পূজায় মুসলিমদের অংশ নেয়া সম্পর্কে ৫০টি বহুল আলোচিত প্রশ্ন উত্তর।
পূজায় মুসলিমদের অংশনেয়া সম্পর্কে ৫০টি প্রশ্নউত্তর FAQ
- আপডেট সময়ঃ ১২:৪২:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
- / ৫৬ বার পড়া হয়েছে।
পূজায় মুসলিমদের অংশ নেয়া সম্পর্কে ৫০টি বহুল আলোচিত প্রশ্ন উত্তর। পূজায় মুসলিমদের অংশ নেয়া সম্পর্কে ৫০টি বহুল আলোচিত প্রশ্ন উত্তর।
রাসূল ﷺ বলেছেন:
“من تشبه بقوم فهو منهم”
“যে ব্যক্তি কোনো জাতির সাথে সাদৃশ্য রাখে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত।”
(আবু দাউদ 4031)
৫০টি বহুল আলোচিত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১: মুসলিম কি পূজামণ্ডপে যেতে পারবে?
উত্তর: না, কারণ এটি শিরকীয় অনুষ্ঠান। (সূরা ফুরকান 25:72)
প্রশ্ন ২: মুসলিম কি দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানাতে পারবে?
উত্তর: না, এতে কুফরী কাজকে সমর্থন করা হয়।
প্রশ্ন ৩: শুধু ছবি তুলতে যাওয়া যাবে কি?
উত্তর: না, কারণ উপস্থিত থাকা মানেই সমর্থন।
প্রশ্ন ৪: দুর্গাপূজার প্রসাদ খাওয়া যাবে কি?
উত্তর: একেবারেই না, কারণ তা শিরকীয় উৎসর্গকৃত খাবার। (সূরা আনআম 6:145)
প্রশ্ন ৫: মুসলিম ব্যবসায়ী কি পূজার সময় দোকান সাজাতে পারবে?
উত্তর: না, এতে হারাম কাজে সহায়তা করা হয়। (সূরা মায়েদা 5:2)
প্রশ্ন ৬: মুসলমান কর্মচারী কি পূজামণ্ডপে কাজ করতে পারবে?
উত্তর: না, কারণ এটি শিরকের সরাসরি সহযোগিতা।
প্রশ্ন ৭: অমুসলিম প্রতিবেশী পূজার দাওয়াত দিলে কী করবে?
উত্তর: সুন্দরভাবে দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করবে, তবে সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখবে।
প্রশ্ন ৮: সামাজিক কারণে কি মুসলিমদের যাওয়া জায়েজ হবে?
উত্তর: না, কারণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান সামাজিকতার নামে জায়েজ হয় না।
প্রশ্ন ৯: বাচ্চাদের পূজা দেখতে দেওয়া যাবে কি?
উত্তর: না, এতে তাদের আকীদাহ দুর্বল হবে।
প্রশ্ন ১০: দুর্গাপূজার ছুটি উপভোগ করা যাবে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, তবে পূজায় অংশ না নিয়ে বৈধ কাজে সময় ব্যবহার করা যাবে।
১১. পূজামণ্ডপে গিয়ে প্রদীপ বা আরতি জ্বালানো (প্রদীপ প্রজ্জ্বলন) জায়েজ কি?
: না। প্রদীপ-আরতি মূর্তিপূজার অংশ; যেগুলোতে সামিল হওয়া শিরকের সঙ্গে সাদৃশ্যসৃষ্টিকর। (সূরা লুকমান 31:13; হাদীস: من تشبه بقوم فهو منهم — আবু দাউদ 4031)।
১২. পূজামণ্ডপে দাঁড়িয়ে মূর্তিকে সম্মান দেখানো জায়েজ কি?
: না। মূর্তিকে সম্মান দেখানো (প্রণাম বা বিশেষ আচার) সরাসরি শিরকের অনুরূপ। (সূরা আন-নিসা 4:140; হাদীস: من تشبه بقوم فهو منهم)।
১৩. অমুসলিম সঙ্গীর অনুরোধে পূজামণ্ডপে একবার কেবল যাওয়া—কি হবে?
: হারাম। সামাজিক ভদ্রতার অজুহাত শিরকীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকে جائز করাতে পারে না। (সূরা আল-মুমতাহিনা 60:8 গ্রহণযোগ্যতা থাকলেও ধর্মীয় আচার অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ)।
১৪. পূজামণ্ডপে গিয়ে ভিডিও/লাইভ করা জায়েজ কি?উত্তর: না—এটি উপস্থিতি ও প্রচারের সমতূল্য; শিরকীয় ইবাদতকে প্রচার করা যাবে না। (সূরা ফুরকান 25:72; হাদীস সূত্রে সাদৃশ্য সম্পর্কিত আদেশ)।
১৫. পূজার সময় মঞ্চে বসে অনুষ্ঠান দেখা (নাটক/সংস্কৃতি) যায় কি?
: না, কারণ এ অনুষ্ঠান সাধারণত ধর্মীয় আচারসংক্রান্ত; উপস্থিতি সমর্থন হিসেবে গণ্য হবে। (সূরা আন-নিসা 4:140)।
১৬. যদি কেউ অজান্তেই পূজামণ্ডপে প্রবেশ করে—হুকুম কী?
: অজান্তে গেলে তাকে তওবা করতে হবে এবং ভবিষ্যতে সচেতন থাকতে হবে। ইচ্ছাকৃত না হলে আল্লাহ রহমতশীল; তবে সচেতনতা জরুরি। (হাদীস: التائب من الذنب كمن لا ذنب له — তাওবা সম্পর্কে সার্বিক শিক্ষা)।
১৭. পূজার অনুষঙ্গে গান-বাজনা থাকলে কি সেখানেই অংশ নেয়া যাবে?
: না, কারণ পুরো পরিবেশটি পূজা-উৎসবের সঙ্গে জড়িত; অংশগ্রহণ শিরকের সমর্থন হিসেবে গণ্য হয়। (সূরা লুকমান 31:13)।
১৮. পূজামণ্ডপে গিয়ে আলো-ছবি (ফটোশুট) করা জায়েজ কি?
: না—প্রেজেন্স ও প্রচারণার অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে; কেবল দর্শক হিসেবে থাকা থেকেও বিরত থাকা উত্তম। (হাদীস: من تشبه بقوم فهو منهم)।
১৯. পূজামণ্ডপে গিয়ে মণ্ডপ-শোভা/সাজসজ্জায় সহায়তা করা (সাজানো) জায়েজ কি?
: না। সরাসরি উৎসবকে সহায়তা করা হারাম। (সূরা মায়িদা 5:2—অন্যের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সহায়তা বিষয়ে নীতি প্রয়োগ)।
২০. দুর্গাপূজার সময় রাস্তা দিয়ে গমন বাধ্যতামূলক হলে থামা যাবেনা?
: শুধু প্রয়োজনীয় গতিবিধির জন্য রাস্তা পারাপারের অনুমতি আছে; উত্সব স্থলে থেমে উপস্থিত থাকা বা অংশগ্রহণ অপ্রত্যাশ্যভাবে হারাম। (সূরা আল-ফুরকান 25:72; ফিকহি আধার)।
২১. পূজায় দেয়া ‘শুভেচ্ছা’ (শুভ কামনা) জানানোর ব্যাপারে কী বলা আছে?
: সাধারণ সামাজিক শিষ্টাচার হিসেবে সাধারণভাবে স্বাস্থ্য-বিষয়ক/নিরপেক্ষ শুভকামনা (যদি এতে ধর্মীয় স্বীকৃতি না থাকে) নিষিদ্ধ নয়; কিন্তু বিশেষভাবে পূজাকে স্বীকৃতি দেয় এমন শুভেচ্ছা (যেমন “শুভ পূজা”) করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ। (ইজমা ও মাশরকে আলেমদের ফতাওয়া অনুযায়ী)।
২২. পূজামণ্ডপ থেকে প্রাপ্ত খাবার (প্রসাদ) গ্রহণ করা যায় কি?
: সাধারনত না—প্রসাদ প্রায়ই উৎসর্গকৃত খাবার; কুরআনে আল্লাহর প্রতি উৎসর্গকৃত খাদ্য সম্পর্কে সতর্কতা আছে (সূরা আনআম 6:145)। আলবৎ যদি নিশ্চিতভাবে প্রমাণ হয় এটি কেবল সাধারণ খাদ্য এবং এতে কোন শিরকী আনুষ্ঠানিক যোগ নেই, কিছু আলেম অনুমতি দিতে পারে; কিন্তু সতর্কতা প্রয়োজন।
২৩. পূজার সময় দোকান-বাণিজ্য করলে কোরবানি বা হালাল-হারামের প্রশ্ন আসে?
: দোকান খোলা ও ব্যবসা করা নিজে নিজে সৌভার্যপূর্ণ হতে পারে; কিন্তু দোকান বিশেষভাবে পূজা-উৎসবকে প্রচার বা সহায়তা করলে তা হারাম। ব্যবসায়িক অনুপস্থিতি (শুভেচ্ছা বা শিরক প্রচারণা না করা) রাখলে সমাধান করা যায়। (ফিকহি নীতিঃ উদ্দেশ্য ও সহায়তার নিরিখে বিবেচ্য)।
২৪. পূজার সময় নিজ বাড়ি বা দোকানে আলোকসজ্জা করলে কী বলা হবে?
: আলোকসজ্জা যদি সরাসরি পূজার সমর্থন বা উৎসব অংশীদারিত্ব হিসেবে হয়, তা এড়িয়ে চলা উচিত। কিন্তু সাধারণ সাদাসিধে সাজ সাজানো ভিন্ন প্রসঙ্গ—তবে আলেমদের কাছে এ ব্যাপারে বিবেচনা ভিন্ন হতে পারে; সতর্কতা বজায় রাখা ভাল।
২৫. পূজার সময় কর্মস্থলে কাজ করা—কিছু অবাঞ্ছিত হবে কি?
: যদি কাজ সরাসরি মূর্তিপূজার সহযোগিতা করে (যেমন মণ্ডপ নির্মাণ, আরতি করণ ইত্যাদি), তাহলে হারাম। সাধারণ ব্যবসা-কার্যক্রম চালানো আল্লাহর অনুকূলে; তবে শিরকীয় কাজে অংশ না নিতে হবে। (সূরা মায়েদা 5:2 নীতি প্রয়োগ)।
২৬. পূজা উপলক্ষে কোরআন-পাঠ বা ইসলামী দোয়া করা উচিৎ কোথায়?
: মুসলিমদের উচিত জায়গাটি এড়িয়ে দরকারে পাশে বা ঘরে কোরআন পাঠ করা, সামাজিক শান্তি বজায় রাখতে দোয়া করা ঠিক আছে; কিন্তু উত্সবকে সমর্থন নয়। (সূরা আল-মুমতাহিনা 60:8 সামাজিক আচরণের দিক নির্দেশ)।
২৭. পূজামণ্ডপে ছবি/ভিডিও তুলে সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করা জায়েজ?
: না। শেয়ার করলে আপনি শিরকীয় কর্মকাণ্ডকে প্রচার করছেন, যা হারাম। (হাদীস: من تشبه بقوم فهو منهم)।
২৮. পূজায় অংশ নেওয়া মুসলিমকে সমাজে কি পরিণতি দেখা যায়?
: ঈমান দুর্বলতা, ধর্মচেতনার ক্ষয়, পরিবারের মধ্যে বিভ্রান্তি এবং আলেমদের চোখে নিন্দা—এসব হতে পারে। (ইতিহাসিক ফিকহি ও নৈতিক শিক্ষা অনুযায়ী)।
২৯. পূজার সময় মুসলিম পরিবেশে নিরাপত্তা সংকট থাকলে কি যাবে?
: যদি নিরাপত্তার কারণে প্রয়োজনীয় কোনো কাজে যেতে হয় (উদাহরণ: জরুরি চিকিৎসা, সাহায্য), তাহলে যায় কিন্তু ধ্যান-ধারণা রেখে—উৎসবের অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। (শরীয় আইনের জরুরি অবস্থা নীতিমালা)।
৩০. পূজা দেখে কেউ আল্লাহর বিরুদ্ধে সন্দেহ শুরু করলে কি করা উচিত?
: সবচেয়ে জরুরি হল শিক্ষা ও দাওয়াত—মনোভাব পরিবর্তন, কুরআন-হাদিসের আলো তুলে ধরা এবং আলেমের পরামর্শ নেওয়া। (দাওয়া ও তাজকিয়ার ঐতিহ্য অনুযায়ী)।
৩১. শিশুদের পূজা দেখতে দেওয়া যাবে কি?
: সাধারণভাবে না; শিশুদের আকীদাহ রক্ষার জন্য পূজামণ্ডপের পরিবেশ থেকে বিরত রাখাই ভাল। তবে স্বল্পবয়সী শিশুর নিরাপদ পরিচর্যায় শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক পর্যবেক্ষণ সীমাবদ্ধভাবে গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করেও আলেমরা সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। (শিক্ষাগত ও ত্রাণমূলক নির্দেশিকা)।
৩২. পূজায় অংশগ্রহণ করে যদি কেউ অনুতপ্ত হয়—তার তাওবার প্রক্রিয়া কী?
: সত্যিকারের অনুতাপ, পরবর্তীতে পুনরায় সে কর্ম না করা, ক্ষতিপূরণ (যদি প্রযোজ্য) ও আল্লাহর কাছে দায়মুক্তির জন্য মোনাজাত—এটাই তাওবা। (কুরআন: সূরা আত-তাওবা 9:104; হাদীস-তাওবার নিয়ম)।
৩৩. পূজার সময় মসজিদের সামনে মণ্ডপ হলে কী হবে?
: যদি মসজিদের সম্মানহানি বা শিরক প্রচার হয়, মুসলিমদের উচিত আপত্তি জানানো এবং স্থান এড়িয়ে চলা; স্থানীয় উলামা ও সমাজকে বিষয়টি জানানো ভাল। (আদব ও সমাজনীতি)।
৩৪. পূজার সময় কোনো মুসলিম যদি দাওয়াতে বসে—খাবার গ্রহণ করলে কী হবে?
: যদি খাদ্য উৎসর্গকৃত (উৎসবে নিবেদিত) হয়, গ্রহণ না করাই উত্তম; যদি নিশ্চিতভাবে উৎসর্গ না এবং হালাল প্রক্রিয়ায় হয়, কিছু আলেম সীমিতভাবে অনুমতি দেয়—সতর্কতা অপরিহার্য। (সূরা আনআম 6:145 সম্পর্কিত নীতিমালা)।
৩৫. পূজায় মেয়েরা যদি অংশ নেয়—ফিকহি দৃষ্টিকোণ কী?
: একইভাবে হারাম। পুরুষ-নারী উভয়ের জন্য শিরকীয় ইবাদতে অংশগ্রহণ সমানভাবে নিষিদ্ধ। (কুরআন ও হাদীস নীতিতে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য নেই)।
৩৬. পূজামণ্ডপে মুসলিমের উপস্থিতি নিয়ে আলিমদের মতভেদ আছে কি?
: মোটেই—প্রধানত ঐতিহ্যগত সালাফ-সহ অন্যান্য প্রধান মাযহাব ও আলেমরা সাধারণত একমত যে শিরকী উৎসবে অংশগ্রহণ হারাম। ফিকহি সূক্ষ্মতায় কিছু বিচিত্রতা থাকতে পারে (যেমন খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে), তবে মূল নীতি অপরিবর্তিত। (ইবনে তাইমিয়া, ইমাম শফই, হানবালী, হানাফি পদক্ষেপের ব্যাখ্যা)।
৩৭. পূজায় অংশগ্রহণ করলে কি ইসলামী আইন অনুযায়ী কল্যাণমূলক শাস্তি আছে?
: শাস্তি নির্ধারণের ব্যাপারে বিষয়ভিত্তিক বিচার হয়; ব্যক্তিগত স্তরে এটি গুনাহ; সামাজিক ও আইনি শাস্তি ইসলামী রাষ্ট্রের মাধ্যমে হলেও আধুনিক দেশের নাগরিক আইনের মধ্যে ভিন্নতা থাকে। ব্যক্তিগত দায় হলো তওবা ও সংশোধন। (ফিকহি নীতিতে ব্যক্তিগত-পাবলিক ভিন্নতা)।
৩৮. পূজামণ্ডপে গিয়ে বক্তৃতা করা/ভাষণ দেয়া (অলোচনা) কি যাবে?
: না; এটি সম্প্রসারণ ও সমর্থন হিসেবে গণ্য হবে। ধর্মীয় আচারকর্মে ভাষণ দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। (হাদীস ও কুরআন নির্দেশ)।
৩৯. পূজামণ্ডপে গিয়ে মুসলিমরা যদি মঞ্চ-উপস্হিতি না রাখে, কিন্তু অন্যান্য আনুষঙ্গিক কর্মকাণ্ডে (যেমন ভ্রমণ, ছবি, ইত্যাদি) যুক্ত থাকে—হুকুম কী?
: যদি কার্যত উপস্থিতি উৎসবকে সহায়তা করে বা প্রচার করে, সেটাও অপছন্দজনক এবং অনুচিত। নিখুঁতভাবে নিরপেক্ষ ও সহানুভূতিশীল অবস্থান বজায় রাখা জরুরি। (মাশরেকি-ফিকহ পরামর্শ)।
৪০. দুর্গাপূজা অভিযান বা র্যালি-সমূহে অংশ নেওয়া গিয়ে ধর্মীয় সাদৃশ্য সৃষ্টি হলে কি হবে?
: অংশগ্রহণ কঠোরভাবে মনা; র্যালি/অনুষ্ঠান যেখানে মূর্তি আরাধনা বা ধার্মিক প্রচারণা করা হয়, সেখানে মুসলিমদের যুক্ত হওয়া নিষিদ্ধ। (সূরা ফুরকান 25:72; হাদীস আদল)।
৪১. পূজার সময় অন্য ধর্মাবলম্বীর আবেগ ঠেকাতে না পারলে কী করণীয়?
: সহানুভূতি ও নরম ভঙ্গিতে ব্যক্তিগত সীমারেখা স্থাপন করা; তর্ক-বিতর্ক বা প্রতিকারের বদলে সহমর্মিতা ও দাওয়াতের মাধ্যমে বোঝানো ভাল। (সূরা আল-মুমতাহিনা 60:8 সামাজিক আচরণ নির্দেশ)।
৪২. পূজায় অংশ নেওয়া নিজের ধর্ম থেকে বিচ্যুতি নেতিবাচক প্রভাব ফেললে কীভাবে পুনরুদ্ধার করা যাবে?
: তাওবার মাধ্যমে, কোরআন-হাদিস পাঠ, আলেমের পরামর্শ গ্রহণ, ধর্মীয় শিক্ষা ও ইমান দৃঢ় করার মাধ্যমে পুনরুদ্ধার সম্ভব। (কুরআন: সূরা আল-ফুরকান 25:71—তাওবা সম্পর্কিত নীতিশিক্ষা)।
৪৩. পুলিশ/সরকারি কাজের স্বার্থে পূজামণ্ডপে যাওয়া বাধ্যতামূলক হলে কী করা উচিত?
: সরকারি/আইনগত বাধ্যবাধকতার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে অংশ নেওয়া প্রয়োজনে গ্রহণযোগ্য—
কিন্তু ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে সক্রিয় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। (ফিকহি নীতিঃ জরুরি প্রয়োজনে শর্তযুক্ত।)
৪৪. পূজামণ্ডপের সঙ্গে ফটো-স্ট্যান্ড/বিজ্ঞাপন জড়িত হলে কি অংশ নেওয়া যাবে?
: এধরনের কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া উৎসবকে প্রচার করা; তাই এড়িয়ে চলা উচিত। (হাদীস: সাদৃশ্য নীতি)।
৪৫. পূজায় রাজনৈতিক বা সামাজিক মেসেজ যুক্ত থাকলে মুসলিম অংশগ্রহণের হুকুম কি?
: ধর্মীয় উদযাপনকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাপোর্ট করা অনুচিত। মুসলমানদের জন্য নৈতিকভাবে সাবধানতা বজায় রাখা উচিৎ। (আকীদাহ ও নৈতিক নীতির মিশ্রণ)।
৪৬. পূজায় মুসলিমদের উপস্থিতি সম্পর্কে স্থানীয় উলামাদেরও কি আলাদা মত থাকতে পারে?
: মূলত নয়—প্রধান ধারা একমত যে শিরকীয় অংশগ্রহণ হারাম। ফিকহি সূক্ষ্মতায় কিছু বিচিত্রতা থাকলেও মৌলিক নিষেধ অটল। (ইবনে তাইমিয়া ও অন্যান্য প্রসিদ্ধ আলেমদের উদ্ধৃতি)।
৪৭. পূজায় অংশ নেওয়া মুসলিমকে কি সমাজে পুনরায় গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া যাবে?
আল্লাহ ক্ষমাশীল; যদি সে তাওবা করে ও পুনরাবৃত্তি না করে, সমাজ ও ধর্মীয় সম্প্রদায় তাকে পুনরায় গ্রহণ করতে পারবে।
(কুরআন: সূরা আজ-যুমার 39:53 — আল্লাহর রহমত)।
৪৮. পূজায় অংশ নিয়ে ইন্টারফেইথ প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়া—কী বলা হবে?
: আন্তঃধর্ম সংলাপ ও সংহতি প্রসারে অংশ নেওয়া যায়, কিন্তু ধর্মীয় আচার-উৎসবে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। ইন্টারফেইথ কর্মসূচি যদি নিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক আলাপ হয়, অংশগ্রহণ সম্ভব; কিন্তু পূজা-উৎসবের অংশ নয়। (সূরা আল-মুমতাহিনা 60:8 নীতিগত সহাবস্থান নির্দেশ)।
৪৯. পূজায় অংশ নেওয়া সম্পর্কে স্থানীয় ইমাম/মুসিয়েদের কি করণীয়?
: নিষেধ জ্ঞাপন, মুসলমানদের শিক্ষা ও সচেতনকরণ, সমাজে সৌহার্দ্য বজায় রেখে ধর্মীয় সীমারেখা নির্দেশ করা। (দাওয়া ও তাজকিয়া কার্যক্রম)।
৫০. ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে সমাজসংহতি কিভাবে বজায় রাখা যাবে যখন পূজা-উৎসব সম্প্রতি বৃহৎ?
: নীতি—(1) সদাচার বজায় রাখুন, (2) ধর্মীয় সীমা বজায় রাখুন, (3) সহমর্মিতা দেখান, (4) শিক্ষা ও দাওয়াত চালান। ধর্মীয় উৎসবে অংশ না নিয়ে সামাজিক শ্রদ্ধা প্রকাশ করা সম্ভব ও প্রয়োজনীয়। (সূরা আল-মুমতাহিনা 60:8; কোরবানি নীতিতে ঐক্য)।
সংক্ষিপ্ত দিকনির্দেশ ও দলিলের তালিকা (রেফারেন্স সমূহ — বাংলায় উল্লেখযোগ্য):
- কুরআন: সূরা আল-ফুরকান 25:72; সূরা লুকমান 31:13; সূরা আন-নিসা 4:140; সূরা আল-মুমতাহিনা 60:8; সূরা আনআম 6:145; সূরা আত-তাওবা।
- হাদীস: من تشبه بقوم فهو منهم — (আবু দাউদ 4031); اجتنبوا السبع الموبقات — (বুখারি/মুসলিম উল্লেখ); তাওবা সম্পর্কিত হাদীস ও বিবৃতি।
- আলেমদের উদ্ধৃতি: ইবনে তাইমিয়া, ইমাম নববী (শরহ), ইবনে কাসীর (তাফসীর) —
- সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে; বিশদ উদ্ধৃতি চাইলে আলাদা তালিকা প্রদান করা যাবে।








