১১:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
তথ্যচিত্রমূলক বিশ্লেষণ ও ৫০টি প্রশ্নোত্তর

সান্ডা আর গুই সাপের মধ্যে পার্থক্য — তথ্যচিত্রমূলক বিশ্লেষণ ও ৫০টি প্রশ্নোত্তর

Rafi Khaled
  • আপডেট সময়ঃ ১১:০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে।

সান্ডা আর গুই সাপের মধ্যে পার্থক্য — তথ্যচিত্রমূলক বিশ্লেষণ ও ৫০টি প্রশ্নোত্তর

বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের গ্রামীণ সমাজে “সান্ডা” ও “গুই সাপ” নামক দুটি প্রাণীর নাম বহুল পরিচিত। অনেকেই এই দুটি প্রাণীকে একই মনে করেন, কিন্তু বাস্তবে এদের মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য—আকৃতি, স্বভাব, পরিবেশ, এবং ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকেও। আজকের এই প্রামাণ্য প্রবন্ধে আমরা বিস্তারিত জানবো সান্ডা ও গুই সাপের মাঝে কী পার্থক্য, ইসলামী শরীয়তের আলোকে তাদের অবস্থান, এবং এ সম্পর্কিত প্রায় ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর।


সান্ডা ও গুই সাপ কী?

(Varanus griseus): সান্ডা

সান্ডা মূলত মরুভূমিতে বসবাসকারী একটি গিরগিটি প্রজাতির প্রাণী। এটি “Desert Monitor” বা “Monitor Lizard” নামে পরিচিত। এটি দেখতে সর্পাকৃতির হলেও মূলত গিরগিটির বড় সংস্করণ। এটি নিরীহ প্রকৃতির এবং বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের কিছু অঞ্চলে দেখা যায়।

গুই সাপ (Common Worm Snake / Typhlops spp.):

গুই সাপ দেখতে সত্যিকার সাপের মতো, তবে এটি এক ধরনের সরীসৃপ, যা মাটি বা গর্তের নিচে বাস করে। এটি আকারে ছোট ও পাতলা এবং সাধারণত বিষহীন।


পার্থক্য চেনার সহজ উপায়

বিষয় সান্ডা গুই সাপ
শ্রেণিবিন্যাস গিরগিটি (Lizard) সাপ (Snake)
বৈজ্ঞানিক নাম Varanus bengalensis Typhlops প্রজাতি
পা রয়েছে? হ্যাঁ, চারটি পা না, পা নেই
ত্বক মোটা ও খসখসে মসৃণ ও চকচকে
পরিবেশ শুকনো অঞ্চল, গর্তে থাকে মাটির নিচে, আর্দ্র জায়গায়
গতি ধীরে চলে দ্রুত চলে
দাঁত রয়েছে সাধারণত নেই
বিষ নেই নেই (কিছু প্রজাতিতে হালকা বিষ থাকতে পারে)
ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে অধিকাংশ আলেম হারাম বলেন

ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য

সান্ডা:

  • হাদীস অনুসারে, রাসূল ﷺ সান্ডা খাননি, তবে নিষেধও করেননি।

  • ইমাম মালিক ও শাফিঈর মতে এটি হালাল।

  • হানাফি মতে মাকরূহ।

গুই সাপ:

  • সাপজাতীয় প্রাণী হওয়ায় বেশিরভাগ আলেম হারাম বলেন।

  • কুরআনে সাপকে ধোঁকাবাজ ও অপবিত্র প্রাণী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে (সূরা ত্বা-হা ২০:২০)।

  • ইসলাম সাপ মারতে উৎসাহিত করেছে, খেতে নয়।


গবেষণালব্ধ তথ্যসূত্র

  1. Sahih al-Bukhari, Hadith 5538

  2. Sahih Muslim, Hadith 1946

  3. Indian Wildlife Encyclopedia

  4. Encyclopedia of Reptiles and Amphibians

  5. Darul Ifta India (Fatwa Database)

  6. IUCN Red List (Species Identification)


সান্ডা ও গুই সাপ দেখতে প্রায় কাছাকাছি হলেও, এরা প্রকৃতিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ইসলামিক শরিয়তের আলোকে সান্ডা খাওয়া কিছু ক্ষেত্রে বৈধ হলেও গুই সাপ সম্পূর্ণরূপে অপবিত্র ও হারাম হিসেবে চিহ্নিত। মুসলিমদের উচিত এদের পার্থক্য জানা এবং শরিয়াহ মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।


সান্ডা ও গুই সাপ নিয়ে ৫০টি বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর FAQ

১. সান্ডা কি সাপ? → না, এটি গিরগিটি প্রজাতির প্রাণী।

২. গুই সাপ কি আসল সাপ? → হ্যাঁ, এটি সাপ শ্রেণির প্রাণী।
৩. সান্ডার বৈজ্ঞানিক নাম কী? → Varanus griseus


৪. গুই সাপ কোথায় পাওয়া যায়? → মাটি বা গর্তের নিচে।
৫. সান্ডা কি হালাল? → মতভেদ রয়েছে, অনেক ইমাম হালাল বলেন।


৬. গুই সাপ কি হালাল? → অধিকাংশ আলেম হারাম বলেন।


৭. সান্ডা কি পা-যুক্ত? → হ্যাঁ, চারটি পা আছে।
৮. গুই সাপে পা থাকে? → না।


৯. সান্ডা কি বিষধর? → না।


১০. গুই সাপ কি বিষধর? → সাধারণত না, তবে কিছু প্রজাতি হালকা বিষধর।
১১. ইসলামে সাপ মারা কি জায়েজ? → হ্যাঁ, হাদীসে উৎসাহিত করা হয়েছে।


১২. সান্ডা কোন অঞ্চলে পাওয়া যায়? → মরুভূমি ও শুষ্ক অঞ্চল।


১৩. গুই সাপ কি বাড়িতে ক্ষতি করে? → সাধারণত না।
১৪. সাপ কি ঘরে ঢোকে? → হ্যাঁ, মাটির ফাটল দিয়ে।


১৫. সান্ডা কি পালা যায়? → সাধারণত না।
১৬. গুই সাপ কি পোষ মানে? → না।


১৭. সান্ডা কি হিংস্র? → না।


১৮. গুই সাপ কি কামড়ায়? → খুব কম।
১৯. সান্ডা কি মুসলমানরা খেতে পারে? → হ্যাঁ, যদি শরিয়াহ অনুমোদন দেয়।


২০. গুই সাপ খাওয়া কি হারাম? → হ্যাঁ।
২১. সান্ডা কি রক্ত চুষে খায়? → না।


২২. গুই সাপ কি ইঁদুর খায়? → না।

২৩. সান্ডা দেখতে কেমন? → মোটা, পা-যুক্ত, লেজ লম্বা।
২৪. গুই সাপ দেখতে কেমন? → সরু, চকচকে, সাপের মতো।


২৫. গুই সাপ কি ইসলাম সম্মত ওষুধে ব্যবহার হয়? → না।


২৬. সান্ডার তেল ব্যবহার কি জায়েজ? → যদি হারাম কিছু না থাকে, তবে হালাল।


২৭. গুই সাপ কি কোনো রোগে ব্যবহৃত হয়? → লোককথায় শোনা যায়, তবে প্রমাণ নেই।
২৮. সান্ডা কি মানুষের ক্ষতি করে? → না।


২৯. গুই সাপ কি বিষাক্ত নয়? → সাধারণত না।
৩০. মারলে পাপ হয়? → না।


৩১. সান্ডা কোথায় লুকায়? → গর্তে বা বালির নিচে।


৩২. গুই সাপ কোথায় বাস করে? → মাটির নিচে।
৩৩. গুই সাপ কি উষ্ণ রক্তবিশিষ্ট? → না, ঠাণ্ডা রক্তবিশিষ্ট।


৩৪. সান্ডা কি গাছ বেয়ে উঠতে পারে? → হ্যাঁ।
৩৫. গুই সাপ কি লাফ দিতে পারে? → না।


৩৬. গুই সাপের বিষ কি প্রাণঘাতী? → না।


৩৭. সান্ডা খেলে শরীরের ক্ষতি হয়? → যদি সঠিকভাবে রান্না না হয়, হ্যাঁ।
৩৮. সান্ডা কি প্রোটিনসমৃদ্ধ? → হ্যাঁ।


৩৯. গুই সাপ কি উপকারী? → কৃষিক্ষেত্রে কীট নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৪০. গুই সাপ কি পরিবেশবান্ধব? → হ্যাঁ।


৪১. ইসলাম কি প্রাণী সুরক্ষায় উৎসাহিত করে? → হ্যাঁ।


৪২. গুই সাপ ধরা কি বৈধ? → যদি ক্ষতি করে, তবে ধরা যায়।
৪৩. সান্ডা কি শীতকালে শীতঘুমে যায়? → হ্যাঁ।


৪৪. গুই সাপ কি গন্ধ ছড়ায়? → হ্যাঁ, বিপদ টের পেলে।
৪৫. গুই সাপ কি ডিম পাড়ে? → হ্যাঁ।


৪৬. সান্ডা কি গর্ত খুঁড়ে? → হ্যাঁ।


৪৭. ইসলাম কি প্রাণী নির্যাতন নিষেধ করেছে? → হ্যাঁ।
৪৮. গুই সাপ কি উপকারি না অপকারি? → উভয়ই হতে পারে।


৪৯. সান্ডা কি মুসলিম দেশে খাওয়া হয়? → হ্যাঁ, বিশেষত সৌদি আরবে।
৫০. চূড়ান্ত উপদেশ কী? → সঠিক জ্ঞান ছাড়া কোনো প্রাণী ভক্ষণ করা বা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

তথ্যচিত্রমূলক বিশ্লেষণ ও ৫০টি প্রশ্নোত্তর

সান্ডা আর গুই সাপের মধ্যে পার্থক্য — তথ্যচিত্রমূলক বিশ্লেষণ ও ৫০টি প্রশ্নোত্তর

আপডেট সময়ঃ ১১:০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের গ্রামীণ সমাজে “সান্ডা” ও “গুই সাপ” নামক দুটি প্রাণীর নাম বহুল পরিচিত। অনেকেই এই দুটি প্রাণীকে একই মনে করেন, কিন্তু বাস্তবে এদের মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য—আকৃতি, স্বভাব, পরিবেশ, এবং ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকেও। আজকের এই প্রামাণ্য প্রবন্ধে আমরা বিস্তারিত জানবো সান্ডা ও গুই সাপের মাঝে কী পার্থক্য, ইসলামী শরীয়তের আলোকে তাদের অবস্থান, এবং এ সম্পর্কিত প্রায় ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর।


সান্ডা ও গুই সাপ কী?

(Varanus griseus): সান্ডা

সান্ডা মূলত মরুভূমিতে বসবাসকারী একটি গিরগিটি প্রজাতির প্রাণী। এটি “Desert Monitor” বা “Monitor Lizard” নামে পরিচিত। এটি দেখতে সর্পাকৃতির হলেও মূলত গিরগিটির বড় সংস্করণ। এটি নিরীহ প্রকৃতির এবং বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের কিছু অঞ্চলে দেখা যায়।

গুই সাপ (Common Worm Snake / Typhlops spp.):

গুই সাপ দেখতে সত্যিকার সাপের মতো, তবে এটি এক ধরনের সরীসৃপ, যা মাটি বা গর্তের নিচে বাস করে। এটি আকারে ছোট ও পাতলা এবং সাধারণত বিষহীন।


পার্থক্য চেনার সহজ উপায়

বিষয় সান্ডা গুই সাপ
শ্রেণিবিন্যাস গিরগিটি (Lizard) সাপ (Snake)
বৈজ্ঞানিক নাম Varanus bengalensis Typhlops প্রজাতি
পা রয়েছে? হ্যাঁ, চারটি পা না, পা নেই
ত্বক মোটা ও খসখসে মসৃণ ও চকচকে
পরিবেশ শুকনো অঞ্চল, গর্তে থাকে মাটির নিচে, আর্দ্র জায়গায়
গতি ধীরে চলে দ্রুত চলে
দাঁত রয়েছে সাধারণত নেই
বিষ নেই নেই (কিছু প্রজাতিতে হালকা বিষ থাকতে পারে)
ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে অধিকাংশ আলেম হারাম বলেন

ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য

সান্ডা:

  • হাদীস অনুসারে, রাসূল ﷺ সান্ডা খাননি, তবে নিষেধও করেননি।

  • ইমাম মালিক ও শাফিঈর মতে এটি হালাল।

  • হানাফি মতে মাকরূহ।

গুই সাপ:

  • সাপজাতীয় প্রাণী হওয়ায় বেশিরভাগ আলেম হারাম বলেন।

  • কুরআনে সাপকে ধোঁকাবাজ ও অপবিত্র প্রাণী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে (সূরা ত্বা-হা ২০:২০)।

  • ইসলাম সাপ মারতে উৎসাহিত করেছে, খেতে নয়।


গবেষণালব্ধ তথ্যসূত্র

  1. Sahih al-Bukhari, Hadith 5538

  2. Sahih Muslim, Hadith 1946

  3. Indian Wildlife Encyclopedia

  4. Encyclopedia of Reptiles and Amphibians

  5. Darul Ifta India (Fatwa Database)

  6. IUCN Red List (Species Identification)


সান্ডা ও গুই সাপ দেখতে প্রায় কাছাকাছি হলেও, এরা প্রকৃতিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ইসলামিক শরিয়তের আলোকে সান্ডা খাওয়া কিছু ক্ষেত্রে বৈধ হলেও গুই সাপ সম্পূর্ণরূপে অপবিত্র ও হারাম হিসেবে চিহ্নিত। মুসলিমদের উচিত এদের পার্থক্য জানা এবং শরিয়াহ মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।


সান্ডা ও গুই সাপ নিয়ে ৫০টি বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর FAQ

১. সান্ডা কি সাপ? → না, এটি গিরগিটি প্রজাতির প্রাণী।

২. গুই সাপ কি আসল সাপ? → হ্যাঁ, এটি সাপ শ্রেণির প্রাণী।
৩. সান্ডার বৈজ্ঞানিক নাম কী? → Varanus griseus


৪. গুই সাপ কোথায় পাওয়া যায়? → মাটি বা গর্তের নিচে।
৫. সান্ডা কি হালাল? → মতভেদ রয়েছে, অনেক ইমাম হালাল বলেন।


৬. গুই সাপ কি হালাল? → অধিকাংশ আলেম হারাম বলেন।


৭. সান্ডা কি পা-যুক্ত? → হ্যাঁ, চারটি পা আছে।
৮. গুই সাপে পা থাকে? → না।


৯. সান্ডা কি বিষধর? → না।


১০. গুই সাপ কি বিষধর? → সাধারণত না, তবে কিছু প্রজাতি হালকা বিষধর।
১১. ইসলামে সাপ মারা কি জায়েজ? → হ্যাঁ, হাদীসে উৎসাহিত করা হয়েছে।


১২. সান্ডা কোন অঞ্চলে পাওয়া যায়? → মরুভূমি ও শুষ্ক অঞ্চল।


১৩. গুই সাপ কি বাড়িতে ক্ষতি করে? → সাধারণত না।
১৪. সাপ কি ঘরে ঢোকে? → হ্যাঁ, মাটির ফাটল দিয়ে।


১৫. সান্ডা কি পালা যায়? → সাধারণত না।
১৬. গুই সাপ কি পোষ মানে? → না।


১৭. সান্ডা কি হিংস্র? → না।


১৮. গুই সাপ কি কামড়ায়? → খুব কম।
১৯. সান্ডা কি মুসলমানরা খেতে পারে? → হ্যাঁ, যদি শরিয়াহ অনুমোদন দেয়।


২০. গুই সাপ খাওয়া কি হারাম? → হ্যাঁ।
২১. সান্ডা কি রক্ত চুষে খায়? → না।


২২. গুই সাপ কি ইঁদুর খায়? → না।

২৩. সান্ডা দেখতে কেমন? → মোটা, পা-যুক্ত, লেজ লম্বা।
২৪. গুই সাপ দেখতে কেমন? → সরু, চকচকে, সাপের মতো।


২৫. গুই সাপ কি ইসলাম সম্মত ওষুধে ব্যবহার হয়? → না।


২৬. সান্ডার তেল ব্যবহার কি জায়েজ? → যদি হারাম কিছু না থাকে, তবে হালাল।


২৭. গুই সাপ কি কোনো রোগে ব্যবহৃত হয়? → লোককথায় শোনা যায়, তবে প্রমাণ নেই।
২৮. সান্ডা কি মানুষের ক্ষতি করে? → না।


২৯. গুই সাপ কি বিষাক্ত নয়? → সাধারণত না।
৩০. মারলে পাপ হয়? → না।


৩১. সান্ডা কোথায় লুকায়? → গর্তে বা বালির নিচে।


৩২. গুই সাপ কোথায় বাস করে? → মাটির নিচে।
৩৩. গুই সাপ কি উষ্ণ রক্তবিশিষ্ট? → না, ঠাণ্ডা রক্তবিশিষ্ট।


৩৪. সান্ডা কি গাছ বেয়ে উঠতে পারে? → হ্যাঁ।
৩৫. গুই সাপ কি লাফ দিতে পারে? → না।


৩৬. গুই সাপের বিষ কি প্রাণঘাতী? → না।


৩৭. সান্ডা খেলে শরীরের ক্ষতি হয়? → যদি সঠিকভাবে রান্না না হয়, হ্যাঁ।
৩৮. সান্ডা কি প্রোটিনসমৃদ্ধ? → হ্যাঁ।


৩৯. গুই সাপ কি উপকারী? → কৃষিক্ষেত্রে কীট নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৪০. গুই সাপ কি পরিবেশবান্ধব? → হ্যাঁ।


৪১. ইসলাম কি প্রাণী সুরক্ষায় উৎসাহিত করে? → হ্যাঁ।


৪২. গুই সাপ ধরা কি বৈধ? → যদি ক্ষতি করে, তবে ধরা যায়।
৪৩. সান্ডা কি শীতকালে শীতঘুমে যায়? → হ্যাঁ।


৪৪. গুই সাপ কি গন্ধ ছড়ায়? → হ্যাঁ, বিপদ টের পেলে।
৪৫. গুই সাপ কি ডিম পাড়ে? → হ্যাঁ।


৪৬. সান্ডা কি গর্ত খুঁড়ে? → হ্যাঁ।


৪৭. ইসলাম কি প্রাণী নির্যাতন নিষেধ করেছে? → হ্যাঁ।
৪৮. গুই সাপ কি উপকারি না অপকারি? → উভয়ই হতে পারে।


৪৯. সান্ডা কি মুসলিম দেশে খাওয়া হয়? → হ্যাঁ, বিশেষত সৌদি আরবে।
৫০. চূড়ান্ত উপদেশ কী? → সঠিক জ্ঞান ছাড়া কোনো প্রাণী ভক্ষণ করা বা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।