০২:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি রেমিট্যান্স, এর সংজ্ঞা, যোদ্ধাদের অবদান ও সরকারের প্রণোদনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

রেমিট্যান্স : রেমিট্যান্স কাকে বলে ?রেমিট্যান্স প্রণোদনা কি ? প্রণোদনা

Hayder Mukul
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:৩৯:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৬০ বার পড়া হয়েছে।

রেমিট্যান্স রেমিট্যান্স কাকে বলে , রেমিট্যান্স যোদ্ধা কারা ,রেমিট্যান্স প্রণোদনা কি

রেমিট্যান্স” শব্দটি ইংরেজি “Remit” থেকে এসেছে, যার অর্থ টাকা পাঠানো বা স্থানান্তর করা। অর্থাৎ, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে নিজের দেশের কোনো পরিবার বা প্রতিষ্ঠানের কাছে অর্থ পাঠালে সেটিই রেমিট্যান্স।


কাকে বলে

রেমিট্যান্স হলো বিদেশে কর্মরত কোনো ব্যক্তির বৈধ ব্যাংকিং বা অনুমোদিত মানি ট্রান্সফার চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে অর্থ পাঠানো।
👉 উদাহরণ: একজন শ্রমিক যদি সৌদি আরব থেকে তার পরিবারের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠান, সেটিই রেমিট্যান্স।


রেমিট্যান্স পাঠানোর পদ্ধতি

 পাঠানোর বৈধ ও সহজ পদ্ধতিগুলো হলো—

  1. ব্যাংকের মাধ্যমে (Sonali Bank, Agrani Bank, Islami Bank ইত্যাদি)

  2. মানি ট্রান্সফার সার্ভিস (Western Union, MoneyGram)

  3. মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (bKash, Nagad, Rocket Remittance)

  4. ডিজিটাল অ্যাপ (TapTap Send, Remitly, আমি প্রবাসী অ্যাপ)


রেমিট্যান্সের গুরুত্ব

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের ভূমিকা অপরিসীম। এটি—

  • বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করে

  • দারিদ্র্য কমায়

  • গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করে

  • পরিবারগুলোকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলে

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৫.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশের GDP-এর প্রায় ১২%


বাংলাদেশে রেমিট্যান্সের ইতিহাস ও পরিসংখ্যান

বাংলাদেশ থেকে ১৯৭৬ সালে প্রথমবারের মতো প্রবাসী আয় আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে আসে।
এরপর থেকে মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইতালি, যুক্তরাজ্যসহ ১৪০টিরও বেশি দেশে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ বাংলাদেশি কাজ করছেন।


রেমিট্যান্স যোদ্ধা কারা

রেমিট্যান্স যোদ্ধা” বলতে বোঝায় সেই সকল প্রবাসী শ্রমিকদের, যারা বিদেশে কঠোর পরিশ্রম করে বৈধ পথে তাঁদের উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠান। তাঁরা দেশের অর্থনীতির “অদৃশ্য বীর” হিসেবে পরিচিত।

এরা সাধারণত নির্মাণ শ্রমিক, কারিগর, ড্রাইভার, হেলপার, নার্স, ইঞ্জিনিয়ার বা ব্যবসায়ী হতে পারেন।


রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অবদান

  • বছরে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান

  • বৈদেশিক রিজার্ভ শক্তিশালী রাখেন

  • দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে পরোক্ষভাবে অবদান রাখেন

  • অসংখ্য পরিবারের জীবিকা নির্বাহের উৎস তৈরি করেন


প্রণোদনা কী

রেমিট্যান্স প্রণোদনা (Remittance Incentive) হলো সরকারের দেওয়া একটি আর্থিক বোনাস বা অতিরিক্ত টাকার সুবিধা, যা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রবাসীদের পরিবার পায়।

উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ ১ লক্ষ টাকা রেমিট্যান্স পাঠায়, সরকার অতিরিক্ত ২.৫% প্রণোদনা দেয়।


প্রণোদনার হার ও সরকারি নীতিমালা

২০২৪ সালের সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী—

  • প্রণোদনার হার: ২.৫%

  • শর্ত: রেমিট্যান্স অবশ্যই ব্যাংক বা অনুমোদিত মানি চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।

  • সময়: সাধারণত ৩–৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রণোদনা যুক্ত হয়।


কীভাবে প্রণোদনা পাওয়া যায়

১. বৈধ পথে (ব্যাংক/মানি ট্রান্সফার) রেমিট্যান্স পাঠান
২. টাকা দেশে পৌঁছালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রণোদনা যোগ হবে
৩. কোনো আবেদন বা ফর্ম পূরণ করতে হয় না


রেমিট্যান্স পাঠানোর বৈধ ও অবৈধ পথ

বৈধ পথ: ব্যাংক, মানি ট্রান্সফার, আমি প্রবাসী অ্যাপ
অবৈধ পথ (হুন্ডি): প্রণোদনা মেলে না, ঝুঁকি বেশি, টাকা হারানোর সম্ভাবনা থাকে


হুন্ডি বা অবৈধ পথে পাঠানোর ক্ষতি

  • টাকা হারানোর সম্ভাবনা

  • বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যায়

  • আইনি জটিলতায় পড়ার আশঙ্কা

  • প্রণোদনা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়া


রেমিট্যান্স প্রেরণে ব্যাংক ও মোবাইল সেবার ভূমিকা

বাংলাদেশে এখন প্রায় সব ব্যাংকই প্রবাসী আয়ের জন্য বিশেষ ডেস্ক চালু করেছে।
এছাড়া bKash, Nagad ও Rocket-এর মাধ্যমে ঘরে বসে রেমিট্যান্স গ্রহণ করা যায়।


সরকারের উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

  • রেমিট্যান্স প্রণোদনা অব্যাহত রাখা

  • “আমি প্রবাসী” ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ

  • প্রবাসী বিনিয়োগ অঞ্চলের উন্নয়ন

  • হুন্ডি প্রতিরোধে আইন কঠোর করা


প্রবাসীদের জন্য বিশেষ স্কিম ও সুযোগ

  • Probashi Deposit Scheme

  • Probashi Bond Investment

  • Education & Housing Loan for Remittance Families


রেমিট্যান্স অর্থ দিয়ে দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ

সরকার প্রবাসীদের উৎসাহিত করছে তাদের রেমিট্যান্স অর্থ—

  • কৃষি

  • ক্ষুদ্র ব্যবসা

  • রপ্তানিমুখী শিল্প

  • শিক্ষা ও আবাসনে বিনিয়োগে ব্যবহারের জন্য।


রেমিট্যান্স হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ।
প্রবাসী যোদ্ধারা তাঁদের ঘাম ঝরানো শ্রম দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন, আর সরকার তাঁদের উৎসাহ দিতে দিচ্ছে রেমিট্যান্স প্রণোদনা।
বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো শুধু পরিবার নয়, বরং গোটা জাতির উন্নয়নের চাবিকাঠি।


৫টি সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQs)

১. রেমিট্যান্স কাকে বলে?
👉 বিদেশে কর্মরত ব্যক্তি বৈধ পথে দেশে অর্থ পাঠালে সেটিই রেমিট্যান্স।

২. রেমিট্যান্স যোদ্ধা কারা?
👉 যারা বিদেশে কাজ করে বৈধ পথে দেশে অর্থ পাঠান, তাঁদের রেমিট্যান্স যোদ্ধা বলা হয়।

৩. রেমিট্যান্স প্রণোদনা কী?
👉 সরকার প্রদত্ত অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা, বর্তমানে হার ২.৫%।

৪. হুন্ডি পথে পাঠালে কি প্রণোদনা পাওয়া যায়?
👉 না, হুন্ডি অবৈধ এবং এতে কোনো প্রণোদনা মেলে না।

৫. কীভাবে প্রণোদনা পাওয়া যায়?
👉 ব্যাংক বা অনুমোদিত মানি ট্রান্সফার চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালেই প্রণোদনা স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়।

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি রেমিট্যান্স, এর সংজ্ঞা, যোদ্ধাদের অবদান ও সরকারের প্রণোদনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

রেমিট্যান্স : রেমিট্যান্স কাকে বলে ?রেমিট্যান্স প্রণোদনা কি ? প্রণোদনা

আপডেট সময়ঃ ০৪:৩৯:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

রেমিট্যান্স” শব্দটি ইংরেজি “Remit” থেকে এসেছে, যার অর্থ টাকা পাঠানো বা স্থানান্তর করা। অর্থাৎ, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে নিজের দেশের কোনো পরিবার বা প্রতিষ্ঠানের কাছে অর্থ পাঠালে সেটিই রেমিট্যান্স।


কাকে বলে

রেমিট্যান্স হলো বিদেশে কর্মরত কোনো ব্যক্তির বৈধ ব্যাংকিং বা অনুমোদিত মানি ট্রান্সফার চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে অর্থ পাঠানো।
👉 উদাহরণ: একজন শ্রমিক যদি সৌদি আরব থেকে তার পরিবারের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠান, সেটিই রেমিট্যান্স।


রেমিট্যান্স পাঠানোর পদ্ধতি

 পাঠানোর বৈধ ও সহজ পদ্ধতিগুলো হলো—

  1. ব্যাংকের মাধ্যমে (Sonali Bank, Agrani Bank, Islami Bank ইত্যাদি)

  2. মানি ট্রান্সফার সার্ভিস (Western Union, MoneyGram)

  3. মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (bKash, Nagad, Rocket Remittance)

  4. ডিজিটাল অ্যাপ (TapTap Send, Remitly, আমি প্রবাসী অ্যাপ)


রেমিট্যান্সের গুরুত্ব

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের ভূমিকা অপরিসীম। এটি—

  • বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করে

  • দারিদ্র্য কমায়

  • গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করে

  • পরিবারগুলোকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলে

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৫.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশের GDP-এর প্রায় ১২%


বাংলাদেশে রেমিট্যান্সের ইতিহাস ও পরিসংখ্যান

বাংলাদেশ থেকে ১৯৭৬ সালে প্রথমবারের মতো প্রবাসী আয় আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে আসে।
এরপর থেকে মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইতালি, যুক্তরাজ্যসহ ১৪০টিরও বেশি দেশে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ বাংলাদেশি কাজ করছেন।


রেমিট্যান্স যোদ্ধা কারা

রেমিট্যান্স যোদ্ধা” বলতে বোঝায় সেই সকল প্রবাসী শ্রমিকদের, যারা বিদেশে কঠোর পরিশ্রম করে বৈধ পথে তাঁদের উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠান। তাঁরা দেশের অর্থনীতির “অদৃশ্য বীর” হিসেবে পরিচিত।

এরা সাধারণত নির্মাণ শ্রমিক, কারিগর, ড্রাইভার, হেলপার, নার্স, ইঞ্জিনিয়ার বা ব্যবসায়ী হতে পারেন।


রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অবদান

  • বছরে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান

  • বৈদেশিক রিজার্ভ শক্তিশালী রাখেন

  • দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে পরোক্ষভাবে অবদান রাখেন

  • অসংখ্য পরিবারের জীবিকা নির্বাহের উৎস তৈরি করেন


প্রণোদনা কী

রেমিট্যান্স প্রণোদনা (Remittance Incentive) হলো সরকারের দেওয়া একটি আর্থিক বোনাস বা অতিরিক্ত টাকার সুবিধা, যা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রবাসীদের পরিবার পায়।

উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ ১ লক্ষ টাকা রেমিট্যান্স পাঠায়, সরকার অতিরিক্ত ২.৫% প্রণোদনা দেয়।


প্রণোদনার হার ও সরকারি নীতিমালা

২০২৪ সালের সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী—

  • প্রণোদনার হার: ২.৫%

  • শর্ত: রেমিট্যান্স অবশ্যই ব্যাংক বা অনুমোদিত মানি চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।

  • সময়: সাধারণত ৩–৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রণোদনা যুক্ত হয়।


কীভাবে প্রণোদনা পাওয়া যায়

১. বৈধ পথে (ব্যাংক/মানি ট্রান্সফার) রেমিট্যান্স পাঠান
২. টাকা দেশে পৌঁছালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রণোদনা যোগ হবে
৩. কোনো আবেদন বা ফর্ম পূরণ করতে হয় না


রেমিট্যান্স পাঠানোর বৈধ ও অবৈধ পথ

বৈধ পথ: ব্যাংক, মানি ট্রান্সফার, আমি প্রবাসী অ্যাপ
অবৈধ পথ (হুন্ডি): প্রণোদনা মেলে না, ঝুঁকি বেশি, টাকা হারানোর সম্ভাবনা থাকে


হুন্ডি বা অবৈধ পথে পাঠানোর ক্ষতি

  • টাকা হারানোর সম্ভাবনা

  • বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যায়

  • আইনি জটিলতায় পড়ার আশঙ্কা

  • প্রণোদনা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়া


রেমিট্যান্স প্রেরণে ব্যাংক ও মোবাইল সেবার ভূমিকা

বাংলাদেশে এখন প্রায় সব ব্যাংকই প্রবাসী আয়ের জন্য বিশেষ ডেস্ক চালু করেছে।
এছাড়া bKash, Nagad ও Rocket-এর মাধ্যমে ঘরে বসে রেমিট্যান্স গ্রহণ করা যায়।


সরকারের উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

  • রেমিট্যান্স প্রণোদনা অব্যাহত রাখা

  • “আমি প্রবাসী” ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ

  • প্রবাসী বিনিয়োগ অঞ্চলের উন্নয়ন

  • হুন্ডি প্রতিরোধে আইন কঠোর করা


প্রবাসীদের জন্য বিশেষ স্কিম ও সুযোগ

  • Probashi Deposit Scheme

  • Probashi Bond Investment

  • Education & Housing Loan for Remittance Families


রেমিট্যান্স অর্থ দিয়ে দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ

সরকার প্রবাসীদের উৎসাহিত করছে তাদের রেমিট্যান্স অর্থ—

  • কৃষি

  • ক্ষুদ্র ব্যবসা

  • রপ্তানিমুখী শিল্প

  • শিক্ষা ও আবাসনে বিনিয়োগে ব্যবহারের জন্য।


রেমিট্যান্স হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ।
প্রবাসী যোদ্ধারা তাঁদের ঘাম ঝরানো শ্রম দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন, আর সরকার তাঁদের উৎসাহ দিতে দিচ্ছে রেমিট্যান্স প্রণোদনা।
বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো শুধু পরিবার নয়, বরং গোটা জাতির উন্নয়নের চাবিকাঠি।


৫টি সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQs)

১. রেমিট্যান্স কাকে বলে?
👉 বিদেশে কর্মরত ব্যক্তি বৈধ পথে দেশে অর্থ পাঠালে সেটিই রেমিট্যান্স।

২. রেমিট্যান্স যোদ্ধা কারা?
👉 যারা বিদেশে কাজ করে বৈধ পথে দেশে অর্থ পাঠান, তাঁদের রেমিট্যান্স যোদ্ধা বলা হয়।

৩. রেমিট্যান্স প্রণোদনা কী?
👉 সরকার প্রদত্ত অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা, বর্তমানে হার ২.৫%।

৪. হুন্ডি পথে পাঠালে কি প্রণোদনা পাওয়া যায়?
👉 না, হুন্ডি অবৈধ এবং এতে কোনো প্রণোদনা মেলে না।

৫. কীভাবে প্রণোদনা পাওয়া যায়?
👉 ব্যাংক বা অনুমোদিত মানি ট্রান্সফার চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালেই প্রণোদনা স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়।