০৮:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
৩ বছরের ডিগ্রি বা ফাজিল সার্টিফিকেটে মাস্টার্স পড়া যায় যে দেশগুলোতে

মাদ্রাসার ফাজিল ডিগ্রি সার্টিফিকেটে বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ

Mahmud abdullah
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৫০:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে।

ফাজিল সার্টিফিকেটে কোন কোন দেশে মাস্টার্স পড়তে যাওয়া যায়? সুবিধা, স্কলারশিপ ও স্থায়ী হওয়ার সুযোগ

নিচের দেশগুলোতে সাধারণত ৩ বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি (যেমন: ফাজিল, সাধারণ BA/BSS/BSc) দিয়ে সরাসরি মাস্টার্সে ভর্তি হওয়া যায় অথবা প্রিপারেটরি কোর্সসহ সুযোগ থাকে:

১. যুক্তরাজ্য (UK)

  • সুবিধা: ১ বছরের মাস্টার্স, উচ্চমানের শিক্ষা, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

  • স্কলারশিপ: Chevening, Commonwealth, GREAT Scholarships।

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: পড়াশোনার পর ২ বছরের পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা (PSW), এরপর চাকরি ও PR।

২. অস্ট্রেলিয়া

  • সুবিধা: উচ্চমানের ইউনিভার্সিটি, চাকরির সুযোগ।

  • স্কলারশিপ: Australia Awards, Destination Australia, University Scholarships।

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: Skilled Visa দিয়ে PR-এর সুযোগ বেশি।

৩. মালয়েশিয়া

  • সুবিধা: কম খরচ, ইসলামিক পরিবেশ, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাজিল গ্রহণযোগ্য।

  • স্কলারশিপ: Malaysian International Scholarship (MIS), University-specific।

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে PR-এর সুযোগ থাকে।

৪. চায়না

  • সুবিধা: ফুল ফান্ডেড CSC স্কলারশিপ, ইসলামিক শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক পরিবেশ।

  • স্কলারশিপ: Chinese Government Scholarship (CSC), Provincial Scholarships।

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: কম, তবে ভালো রেজাল্ট ও চাকরি থাকলে এক্সটেনশন পাওয়া যায়।

৫. তুরস্ক

  • সুবিধা: ইসলামী সংস্কৃতি, ইংরেজি-বেসড কোর্স, অনেক স্কলারশিপ।

  • স্কলারশিপ: Türkiye Burslari (ফুল ফান্ডেড)।

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: সরকারিভাবে সীমিত, তবে কাজের মাধ্যমে সম্ভব।

৬. জার্মানি

  • সুবিধা: Public universities-এ টিউশন ফি নেই, প্রযুক্তিগত শিক্ষা ভালো।

  • স্কলারশিপ: DAAD Scholarship

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: পড়াশোনার পর ১৮ মাসে চাকরি খুঁজে পেলে Blue Card ও PR-এর সুযোগ।

৭. ইতালি

  • সুবিধা: কম খরচে পড়াশোনা, সরকারিভাবে স্কলারশিপ।

  • স্কলারশিপ: Italian Government Scholarships, EDISU, LazioDisco।

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: পড়া ও চাকরির পর PR পাওয়া সম্ভব।

৮. হাঙ্গেরি

  • সুবিধা: Stipendium Hungaricum ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ।

  • স্কলারশিপ: Stipendium Hungaricum।

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: পড়ার পর চাকরি ও PR-এর সুযোগ রয়েছে।

৯. পোল্যান্ড

  • সুবিধা: তুলনামূলক ভাবে কম খরচে ইউরোপীয় ডিগ্রি।

  • স্কলারশিপ: Polish National Agency for Academic Exchange (NAWA)।

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: চাকরি থাকলে EU ব্লু কার্ডের মাধ্যমে স্থায়ী হওয়া সম্ভব।

১০. নেদারল্যান্ডস

  • সুবিধা: উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, ইংরেজি মাধ্যমে ক্লাস।

  • স্কলারশিপ: Holland Scholarship, Erasmus+।

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: পড়ার পর ১ বছরের ওরিয়েন্টেশন ভিসা, চাকরি পেলে PR সম্ভব।


🟩 গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • কিছু দেশ ৩ বছরের ব্যাচেলরকে মাস্টার্সের জন্য সরাসরি গ্রহণ না করলেও, pre-master বা bridge course করিয়ে নেয়।

  • ফাজিল সনদের স্বীকৃতি বিভিন্ন দেশের ন্যাশনাল একাডেমিক রিকগনিশন অফিস (NARIC) বা ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিশন বোর্ড দ্বারা নির্ধারিত হয়।

  • ভালো IELTS/TOEFL স্কোর, Statement of Purpose (SOP), ও রেফারেন্স লেটার থাকলে স্কলারশিপের সুযোগ বাড়ে।


✅ পরামর্শ:

আপনি যদি ফাজিল ডিগ্রি দিয়ে বিদেশে মাস্টার্স করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনার:

  1. ট্রান্সক্রিপ্ট ও সনদ ইংরেজিতে অনুবাদ করতে হবে,

  2. স্বীকৃত ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করতে হবে,

  3. স্কলারশিপ সাইট নিয়মিত দেখতে হবে,

  4. IELTS প্রস্তুতি নিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

৩ বছরের ডিগ্রি বা ফাজিল সার্টিফিকেটে মাস্টার্স পড়া যায় যে দেশগুলোতে

মাদ্রাসার ফাজিল ডিগ্রি সার্টিফিকেটে বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ

আপডেট সময়ঃ ০৭:৫০:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

নিচের দেশগুলোতে সাধারণত ৩ বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি (যেমন: ফাজিল, সাধারণ BA/BSS/BSc) দিয়ে সরাসরি মাস্টার্সে ভর্তি হওয়া যায় অথবা প্রিপারেটরি কোর্সসহ সুযোগ থাকে:

১. যুক্তরাজ্য (UK)

  • সুবিধা: ১ বছরের মাস্টার্স, উচ্চমানের শিক্ষা, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

  • স্কলারশিপ: Chevening, Commonwealth, GREAT Scholarships।

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: পড়াশোনার পর ২ বছরের পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা (PSW), এরপর চাকরি ও PR।

২. অস্ট্রেলিয়া

  • সুবিধা: উচ্চমানের ইউনিভার্সিটি, চাকরির সুযোগ।

  • স্কলারশিপ: Australia Awards, Destination Australia, University Scholarships।

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: Skilled Visa দিয়ে PR-এর সুযোগ বেশি।

৩. মালয়েশিয়া

  • সুবিধা: কম খরচ, ইসলামিক পরিবেশ, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাজিল গ্রহণযোগ্য।

  • স্কলারশিপ: Malaysian International Scholarship (MIS), University-specific।

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে PR-এর সুযোগ থাকে।

৪. চায়না

  • সুবিধা: ফুল ফান্ডেড CSC স্কলারশিপ, ইসলামিক শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক পরিবেশ।

  • স্কলারশিপ: Chinese Government Scholarship (CSC), Provincial Scholarships।

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: কম, তবে ভালো রেজাল্ট ও চাকরি থাকলে এক্সটেনশন পাওয়া যায়।

৫. তুরস্ক

  • সুবিধা: ইসলামী সংস্কৃতি, ইংরেজি-বেসড কোর্স, অনেক স্কলারশিপ।

  • স্কলারশিপ: Türkiye Burslari (ফুল ফান্ডেড)।

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: সরকারিভাবে সীমিত, তবে কাজের মাধ্যমে সম্ভব।

৬. জার্মানি

  • সুবিধা: Public universities-এ টিউশন ফি নেই, প্রযুক্তিগত শিক্ষা ভালো।

  • স্কলারশিপ: DAAD Scholarship

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: পড়াশোনার পর ১৮ মাসে চাকরি খুঁজে পেলে Blue Card ও PR-এর সুযোগ।

৭. ইতালি

  • সুবিধা: কম খরচে পড়াশোনা, সরকারিভাবে স্কলারশিপ।

  • স্কলারশিপ: Italian Government Scholarships, EDISU, LazioDisco।

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: পড়া ও চাকরির পর PR পাওয়া সম্ভব।

৮. হাঙ্গেরি

  • সুবিধা: Stipendium Hungaricum ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ।

  • স্কলারশিপ: Stipendium Hungaricum।

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: পড়ার পর চাকরি ও PR-এর সুযোগ রয়েছে।

৯. পোল্যান্ড

  • সুবিধা: তুলনামূলক ভাবে কম খরচে ইউরোপীয় ডিগ্রি।

  • স্কলারশিপ: Polish National Agency for Academic Exchange (NAWA)।

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: চাকরি থাকলে EU ব্লু কার্ডের মাধ্যমে স্থায়ী হওয়া সম্ভব।

১০. নেদারল্যান্ডস

  • সুবিধা: উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, ইংরেজি মাধ্যমে ক্লাস।

  • স্কলারশিপ: Holland Scholarship, Erasmus+।

  • স্থায়ী হওয়ার সুযোগ: পড়ার পর ১ বছরের ওরিয়েন্টেশন ভিসা, চাকরি পেলে PR সম্ভব।


🟩 গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • কিছু দেশ ৩ বছরের ব্যাচেলরকে মাস্টার্সের জন্য সরাসরি গ্রহণ না করলেও, pre-master বা bridge course করিয়ে নেয়।

  • ফাজিল সনদের স্বীকৃতি বিভিন্ন দেশের ন্যাশনাল একাডেমিক রিকগনিশন অফিস (NARIC) বা ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিশন বোর্ড দ্বারা নির্ধারিত হয়।

  • ভালো IELTS/TOEFL স্কোর, Statement of Purpose (SOP), ও রেফারেন্স লেটার থাকলে স্কলারশিপের সুযোগ বাড়ে।


✅ পরামর্শ:

আপনি যদি ফাজিল ডিগ্রি দিয়ে বিদেশে মাস্টার্স করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনার:

  1. ট্রান্সক্রিপ্ট ও সনদ ইংরেজিতে অনুবাদ করতে হবে,

  2. স্বীকৃত ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করতে হবে,

  3. স্কলারশিপ সাইট নিয়মিত দেখতে হবে,

  4. IELTS প্রস্তুতি নিতে হবে।