০৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
শাহ জালাল ও শাহ পরান(রহ.)

শাহ জালাল ও শাহ পরান(রহ.): পরিচয়, জীবনী, ইতিহাস ও অবদান

Nabil Ahmad
  • আপডেট সময়ঃ ১২:৩২:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
  • / ৩৭ বার পড়া হয়েছে।

ইবনে বতুতা কি তাঁর রচনায় শাহ জালাল (রহঃ) এর কথা উল্লেখ করেছেন

বাংলাদেশের ইসলামি ইতিহাসে শাহ জালাল (রহ.) ও তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র শাহ পরান (রহ.) এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। সিলেট অঞ্চলে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিতে তাঁদের অবদান অতুলনীয়। এঁরা কেবল ধর্ম প্রচারকই ছিলেন না, ছিলেন আধ্যাত্মিক সাধক, শিক্ষাদাতা ও সমাজ সংস্কারক। এই তাঁদের পরিচয়, জীবনী, ইতিহাস ও অবদান নিয়ে আলোচনা করা হলো।


শাহ জালাল (রহ.) – সংক্ষিপ্ত পরিচয়

  • পুরো নাম: শাহ জালাল ইয়ামেনী কুনিয়াতি মুজাররাদে ইয়ামেনী
  • জন্ম: আনুমানিক ১২৭১ খ্রিস্টাব্দে ইয়েমেনে (তৎকালীন হাদারামাওত অঞ্চল)
  • উপাধি: মুজাররাদ (যিনি বিবাহ করেননি)
  • ওফাত: ১৫ই জিলকদ, ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দ (বাংলাদেশের সিলেটে)
  • কবরস্থান: শাহ জালাল দরগা, সিলেট, বাংলাদেশ

শাহ পরান (রহ.) – সংক্ষিপ্ত পরিচয়

  • সম্পর্ক: শাহ জালালের ভ্রাতুষ্পুত্র (ভাইয়ের ছেলে)
  • জন্মস্থান: হাদারামাওত, ইয়েমেন
  • সিলেট আগমন: শাহ জালালের সফরসঙ্গী হিসেবে
  • কবরস্থান: শাহ পরান দরগা, খুলিয়াপাড়া, সিলেট

জালাল (রহ.)-এর জীবনী ও ইসলাম প্রচার

শাহ জালাল (রহ.) একজন সাধক, যিনি তাঁর যৌবনেই কুরআন মুখস্থ করেন এবং তাসাউফ শিখতে বের হন।

ইয়েমেন থেকে শুরু করে নানা পথ পাড়ি দিয়ে তিনি উপমহাদেশে আসেন। দিল্লিতে তিনি নিজামউদ্দিন আউলিয়ার সংস্পর্শে আসেন এবং সেখান থেকে বাংলার সিলেট অভিমুখে যাত্রা করেন।

সিলেটে আগমন ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

সিলেটের গৌড় শাসক গৌর গোবিন্দ কর্তৃক এক মুসলিম পরিবার নির্যাতিত হওয়ার ঘটনায় দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ সৈন্য পাঠান। শাহ জালাল (রহ.) ও তাঁর ৩৬০ সফরসঙ্গী এই অভিযানে অংশ নেন। সিলেটে মুসলিম বিজয়ের পর শাহ জালাল (রহ.) সেখানে স্থায়ী হন ও ইসলামের দাওয়াত দেন।

📚 রেফারেন্স:

  • “Silsilat al-Awliya”, Shaikh Nuruddin
  • “Akhbar al-Akhyar”, Sheikh Abdul Haqq Muhaddith Dehlvi
  • “Tazkira Mashaikh-e-Chishti”, Maulana Shamsuddin Chishti

শাহ পরান (রহ.)-এর ইতিহাস ও অবদান

শাহ পরান (রহ.) ছিলেন আত্মমগ্ন, নির্জন প্রিয় একজন আধ্যাত্মিক সাধক। তিনি শাহ জালাল (রহ.)-এর অনুমতিতে সিলেট শহরের বাইরে খুলিয়াপাড়ায় থিতু হন এবং সেখান থেকে ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকেন। তাঁর দরগা আজও হাজারো ভক্ত-অনুরাগীর মিলনস্থল।


আধ্যাত্মিক অবদান

১. ইসলামী জ্ঞানের প্রসার

শাহ জালাল ও শাহ পরান উভয়েই ছিলেন হাদীস, তাফসীর ও তাসাউফের জ্ঞানী। তাঁদের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ ইসলামের জ্ঞান অর্জন করে মুরিদ ও দাওয়াতদাতা হয়ে ওঠে।

২. ৩৬০ আউলিয়ার ভূমিকা

শাহ জালালের সফরসঙ্গী হিসেবে আগত ৩৬০ আউলিয়া বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এবং তাঁদের দ্বারা সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জসহ পুরো অঞ্চলে ইসলামের আলো বিস্তার লাভ করে।

৩. আধ্যাত্মিক সাধনার কেন্দ্র স্থাপন

শাহ জালাল দরগা ও শাহ পরান দরগা পরিণত হয় আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণকেন্দ্রে। সেখানে থেকে বহু আলেম, সুফি, ও দাঈ বের হয়েছেন যারা পরবর্তী শতাব্দীতে ইসলাম প্রচারে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।


সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব

১. সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা

তাঁরা মানুষের মধ্যে ইসলামের মানবতাবাদ, ন্যায়বিচার ও সহমর্মিতা প্রচার করেন। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে এক সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমন্ত্রণ জানানোই ছিল তাঁদের মূল উদ্দেশ্য।

২. হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি

শাহ জালাল ও শাহ পরানের জীবনাচারে অসাম্প্রদায়িকতার ছাপ স্পষ্ট। তাঁদের দরগায় মুসলিম ছাড়াও বহু হিন্দু ভক্ত আসেন, যা প্রমাণ করে তাঁদের প্রভাব বহুধা।


আধুনিক বাংলাদেশে তাঁদের প্রভাব

  • শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
  • শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
  • সিলেট শহরে শাহ জালাল ও শাহ পরানকে ঘিরে রয়েছে শতাধিক মাদ্রাসা ও খানকাহ

উল্লেখযোগ্য কেরামতি ও অলৌকিক ঘটনা

বিভিন্ন ইসলামিক গ্রন্থে ও লোককথায় উল্লেখ আছে যে, শাহ জালাল (রহ.)-এর তাসবিহ, কড়ি, তলোয়ার, এবং মাটির কলসি অলৌকিক শক্তিসম্পন্ন ছিল। আবার, শাহ পরান (রহ.)-এর ভক্তিতে বহু পাথরকৃত মাজারের ঘটনা পাওয়া যায়।

📚 রেফারেন্স:

  • “Tazkiratul Awliya” – Fariduddin Attar
  • “Banglapedia: Shah Jalal”, Asiatic Society of Bangladesh
  • “Hazrat Shah Jalal and His Companions”, Professor Abdul Karim

শাহ জালাল (রহ.) ও শাহ পরান (রহ.) কেবল আধ্যাত্মিক সাধক নন, বরং তাঁরা ছিলেন সমাজ সংস্কারক, দাওয়াতদাতা এবং ইসলামী জ্ঞানের প্রবাহক। তাঁদের অবদানে আজকের সিলেট একটি ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। তাঁদের জীবন ও আদর্শ আমাদের জন্য আজও পথপ্রদর্শক।


প্রশ্নোত্তর (FAQs)

১. শাহ জালাল (রহ.) কোথা থেকে এসেছিলেন?
তিনি ইয়েমেনের হাদারামাওত অঞ্চল থেকে এসেছিলেন।

২. শাহ পরান (রহ.) কে ছিলেন?
তিনি শাহ জালালের ভ্রাতুষ্পুত্র এবং সিলেটের এক বিশিষ্ট আউলিয়া।

৩. শাহ জালালের কতজন সফরসঙ্গী ছিলেন?
৩৬০ জন সুফি আউলিয়া তাঁর সাথে ছিলেন।

৪. শাহ পরান কোথায় অবস্থান করেছিলেন?
তিনি সিলেট শহরের কাছে খুলিয়াপাড়া অঞ্চলে অবস্থান করতেন।

৫. শাহ জালাল ও শাহ পরান-এর দরগা কোথায় অবস্থিত?
উভয় দরগা সিলেট শহরে অবস্থিত এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় ধর্মীয় স্থান।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

শাহ জালাল ও শাহ পরান(রহ.)

শাহ জালাল ও শাহ পরান(রহ.): পরিচয়, জীবনী, ইতিহাস ও অবদান

আপডেট সময়ঃ ১২:৩২:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

বাংলাদেশের ইসলামি ইতিহাসে শাহ জালাল (রহ.) ও তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র শাহ পরান (রহ.) এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। সিলেট অঞ্চলে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিতে তাঁদের অবদান অতুলনীয়। এঁরা কেবল ধর্ম প্রচারকই ছিলেন না, ছিলেন আধ্যাত্মিক সাধক, শিক্ষাদাতা ও সমাজ সংস্কারক। এই তাঁদের পরিচয়, জীবনী, ইতিহাস ও অবদান নিয়ে আলোচনা করা হলো।


শাহ জালাল (রহ.) – সংক্ষিপ্ত পরিচয়

  • পুরো নাম: শাহ জালাল ইয়ামেনী কুনিয়াতি মুজাররাদে ইয়ামেনী
  • জন্ম: আনুমানিক ১২৭১ খ্রিস্টাব্দে ইয়েমেনে (তৎকালীন হাদারামাওত অঞ্চল)
  • উপাধি: মুজাররাদ (যিনি বিবাহ করেননি)
  • ওফাত: ১৫ই জিলকদ, ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দ (বাংলাদেশের সিলেটে)
  • কবরস্থান: শাহ জালাল দরগা, সিলেট, বাংলাদেশ

শাহ পরান (রহ.) – সংক্ষিপ্ত পরিচয়

  • সম্পর্ক: শাহ জালালের ভ্রাতুষ্পুত্র (ভাইয়ের ছেলে)
  • জন্মস্থান: হাদারামাওত, ইয়েমেন
  • সিলেট আগমন: শাহ জালালের সফরসঙ্গী হিসেবে
  • কবরস্থান: শাহ পরান দরগা, খুলিয়াপাড়া, সিলেট

জালাল (রহ.)-এর জীবনী ও ইসলাম প্রচার

শাহ জালাল (রহ.) একজন সাধক, যিনি তাঁর যৌবনেই কুরআন মুখস্থ করেন এবং তাসাউফ শিখতে বের হন।

ইয়েমেন থেকে শুরু করে নানা পথ পাড়ি দিয়ে তিনি উপমহাদেশে আসেন। দিল্লিতে তিনি নিজামউদ্দিন আউলিয়ার সংস্পর্শে আসেন এবং সেখান থেকে বাংলার সিলেট অভিমুখে যাত্রা করেন।

সিলেটে আগমন ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

সিলেটের গৌড় শাসক গৌর গোবিন্দ কর্তৃক এক মুসলিম পরিবার নির্যাতিত হওয়ার ঘটনায় দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ সৈন্য পাঠান। শাহ জালাল (রহ.) ও তাঁর ৩৬০ সফরসঙ্গী এই অভিযানে অংশ নেন। সিলেটে মুসলিম বিজয়ের পর শাহ জালাল (রহ.) সেখানে স্থায়ী হন ও ইসলামের দাওয়াত দেন।

📚 রেফারেন্স:

  • “Silsilat al-Awliya”, Shaikh Nuruddin
  • “Akhbar al-Akhyar”, Sheikh Abdul Haqq Muhaddith Dehlvi
  • “Tazkira Mashaikh-e-Chishti”, Maulana Shamsuddin Chishti

শাহ পরান (রহ.)-এর ইতিহাস ও অবদান

শাহ পরান (রহ.) ছিলেন আত্মমগ্ন, নির্জন প্রিয় একজন আধ্যাত্মিক সাধক। তিনি শাহ জালাল (রহ.)-এর অনুমতিতে সিলেট শহরের বাইরে খুলিয়াপাড়ায় থিতু হন এবং সেখান থেকে ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকেন। তাঁর দরগা আজও হাজারো ভক্ত-অনুরাগীর মিলনস্থল।


আধ্যাত্মিক অবদান

১. ইসলামী জ্ঞানের প্রসার

শাহ জালাল ও শাহ পরান উভয়েই ছিলেন হাদীস, তাফসীর ও তাসাউফের জ্ঞানী। তাঁদের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ ইসলামের জ্ঞান অর্জন করে মুরিদ ও দাওয়াতদাতা হয়ে ওঠে।

২. ৩৬০ আউলিয়ার ভূমিকা

শাহ জালালের সফরসঙ্গী হিসেবে আগত ৩৬০ আউলিয়া বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এবং তাঁদের দ্বারা সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জসহ পুরো অঞ্চলে ইসলামের আলো বিস্তার লাভ করে।

৩. আধ্যাত্মিক সাধনার কেন্দ্র স্থাপন

শাহ জালাল দরগা ও শাহ পরান দরগা পরিণত হয় আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণকেন্দ্রে। সেখানে থেকে বহু আলেম, সুফি, ও দাঈ বের হয়েছেন যারা পরবর্তী শতাব্দীতে ইসলাম প্রচারে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।


সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব

১. সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা

তাঁরা মানুষের মধ্যে ইসলামের মানবতাবাদ, ন্যায়বিচার ও সহমর্মিতা প্রচার করেন। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে এক সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমন্ত্রণ জানানোই ছিল তাঁদের মূল উদ্দেশ্য।

২. হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি

শাহ জালাল ও শাহ পরানের জীবনাচারে অসাম্প্রদায়িকতার ছাপ স্পষ্ট। তাঁদের দরগায় মুসলিম ছাড়াও বহু হিন্দু ভক্ত আসেন, যা প্রমাণ করে তাঁদের প্রভাব বহুধা।


আধুনিক বাংলাদেশে তাঁদের প্রভাব

  • শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
  • শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
  • সিলেট শহরে শাহ জালাল ও শাহ পরানকে ঘিরে রয়েছে শতাধিক মাদ্রাসা ও খানকাহ

উল্লেখযোগ্য কেরামতি ও অলৌকিক ঘটনা

বিভিন্ন ইসলামিক গ্রন্থে ও লোককথায় উল্লেখ আছে যে, শাহ জালাল (রহ.)-এর তাসবিহ, কড়ি, তলোয়ার, এবং মাটির কলসি অলৌকিক শক্তিসম্পন্ন ছিল। আবার, শাহ পরান (রহ.)-এর ভক্তিতে বহু পাথরকৃত মাজারের ঘটনা পাওয়া যায়।

📚 রেফারেন্স:

  • “Tazkiratul Awliya” – Fariduddin Attar
  • “Banglapedia: Shah Jalal”, Asiatic Society of Bangladesh
  • “Hazrat Shah Jalal and His Companions”, Professor Abdul Karim

শাহ জালাল (রহ.) ও শাহ পরান (রহ.) কেবল আধ্যাত্মিক সাধক নন, বরং তাঁরা ছিলেন সমাজ সংস্কারক, দাওয়াতদাতা এবং ইসলামী জ্ঞানের প্রবাহক। তাঁদের অবদানে আজকের সিলেট একটি ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। তাঁদের জীবন ও আদর্শ আমাদের জন্য আজও পথপ্রদর্শক।


প্রশ্নোত্তর (FAQs)

১. শাহ জালাল (রহ.) কোথা থেকে এসেছিলেন?
তিনি ইয়েমেনের হাদারামাওত অঞ্চল থেকে এসেছিলেন।

২. শাহ পরান (রহ.) কে ছিলেন?
তিনি শাহ জালালের ভ্রাতুষ্পুত্র এবং সিলেটের এক বিশিষ্ট আউলিয়া।

৩. শাহ জালালের কতজন সফরসঙ্গী ছিলেন?
৩৬০ জন সুফি আউলিয়া তাঁর সাথে ছিলেন।

৪. শাহ পরান কোথায় অবস্থান করেছিলেন?
তিনি সিলেট শহরের কাছে খুলিয়াপাড়া অঞ্চলে অবস্থান করতেন।

৫. শাহ জালাল ও শাহ পরান-এর দরগা কোথায় অবস্থিত?
উভয় দরগা সিলেট শহরে অবস্থিত এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় ধর্মীয় স্থান।