০২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
"রুকইয়া পানি: প্রস্তুতি, দোয়া এবং সঠিক ব্যবহার"

রুকইয়ার পানি তৈরী করার নিয়ম – রুকইয়া কি? কেন ও কিভাবে করে? বিস্তারিত

Faruq Hasan
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:৪৪:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৭১ বার পড়া হয়েছে।

কুরআনিক চিকিৎসা রুকইয়াহ

রুকইয়া ইসলামি প্রথায় এক ধরনের নাজাতি বা সুরক্ষা পদ্ধতি, যা আল্লাহর নামে বিভিন্ন দোয়া, আয়াত ও ধ্যান ব্যবহার করে করা হয়।

এটি জিন, কালো জাদু, নেক্কারাম বা নকারাত্মক শক্তি থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহৃত হয়।

রুকইয়ার পানি তৈরী করা হলে তা শরীর বা বাড়িতে ব্যবহার করে প্রাকৃতিক ও মানসিক সুরক্ষা প্রদান করা যায়।


রুকইয়া কী?

  • রুকইয়া হচ্ছে ইসলামিক দোয়া ও আয়াতের মাধ্যমে রোগ, জিন বা শয়তানি প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার পদ্ধতি।
  • এটি শাস্ত্রানুযায়ী আল্লাহর নামে করা হয়।
  • মূলত সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাসের আয়াত পড়ে করা হয়।

রুকইয়া কেন করা হয়?

  1. জিন বা শয়তানি প্রভাব দূর করতে।
  2. কালো জাদু বা নেক্কারাম প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে।
  3. মানসিক শান্তি ও সুরক্ষা পেতে।
  4. শারীরিক অসুস্থতা ও অস্বস্তি দূর করতে।
  5. পরিবার ও ঘরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।

জীনপরী বা যাদুকুফুরী থেকে বাঁচার পরীক্ষিত আমল, তদবির


রুকইয়ার পানি তৈরীর নিয়ম

প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র

  • পরিষ্কার পানি (সাধারণত বোতলজাত বা ফিল্টার করা পানি)
  • একটি পরিষ্কার পাত্র
  • রুকইয়া দাওয়াত জানার ব্যক্তি (আল্লাহর নাম নিয়ে আয়াত পাঠ করতে পারেন)

ধাপ ১: পানি প্রস্তুত

  • পাত্রে পরিষ্কার পানি নিন।
  • পানি অবশ্যই পরিষ্কার ও ঝরঝরে হওয়া উচিত।

 ২: আয়াত ও দোয়া পাঠ করা

  • পানি নিয়ে পড়ুন:
    1. সূরা ফাতিহা
    2. আয়াতুল কুরসী (সূরা বাকারা: 255)
    3. সূরা আল-ফালাক
    4. সূরা আন-নাস
  • কিছু সময় ধরে পড়া যায় যাতে পানিতে শক্তি প্রবাহিত হয়।

ধাপ ৩: দোয়া ও নিশ্চিত করুন

  • আল্লাহর নাম এবং দোয়া স্মরণ করে পানি ব্যবহারের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করুন।
  • পড়া শেষে পানি ব্যবহার করা যায় শরীরে স্পর্শ বা পানির মাধ্যমে।

জীনপরী বা যাদুকুফুরী থেকে বাঁচার পরীক্ষিত আমল, তদবির


রুকইয়ার পানির ব্যবহার

  1. পানিতে স্পর্শ বা স্নান:
    • কিছু পানি শরীরের বিভিন্ন অংশে স্পর্শ করুন।
  2. খাওয়ানো বা পান করানো:
    • অসুস্থ বা প্রভাবিত ব্যক্তিকে পানি খাওয়ানো যায়।
  3. বাড়ি বা ঘরে ব্যবহার:
    • পানিটি ঘরে স্পর্শ করা বা কিছু অংশে ছিটানো যায়।
  4. মানসিক শান্তির জন্য:
    • পানি হাতে নিয়ে পড়ার মাধ্যমে নেক্কারাম শক্তি দূর করা।

সতর্কতা ও নির্দেশনা

  • শুধু আল্লাহর নাম ও আয়াত দিয়ে রুকইয়া করা উচিত।
  • নেক্কারাম বা কুসংস্কৃত পদ্ধতি ব্যবহার করা হারাম।
  • রুকইয়া পানিকে সবসময় পরিষ্কার পাত্রে রাখা উচিত।
  • প্রয়োজনে বিশ্বস্ত আলেম বা ইমামের পরামর্শ নিন।

রুকইয়া পানি তৈরী করা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে একটি নিরাপদ ও কার্যকর পদ্ধতি, যা জিন, কালো জাদু, মানসিক অশান্তি ও রোগ থেকে মুক্তি দেয়।

এটি শুধুমাত্র আল্লাহর নামে এবং ইসলামী দোয়া ও আয়াত পাঠের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।

সঠিকভাবে রুকইয়া পালন করলে পরিবার, ঘর ও ব্যক্তির জন্য সুরক্ষা ও শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব।

জীনপরী বা যাদুকুফুরী থেকে বাঁচার পরীক্ষিত আমল, তদবির

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

"রুকইয়া পানি: প্রস্তুতি, দোয়া এবং সঠিক ব্যবহার"

রুকইয়ার পানি তৈরী করার নিয়ম – রুকইয়া কি? কেন ও কিভাবে করে? বিস্তারিত

আপডেট সময়ঃ ০৪:৪৪:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রুকইয়া ইসলামি প্রথায় এক ধরনের নাজাতি বা সুরক্ষা পদ্ধতি, যা আল্লাহর নামে বিভিন্ন দোয়া, আয়াত ও ধ্যান ব্যবহার করে করা হয়।

এটি জিন, কালো জাদু, নেক্কারাম বা নকারাত্মক শক্তি থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহৃত হয়।

রুকইয়ার পানি তৈরী করা হলে তা শরীর বা বাড়িতে ব্যবহার করে প্রাকৃতিক ও মানসিক সুরক্ষা প্রদান করা যায়।


রুকইয়া কী?

  • রুকইয়া হচ্ছে ইসলামিক দোয়া ও আয়াতের মাধ্যমে রোগ, জিন বা শয়তানি প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার পদ্ধতি।
  • এটি শাস্ত্রানুযায়ী আল্লাহর নামে করা হয়।
  • মূলত সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাসের আয়াত পড়ে করা হয়।

রুকইয়া কেন করা হয়?

  1. জিন বা শয়তানি প্রভাব দূর করতে।
  2. কালো জাদু বা নেক্কারাম প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে।
  3. মানসিক শান্তি ও সুরক্ষা পেতে।
  4. শারীরিক অসুস্থতা ও অস্বস্তি দূর করতে।
  5. পরিবার ও ঘরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।

জীনপরী বা যাদুকুফুরী থেকে বাঁচার পরীক্ষিত আমল, তদবির


রুকইয়ার পানি তৈরীর নিয়ম

প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র

  • পরিষ্কার পানি (সাধারণত বোতলজাত বা ফিল্টার করা পানি)
  • একটি পরিষ্কার পাত্র
  • রুকইয়া দাওয়াত জানার ব্যক্তি (আল্লাহর নাম নিয়ে আয়াত পাঠ করতে পারেন)

ধাপ ১: পানি প্রস্তুত

  • পাত্রে পরিষ্কার পানি নিন।
  • পানি অবশ্যই পরিষ্কার ও ঝরঝরে হওয়া উচিত।

 ২: আয়াত ও দোয়া পাঠ করা

  • পানি নিয়ে পড়ুন:
    1. সূরা ফাতিহা
    2. আয়াতুল কুরসী (সূরা বাকারা: 255)
    3. সূরা আল-ফালাক
    4. সূরা আন-নাস
  • কিছু সময় ধরে পড়া যায় যাতে পানিতে শক্তি প্রবাহিত হয়।

ধাপ ৩: দোয়া ও নিশ্চিত করুন

  • আল্লাহর নাম এবং দোয়া স্মরণ করে পানি ব্যবহারের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করুন।
  • পড়া শেষে পানি ব্যবহার করা যায় শরীরে স্পর্শ বা পানির মাধ্যমে।

জীনপরী বা যাদুকুফুরী থেকে বাঁচার পরীক্ষিত আমল, তদবির


রুকইয়ার পানির ব্যবহার

  1. পানিতে স্পর্শ বা স্নান:
    • কিছু পানি শরীরের বিভিন্ন অংশে স্পর্শ করুন।
  2. খাওয়ানো বা পান করানো:
    • অসুস্থ বা প্রভাবিত ব্যক্তিকে পানি খাওয়ানো যায়।
  3. বাড়ি বা ঘরে ব্যবহার:
    • পানিটি ঘরে স্পর্শ করা বা কিছু অংশে ছিটানো যায়।
  4. মানসিক শান্তির জন্য:
    • পানি হাতে নিয়ে পড়ার মাধ্যমে নেক্কারাম শক্তি দূর করা।

সতর্কতা ও নির্দেশনা

  • শুধু আল্লাহর নাম ও আয়াত দিয়ে রুকইয়া করা উচিত।
  • নেক্কারাম বা কুসংস্কৃত পদ্ধতি ব্যবহার করা হারাম।
  • রুকইয়া পানিকে সবসময় পরিষ্কার পাত্রে রাখা উচিত।
  • প্রয়োজনে বিশ্বস্ত আলেম বা ইমামের পরামর্শ নিন।

রুকইয়া পানি তৈরী করা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে একটি নিরাপদ ও কার্যকর পদ্ধতি, যা জিন, কালো জাদু, মানসিক অশান্তি ও রোগ থেকে মুক্তি দেয়।

এটি শুধুমাত্র আল্লাহর নামে এবং ইসলামী দোয়া ও আয়াত পাঠের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।

সঠিকভাবে রুকইয়া পালন করলে পরিবার, ঘর ও ব্যক্তির জন্য সুরক্ষা ও শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব।

জীনপরী বা যাদুকুফুরী থেকে বাঁচার পরীক্ষিত আমল, তদবির