়ের জন্য চরম ভুল ধারণা।

যার কারণে শিক্ষিত বেকার ছেলে মেয়েরা দেশে থেকে জীবনের মূল্য নষ্ট করে।অথচ অসংখ্য মধ্যবিত্ত,নিম্নমধ্যবিত্ত বা গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরাও আজকের দুনিয়ায় বিদেশে উচ্চশিক্ষায় যাচ্ছে।

জীবন সফল করছে।লক্ষ্য টাকা ইনকাম করছে পড়াশোনা অবস্থায়।

পরবর্তীতে একটি উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়ে তুলে বিভিন্ন দেশে নাগরিকও হয়ে যাচ্ছে।এর সংখ্যা গুটিকয়েক নয় বরং হাজার হাজার।

তাহলে কি প্রয়োজন ভুল ধারণা নিয়ে বসে থাকার?

এই আর্টিকেলে এমন সকল সমস্যার সমাধান ও একটি বাস্তব রোডম্যাপ জানতে চলেছি।

যার মাধ্যমে আপনিও খারাপ রেজাল্ট,দীর্ঘদিন পড়াশোনা গ্যাপ বা গরীব-মধ্যবিত্ত হয়েও বিদেশে স্বপ্নের জীবন গড়ার সূত্র বা রাস্তা পেয়ে যাবেন

এবং নিজ প্রচেষ্টায় বেকারত্ব বা অনিশ্চিত ক্যারিয়ারের অভিশাপ থেকে উদ্ধার হয়ে সোনালী জীবন বানাতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

দুনিয়ায় শতশত দেশ রয়েছে। আপনার দরকার একটি দেশ।একটি স্কলারশিপ বা সুযোগ। একটি সিরিয়াস প্রচেষ্টা।

আমি আপনাকে রাস্তা দেখিয়ে দেব,আপনি সে রাস্তায় এগুতে গেলেই সফল হবেন।পরিশ্রমী ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্যশীল হলে গ্যারান্টি নিয়ে বলতে পারি আপনিও সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।

কারণ সার্টিফিকেট ধারী সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীর জন্যই কোন না কোন দেশে সুযোগ রয়েছে।

৫/১০বছর পড়াশোনা থেকে দূরে থাকলেও সুযোগ রয়েছে।সুতরাং আপনাকে শুধু সেই দেশ ও সুযোগ গুলো খোজে বের করা দরকার এবং আবেদন করেফেলা দরকার।

৫/১০টা জায়গায়ও যদি আবেদন করা যায়,দেখবেন একজায়গায় ঠিকই আপনার সুযোগ হয়ে গেছে।আর তখনই আপনার জীবন ঘুরে দাড়ানোর সূচনা করবে।

[প্রিয় পাঠক : ‘সুন্নিকন্ঠ’ ওয়েবসাইটের বিশেষ কিছু ক্যাটাগরি তথা- অনুপ্রেরণা,আইডিয়া ও পরামর্শ,লাইফস্টাইল,বিদেশে পড়াশোনা ও তরুণদের ক্যাটাগরির প্রতিটি আর্টিকেল পড়ুন।এই লিখা গুলো আপনাকে হতাশার জীবন থেকে বের করে এনে,স্বপ্নের সোনালী জীবনে অভিষেক ঘটাবে এবং আপনাকে চিন্তাভাবনা,বুঝদারীতা ও বিচক্ষণতার দুনিয়ায় উচ্চতর ক্রিয়েটিভ,প্রডাক্টিভ ও যোগ্য ব্যক্তিত্ব বানিয়ে তুলবে ইনশাআল্লাহ]

যাদের টাকা,রেজাল্ট ও বয়স ঠিকাছে তাদের জন্য কম খরচে বিদেশে পড়তে যাওয়ার আলোচনা আরেকটি আর্টিকেলে লিখা হবে।

চলুন আজকের আলোচনায় কিছু বাস্তব স্বপ্নের সুযোগ জেনে নেই।

💠যদি মনে করেন যে,

আমার রেজাল্ট দূর্বল,খুব গরীব,ইংরেজি ভাষায়ও দূর্বল। IELTS করা হয় নি।পড়াশোনা থেকে অনেক বছর দূরে।আমার কোন লোকও নেই।

শুনেছি অনেক টাকা ছাড়া বিদেশে পড়তে যাওয়া সম্ভব হয় না।আইইএলটিএস ভালো স্কোর লাগে।একাডেমিক ভালো রেজাল্ট লাগে।

সুতরাং আমার মতো এমন একজন দূর্বল মানুষের পক্ষে কি বিদেশে পড়তে যাওয়া সম্ভব?

জবাব হলো-হ্যা। ১০০% সম্ভব।শুধু প্রয়োজন ধৈর্য্য নিরলস প্রচেষ্টা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রতিজ্ঞা।

এ তিনটি জিনিস আপনাকে রাখতেই হবে।যদি এটুকু পারেন তাহলে আপনাকে দিয়েও সোনালী জীবন আবিষ্কার সম্ভব।

যদি উল্লেখিত সমস্যা গুলোর ২/১টায় ভালো অবস্থা থাকে তাহলে বিদেশে পড়তে যাওয়া আরও সহজে সম্ভব।যদি এতো সমস্যা না থাকে তাহলে তো কথাই নেই।

দুনিয়ার অনেক দেশ আপনার জন্য সুযোগ খুলে রেখেছে।আপনি কেবল চেষ্টা করবেন।এগুবেন আর সুযোগ অর্জন করবেন।

উল্লেখিত সমস্যা গুলো এক সাথে সবার থাকে না।অধিকাংশই দু’একটি বিষয়ে সমস্যায় থাকে আর কোন না কোন দিকে ভালো সামর্থ্যবান হয়ে থাকে।

হয়তো রেজাল্ট বা আর্থিক অবস্থা অথবা ইংরেজি IELTS-আইইএলটিএস স্কোর।

যদি ধরে নেই সব গুলোতেই সমস্যা তাহলেও মেধাবী ও পরিশ্রমীদের জন্য বিভিন্ন দেশে সুযোগ রয়েছে।আজ কেবল একটি দেশ সম্পর্কে বলি।

যেমন -চায়না। গোটা বিশ্ব জানে চায়না হলো টেকনোলজি,অর্থনীতি ও ব্যবসার দুনিয়া।সেখানে কেউ বেকার থাকে না।

বিদেশি শিক্ষার্থীদেরকে তারা থাকা ও পড়ার স্কলারশিপ দিয়ে নিয়ে আসে।অনার্স,মাস্টার্স বা পিএইচডি স্টুডেন্টদের কে স্টাইপেন বাবদ টাকাও দিয়ে থাকে।

বিভিন্ন স্কলারশিপ রয়েছে।যেখানে থাকা পড়ার পাশাপাশি পনেরো থেকে ষাট হাজারের মতো মাসিক স্টাইপেনও দিয়ে থাকে।

চায়নায় উচ্চশিক্ষা এবং ক্যারিয়ার গড়ার ১০০টি প্রশ্ন ও উত্তর 

শ্রেণি ব্যবধানে পরিমাণ কম বেশি হয়।

ইন্টারভিউতে মোটামুটি ইংরেজিতে কথা বলতে পারলেই স্কলারশিপ নিয়ে আসা যায়।দু’একমাস স্পোকেন ইংলিশ কোর্স করলেই সেই ইংরেজি আয়ত্ত হয়ে যায়।

আইইএলটিএস ও লাগে না।দূর্বল রেজাল্ট হলেও চলে।

যতো ভালো রেজাল্ট ততো বেশি মাসিক টাকা পায়।ঐ টাকায় নিজের খাবার খরচ করেও বাড়িতে পাঠানো বা জমানো যায়।

আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা,বাসস্থান ও কর্মজীবনের সুযোগ হয়ে যায়।৫/১০বছর পড়াশোনা থেকে দূরে থাকলেও তারা সেটি ধরে না।সুযোগ দেয়।

সব চেয়ে বড় কথা হলো সেখানে যাওয়ার পর কোন স্টুডেন্টকে আলাদা কাজ করার অনুমতি দেয় না,কারণ তারা অলরেডি স্কলারশিপ দিচ্ছে আবার অধিকাংশকে ভালো মানের মাসিক টাকাও দিচ্ছে।

যেটা বাংলাদেশের মানসম্মত একটি বেতন বলা যায়।চায়নায় উচ্চশিক্ষায়  ক্যারিয়ার, সুযোগ-সুবিধা ও ভবিষ্যত

এর পরেও এদেশে গিয়ে একটু চালাকির মাধ্যমে আলাদা কাজ করেও টাকা উপার্জন করা যায়।

প্রায় সব শিক্ষার্থীরাই করে থাকে।ব্যবসা করা যায়।নিজে দেশ থেকে স্টুডেন্টদের নিয়ে গিয়ে এজেন্সির মতো ভালো একটি ইনকাম করা যায়।

চায়না থেকে দেশে পন্য পাঠিয়েও ইনকাম করা যায়।আরও অনেক সুযোগ আছে যেগুলো সেখানে গেলে পায়াওয়া যায়।

সুতরাং অপশন এবং সুযোগ আছে এটা নিশ্চিত। যদি চেষ্টা করা যায় তাহলে জীবন পাল্টানো সম্ভব ইনশাআল্লাহ।

ইউটিউব বা গুগলে খোজ নিলে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।আরও সহজ মনে হবে।এক কথায় ভয় বা ভুল ধারণাই পালটে যাবে।

এবার আসি টাকা খরচের ব্যাপারে। এটা দুই ভাবে হতে পারে।ব্যক্তিগত বা এজেন্সি।

তাও আবার আহামরি কোন টাকার ব্যাপার নেই। যদি আবেদন প্রসেসিং টা নিজে শিখে একটু নেট ঘাটাঘাটি করে চেষ্টা করা যায়,

তাহলে ২০২৫ এ সর্বোচ্চ ৭০-৭৫হাজারের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী সব প্রসেসিং কমপ্লিট করে চায়নার মাটিতে পৌঁছে যেতে পারবে।

আর যদি এজেন্সির কাছে যায় তাহলে তারাও এরকমই খরচ করে কিন্তু নিজেরা ফি নেয় বেশি।সেটা যার থেকে যেমন নেয়া যায়।কেউ টোটাল দেড় লক্ষ নেয়।

আবার কেউ এর চেয়ে কম নেয় বা বেশিও নেয়।এক কথায় এটা দরদামের মতোই ব্যাপার কিন্তু খরচ একই।

চায়না থেকে পড়াশোনা করে পাশাপাশি কিছু টাকা জমিয়ে,চাইলে ইউরোপ আমেরিকায় সরাসরি চলে যাওয়া যায়।সেটা চায়না থেকে আরও সহজ ও কম খরচে সম্ভব হয়।

তা ছাড়া আরও এমন অনেক দেশ আছে যারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের থাকা,খাওয়া,পড়া ও কাজেরও সুযোগ দিয়ে থাকে।

একটু খোঁজ নিলেই পাওয়া যাবে।দেশে বসে থেকে নিজেকে পরিবার ও দেশের বোঝা বানানোর চেয়ে,

অন্তত চায়নার মতো ১ম শ্রেণির অর্থনীতির দেশে গিয়ে আন্তর্জাতিক জীবন ঠন করাটা কম করে হলেও শতগুণ বড় সমাধান এবং ভাগ্যের ব্যাপার।

চায়নায় পড়াশোনা শেষে চাকরি নিলে,কমপক্ষে কয়েক লক্ষ টাকার বেতনে চাকরি করা যায়।

আবার থাকা খাওয়ার খরচও খুব কম।বাংলাদেশের খরচের মতোই।সামান্য একটু বেশি।৫হাজারের জায়গায় ১০ হাজার কিন্তু চাকরির সেলারী হয় বেশি।

একটি কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকও ২/৩ লক্ষ টাকা সেলারী পায়(বাংলা টাকায়)।

মজার ব্যাপার হলো চায়না প্রায় শতভাগ ভিসা দিয়ে থাকে।ক্যান্সেল হয় না।ভেবেচিন্তে প্রস্তুতি নিয়ে যারাই চেষ্টা করে,প্রত্যেকেই সফল হয়।

সুতরাং আপনি কেন সুযোগ থাকা অবস্থায় বসে থাকবেন? মনে করুন আপনার এই টাকাও নেই।

তাহলে কি করবেন?

হুটহাট প্লান না করে বছর ব্যাপী পরিকল্পনা নিন।একটু ইংরেজি শিখুন।আবেদন ও ভিসা প্রসেসিং টা কিছুদিন নেট ঘাটাঘাটি করে শিখে নিন।দরকার হয়,

যে পারে তাকে কিছু টাকা দিয়ে হলেও শিখে নিন।তাহলে বড় ধরনের খরচ বেচে যাবে।

যে কোন বৈধ কাজ করে টাকা জমান।স্বজন ও বন্ধুদের জানান।হেল্প চান এবং জমান।সারাজীবনের স্বার্থে একটা সময় সর্বোচ্চ পর্যায়ের চেষ্টা করুন।ফাইনালি সম্পূর্ণ টাকা না জমাতে পারলে লোন নিন।

পরিশ্রমী হতে পারলে,নিজের ইনকাম দিয়েই লোন শোধ করতে পারবেন।বিদেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে একজন পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীর জন্য এর চেয়েও বড় সুযোগ আর হতে পার না।

‘এই আর্টিকেলে যে কথা গুলো বলা হলো এগুলো বাস্তবতা থেকে তুলে এনে আপনাদের জানানো হয়েছে।পরবর্তী আর্টিকেলে যথাক্রমে ধারাবাহিক বিভিন্ন আইডিয়া,সুযোগ ও পরামর্শ তুলে ধরা হবে।

একেকটি আর্টিকেলকে নিজের মেন্টর ও মোটিভেশান মনে করুন।’সুন্নিকন্ঠ’র সাথে থাকুন।মনে রাখবেন,চেষ্টা যে করে সে ব্যর্থ হয় না।চেষ্টাকারীকেই আল্লাহ সফলতা দান করেন -আল-কুরআন

চায়নায় উচ্চশিক্ষার ১০০টি বহুল আলোচিত প্রশ্নোত্তর (FAQs)