০৫:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
হজের দোয়া অর্থসহ তালিকা

হজের গুরুত্বপূর্ণ দোয়াগুলো অর্থসহ তালিকা

Fatema Jahan
  • আপডেট সময়ঃ ১১:৫৮:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে।

হজের গুরুত্বপূর্ণ দোয়াগুলো অর্থসহ তালিকা

হজ একটি পবিত্র ইবাদত, যা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। এই মহান ইবাদতের প্রতিটি ধাপে আল্লাহর জিকির ও দোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হজের দোয়াগুলো কেবলমাত্র মুখস্থ করাই যথেষ্ট নয়, বরং তা হৃদয় থেকে বোঝা ও তাৎপর্যসহ পড়াই শ্রেয়। এই প্রবন্ধে হজের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাঠযোগ্য দোয়া ও তার বাংলা অনুবাদসহ একটি সুন্দর ও তথ্যবহুল তালিকা তুলে ধরা হয়েছে, যাতে একজন হাজি সহজেই দোয়াগুলো অনুশীলন করতে পারেন।


তালবিয়াহ (তালবিয়া)

আরবি:

لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْك، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْك، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ

বাংলা অর্থ:

“হাজির আছি হে আল্লাহ! হাজির আছি! তোমার কোনো শরিক নেই, আমি হাজির। নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা ও নিয়ামত তোমারই এবং রাজত্বও তোমার। তোমার কোনো শরিক নেই।”

📖 হাদীস সূত্র: সহিহ মুসলিম, হাদীস: ২১৮৪


কাবা শরিফ দেখার সময় দোয়া

আরবি:

اللّهُـمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ، فَحَيِّنَا رَبَّنَا بِالسَّلاَمِ

বাংলা অর্থ:

“হে আল্লাহ! তুমি শান্তি, তোমার থেকেই আসে শান্তি। হে আমাদের রব! আমাদের শান্তির সাথে বাঁচাও।”

📖 সূত্র: সুনান ইবনে মাজাহ, হাদীস: ২৯২৫


তাওয়াফের সময় পড়ার দোয়া

আরবি:

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

বাংলা অর্থ:

“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দাও, আখিরাতেও কল্যাণ দাও এবং আমাদের দোযখের আগুন থেকে রক্ষা করো।”

📖 সূরা বাকারা, আয়াত: ২০১

➡️ তাওয়াফের সাত চক্রের মাঝে এই দোয়াটি সবচেয়ে বেশি পাঠ করা হয়।


তাওয়াফ শেষে মাকামে ইব্রাহিমে নামাজ ও দোয়া

আরবি:

وَاتَّخِذُوا مِن مَّقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى

বাংলা অর্থ:

“তোমরা মাকামে ইব্রাহিমকে নামাজের স্থান হিসেবে গ্রহণ করো।”

📖 সূরা বাকারা, আয়াত: ১২৫

➡️ এখানে দু’রাকাত নামাজ পড়ার পর ব্যক্তিগত দোয়া করা সুন্নত।


জমজমের পানি পান করার দোয়া

আরবি:

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا، وَرِزْقًا وَاسِعًا، وَشِفَاءً مِّن كُلِّ دَاءٍ

বাংলা অর্থ:

“হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে উপকারী জ্ঞান, প্রশস্ত রিযিক এবং সকল রোগ থেকে আরোগ্য প্রার্থনা করছি।”

📖 হাদীস: মুসনাদ আহমাদ, হাদীস: ৮১৫১


সাফা ও মারওয়া সাঈ করার সময় দোয়া

আরবি:

إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِن شَعَائِرِ اللَّهِ

বাংলা অর্থ:

“নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত।”

📖 সূরা বাকারা, আয়াত: ১৫৮

➡️ এরপর ব্যক্তিগতভাবে যেকোন দোয়া করা যায়।


আরাফার ময়দানে দোয়া

আরবি:

لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد، وهو على كل شيء قدير

বাংলা অর্থ:

“আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি এক, তার কোনো শরিক নেই। রাজত্ব তারই, সমস্ত প্রশংসা তার জন্যই, তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।”

📖 তিরমিজি, হাদীস: ৩৫৮৫

➡️ এটি আরাফার ময়দানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দোয়া।


মুযদালিফায় রাত কাটানোর সময় দোয়া

আরবি:

رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

বাংলা অর্থ:

“হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করো ও দয়া করো। তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।”

📖 সূরা মুমিনুন, আয়াত: ১১৮


মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের সময় দোয়া

আরবি:

بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُ أَكْبَرُ، رَغْمًا لِلشَّيْطَانِ وَحِزْبِهِ

বাংলা অর্থ:

“আল্লাহর নামে, আল্লাহ মহান, শয়তান ও তার দলকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে।”

➡️ প্রতিটি পাথর নিক্ষেপের সময় এ দোয়া করা যায়।


কুরবানি করার পর দোয়া

আরবি:

اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنِّي كَمَا تَقَبَّلْتَ مِنْ إِبْرَاهِيمَ

বাংলা অর্থ:

“হে আল্লাহ! আপনি আমার পক্ষ থেকে কুরবানি কবুল করুন, যেমন আপনি ইব্রাহিম (আ.) এর পক্ষ থেকে কবুল করেছিলেন।”

📖 তাফসিরে ইবনে কাসীর


বিদায়ী তাওয়াফের সময় দোয়া

আরবি:

اللَّهُمَّ لَا تَجْعَلْ هَذَا آخِرَ الْعَهْدِ مِنْ بَيْتِكَ الْحَرَامِ، وَارْزُقْنَا العَوْدَ إِلَيْهِ

বাংলা অর্থ:

“হে আল্লাহ! এটা যেন কাবা ঘরের সঙ্গে আমার শেষ সাক্ষাৎ না হয় এবং আপনি যেন আমাকে পুনরায় এ ঘরে ফিরে আসার তাওফিক দেন।”

➡️ বিদায়ী তাওয়াফ খুব আবেগময়, তাই দোয়ার মাঝে কান্না আসাও স্বাভাবিক।


হজের সময় প্রতিটি ধাপে দোয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং সাহাবায়ে কিরাম দোয়ার মাধ্যমে হজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেন। এই দোয়াগুলো মুখস্থ করেই নয়, বরং হৃদয় দিয়ে অনুভব করে পাঠ করা উচিত। প্রত্যেক হাজির উচিত এ সকল দোয়া জানা ও সঠিকভাবে প্রয়োগ করা। দোয়া হলো হজের প্রাণ, আত্মার শক্তি ও আল্লাহর সাথে যোগাযোগের মাধ্যম।


FAQs

১. হজের দোয়াগুলো মুখস্থ করা কি ফরজ?
না, ফরজ নয়; তবে দোয়াগুলো মুখস্থ করা উত্তম এবং সুন্নাহ পালনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

২. দোয়া কোন ভাষায় পড়া উচিত?
আরবি দোয়া পড়া উত্তম। তবে বোঝার সুবিধার জন্য মাতৃভাষায় অনুবাদ জানা ভালো।

৩. প্রতিটি তাওয়াফে আলাদা দোয়া আছে?
না, নির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই। তবে কুরআনের আয়াত ও সহিহ দোয়া পড়া উত্তম।

৪. কি করলে দোয়া কবুলের সম্ভাবনা বাড়ে?
খালেস নিয়ত, চোখের পানি, আন্তরিকতা এবং আরাফার দিনের দোয়া বেশি কবুল হয়।

৫. হজের সময় নিজের ভাষায় দোয়া করা যাবে কি?
হ্যাঁ, নিজের ভাষায় আন্তরিকভাবে দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা কবুল করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

হজের দোয়া অর্থসহ তালিকা

হজের গুরুত্বপূর্ণ দোয়াগুলো অর্থসহ তালিকা

আপডেট সময়ঃ ১১:৫৮:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

হজ একটি পবিত্র ইবাদত, যা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। এই মহান ইবাদতের প্রতিটি ধাপে আল্লাহর জিকির ও দোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হজের দোয়াগুলো কেবলমাত্র মুখস্থ করাই যথেষ্ট নয়, বরং তা হৃদয় থেকে বোঝা ও তাৎপর্যসহ পড়াই শ্রেয়। এই প্রবন্ধে হজের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাঠযোগ্য দোয়া ও তার বাংলা অনুবাদসহ একটি সুন্দর ও তথ্যবহুল তালিকা তুলে ধরা হয়েছে, যাতে একজন হাজি সহজেই দোয়াগুলো অনুশীলন করতে পারেন।


তালবিয়াহ (তালবিয়া)

আরবি:

لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْك، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْك، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ

বাংলা অর্থ:

“হাজির আছি হে আল্লাহ! হাজির আছি! তোমার কোনো শরিক নেই, আমি হাজির। নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা ও নিয়ামত তোমারই এবং রাজত্বও তোমার। তোমার কোনো শরিক নেই।”

📖 হাদীস সূত্র: সহিহ মুসলিম, হাদীস: ২১৮৪


কাবা শরিফ দেখার সময় দোয়া

আরবি:

اللّهُـمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ، فَحَيِّنَا رَبَّنَا بِالسَّلاَمِ

বাংলা অর্থ:

“হে আল্লাহ! তুমি শান্তি, তোমার থেকেই আসে শান্তি। হে আমাদের রব! আমাদের শান্তির সাথে বাঁচাও।”

📖 সূত্র: সুনান ইবনে মাজাহ, হাদীস: ২৯২৫


তাওয়াফের সময় পড়ার দোয়া

আরবি:

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

বাংলা অর্থ:

“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দাও, আখিরাতেও কল্যাণ দাও এবং আমাদের দোযখের আগুন থেকে রক্ষা করো।”

📖 সূরা বাকারা, আয়াত: ২০১

➡️ তাওয়াফের সাত চক্রের মাঝে এই দোয়াটি সবচেয়ে বেশি পাঠ করা হয়।


তাওয়াফ শেষে মাকামে ইব্রাহিমে নামাজ ও দোয়া

আরবি:

وَاتَّخِذُوا مِن مَّقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى

বাংলা অর্থ:

“তোমরা মাকামে ইব্রাহিমকে নামাজের স্থান হিসেবে গ্রহণ করো।”

📖 সূরা বাকারা, আয়াত: ১২৫

➡️ এখানে দু’রাকাত নামাজ পড়ার পর ব্যক্তিগত দোয়া করা সুন্নত।


জমজমের পানি পান করার দোয়া

আরবি:

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا، وَرِزْقًا وَاسِعًا، وَشِفَاءً مِّن كُلِّ دَاءٍ

বাংলা অর্থ:

“হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে উপকারী জ্ঞান, প্রশস্ত রিযিক এবং সকল রোগ থেকে আরোগ্য প্রার্থনা করছি।”

📖 হাদীস: মুসনাদ আহমাদ, হাদীস: ৮১৫১


সাফা ও মারওয়া সাঈ করার সময় দোয়া

আরবি:

إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِن شَعَائِرِ اللَّهِ

বাংলা অর্থ:

“নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত।”

📖 সূরা বাকারা, আয়াত: ১৫৮

➡️ এরপর ব্যক্তিগতভাবে যেকোন দোয়া করা যায়।


আরাফার ময়দানে দোয়া

আরবি:

لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد، وهو على كل شيء قدير

বাংলা অর্থ:

“আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি এক, তার কোনো শরিক নেই। রাজত্ব তারই, সমস্ত প্রশংসা তার জন্যই, তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।”

📖 তিরমিজি, হাদীস: ৩৫৮৫

➡️ এটি আরাফার ময়দানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দোয়া।


মুযদালিফায় রাত কাটানোর সময় দোয়া

আরবি:

رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

বাংলা অর্থ:

“হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করো ও দয়া করো। তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।”

📖 সূরা মুমিনুন, আয়াত: ১১৮


মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের সময় দোয়া

আরবি:

بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُ أَكْبَرُ، رَغْمًا لِلشَّيْطَانِ وَحِزْبِهِ

বাংলা অর্থ:

“আল্লাহর নামে, আল্লাহ মহান, শয়তান ও তার দলকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে।”

➡️ প্রতিটি পাথর নিক্ষেপের সময় এ দোয়া করা যায়।


কুরবানি করার পর দোয়া

আরবি:

اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنِّي كَمَا تَقَبَّلْتَ مِنْ إِبْرَاهِيمَ

বাংলা অর্থ:

“হে আল্লাহ! আপনি আমার পক্ষ থেকে কুরবানি কবুল করুন, যেমন আপনি ইব্রাহিম (আ.) এর পক্ষ থেকে কবুল করেছিলেন।”

📖 তাফসিরে ইবনে কাসীর


বিদায়ী তাওয়াফের সময় দোয়া

আরবি:

اللَّهُمَّ لَا تَجْعَلْ هَذَا آخِرَ الْعَهْدِ مِنْ بَيْتِكَ الْحَرَامِ، وَارْزُقْنَا العَوْدَ إِلَيْهِ

বাংলা অর্থ:

“হে আল্লাহ! এটা যেন কাবা ঘরের সঙ্গে আমার শেষ সাক্ষাৎ না হয় এবং আপনি যেন আমাকে পুনরায় এ ঘরে ফিরে আসার তাওফিক দেন।”

➡️ বিদায়ী তাওয়াফ খুব আবেগময়, তাই দোয়ার মাঝে কান্না আসাও স্বাভাবিক।


হজের সময় প্রতিটি ধাপে দোয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং সাহাবায়ে কিরাম দোয়ার মাধ্যমে হজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেন। এই দোয়াগুলো মুখস্থ করেই নয়, বরং হৃদয় দিয়ে অনুভব করে পাঠ করা উচিত। প্রত্যেক হাজির উচিত এ সকল দোয়া জানা ও সঠিকভাবে প্রয়োগ করা। দোয়া হলো হজের প্রাণ, আত্মার শক্তি ও আল্লাহর সাথে যোগাযোগের মাধ্যম।


FAQs

১. হজের দোয়াগুলো মুখস্থ করা কি ফরজ?
না, ফরজ নয়; তবে দোয়াগুলো মুখস্থ করা উত্তম এবং সুন্নাহ পালনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

২. দোয়া কোন ভাষায় পড়া উচিত?
আরবি দোয়া পড়া উত্তম। তবে বোঝার সুবিধার জন্য মাতৃভাষায় অনুবাদ জানা ভালো।

৩. প্রতিটি তাওয়াফে আলাদা দোয়া আছে?
না, নির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই। তবে কুরআনের আয়াত ও সহিহ দোয়া পড়া উত্তম।

৪. কি করলে দোয়া কবুলের সম্ভাবনা বাড়ে?
খালেস নিয়ত, চোখের পানি, আন্তরিকতা এবং আরাফার দিনের দোয়া বেশি কবুল হয়।

৫. হজের সময় নিজের ভাষায় দোয়া করা যাবে কি?
হ্যাঁ, নিজের ভাষায় আন্তরিকভাবে দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা কবুল করেন।