১০০টি প্রশ্নোত্তর
হজরত শাহ জালাল, শাহ পরান ও ৩৬০ আউলিয়ার ১০০টি প্রশ্নোত্তর

- আপডেট সময়ঃ ০১:৩৭:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
- / ২২ বার পড়া হয়েছে।
হজরত শাহ জালাল (রহ.) সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর
-
হজরত শাহ জালাল (রহ.) কে ছিলেন?
তিনি একজন প্রখ্যাত সুফি সাধক ও ইসলাম প্রচারক ছিলেন, যিনি ইয়েমেন থেকে এসে সিলেট অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেন। -
তিনি কোথা থেকে এসেছিলেন?
তিনি ইয়েমেনের হাদারামাউত অঞ্চল থেকে এসেছিলেন। -
কবে তিনি সিলেটে আগমন করেন?
আনুমানিক ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি সিলেটে আগমন করেন। -
সিলেটে আগমনের কারণ কী ছিল?
হিন্দু রাজা গৌর গোবিন্দের অত্যাচার বন্ধ করে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে তিনি সিলেটে এসেছিলেন। -
তিনি কিভাবে সিলেটে প্রবেশ করেন?
দীর্ঘ যুদ্ধের পর তিনি ও তাঁর ৩৬০ আউলিয়া সিলেট বিজয় করেন। -
হজরত শাহ জালাল (রহ.) এর গাঢ় শিষ্য কারা ছিলেন?
তাঁর অন্যতম শিষ্য ছিলেন হজরত শাহ পরান (রহ.)। -
তাঁর কবর কোথায় অবস্থিত?
সিলেট শহরের দরগাহ এলাকায় অবস্থিত। -
তাঁর দরগাহ এখন কী অবস্থায় আছে?
এটি এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থান। -
তাঁর ধর্মীয় দীক্ষা কোথায় গ্রহণ করেন?
ইয়েমেনের বিখ্যাত মাদ্রাসা থেকে তিনি ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেন। -
তাঁর জীবনে কতো বছর ছিলেন?
তাঁর জীবনকাল আনুমানিক ৮০-৯০ বছর ছিল। -
তিনি কোন মাজহাব অনুসরণ করতেন?
তিনি হানাফি মাজহাব অনুসরণ করতেন। -
তাঁর জীবনে সবচেয়ে বড় অবদান কী?
সিলেটসহ আশেপাশের অঞ্চলে ইসলাম প্রচার এবং স্থায়ী মুসলিম বসতি গঠন। -
হজরত শাহ জালালের প্রভাব কেমন ছিল?
তিনি একটি পুরো অঞ্চলের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক রূপান্তর ঘটান। -
তিনি কি অলৌকিক ক্ষমতা রাখতেন?
বহু অলৌকিক ঘটনা তাঁর সঙ্গে জড়িত বলে জনশ্রুতি আছে। -
তাঁর নামের অর্থ কী?
“জালাল” শব্দের অর্থ মর্যাদা বা গরিমা।
হজরত শাহ পরান (রহ.) সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর
-
হজরত শাহ পরান (রহ.) কে ছিলেন?
তিনি হজরত শাহ জালাল (রহ.) এর ভ্রাতুষ্পুত্র ও শিষ্য ছিলেন। -
তাঁর জন্ম কোথায়?
ইয়েমেনে। -
তিনি কবে সিলেটে আসেন?
শাহ জালালের সঙ্গে একসঙ্গে সিলেটে আসেন। -
তাঁর অবদান কী ছিল?
ইসলাম প্রচার ও সমাজ সংস্কার। -
তাঁর কবর কোথায়?
সিলেট শহরের টিলাগড় এলাকায়। -
তাঁর দরগাহ এখন কেমন জনপ্রিয়?
এটি সিলেটের অন্যতম তীর্থস্থান। -
তাঁর অলৌকিক ঘটনার মধ্যে কী রয়েছে?
পানির উপর হাঁটা, রোগ নিরাময় ইত্যাদি ঘটনা প্রচলিত আছে। -
তিনি কোন তরীকার অনুসারী ছিলেন?
তিনি চিশতিয়া তরীকার অনুসারী ছিলেন। -
তাঁর জীবনী কোথায় পাওয়া যায়?
বিভিন্ন ইতিহাসবিদের রচনায় ও লোককথায়। -
তাঁর নামের অর্থ কী?
“পরান” অর্থ আত্মা বা প্রাণ।
আউলিয়া সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর
-
৩৬০ আউলিয়া কারা ছিলেন?
তারা হজরত শাহ জালাল (রহ.) এর সাথী ও শিষ্য যারা ইসলাম প্রচারে আসেন। -
তাঁরা কোথা থেকে এসেছিলেন?
ইয়েমেন, বাগদাদ, দামেশক সহ বিভিন্ন ইসলামি অঞ্চল থেকে। -
তাঁরা কেন ‘৩৬০’ নামে পরিচিত?
কারণ তাঁদের সংখ্যা ৩৬০ ছিল বলে লোকমুখে এভাবে পরিচিত। -
তাঁরা কোন উদ্দেশ্যে এসেছিলেন?
ইসলাম প্রচার ও অরাজকতা দূরীকরণের জন্য। -
তাঁদের কবর কোথায়?
সিলেট ও আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে। -
তাঁরা কোন তরীকার অনুসারী ছিলেন?
অধিকাংশ চিশতিয়া ও কাদেরিয়া তরীকার অনুসারী ছিলেন। -
তাঁদের অবদান কী ছিল?
ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তার, সমাজ সংস্কার, ইসলামী আদর্শের প্রচার। -
তাঁদের নিয়ে বই বা কিতাব আছে কি?
কিছু পুরাতন কিতাবে ও লোকজ ইতিহাসে তাঁদের নাম পাওয়া যায়। -
তাঁদের স্মৃতিস্তম্ভ আছে কি?
অনেকের দরগাহ বা মাজার আছে। -
তাঁদের কেউ কি বাংলাদেশে পরিবার স্থাপন করেন?
হ্যাঁ, অনেকে এখানেই থেকে যান এবং তাঁদের বংশধর এখনও এখানে আছেন।৩৬. ৩৬০ আউলিয়ারা কি সবাই শিক্ষিত পণ্ডিত ছিলেন?
হ্যাঁ, তাদের অধিকাংশই ইসলামিক জ্ঞান ও আধ্যাত্মিক বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন।৩৭. তারা কি বাংলার বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করতেন?
হ্যাঁ, তারা ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করতেন।৩৮. ৩৬০ আউলিয়ার নাম কি সবাই জানা আছে?
না, সব নাম লেখা নেই, তবে অনেকের নাম মুখে-মুখে প্রচলিত এবং কিছু ঐতিহাসিক গ্রন্থে পাওয়া যায়।৩৯. তারা কি করামাত বা অলৌকিক ক্ষমতা দেখিয়েছেন?
অনেকেই করামাত দেখিয়েছেন যেমন রোগ নিরাময়, অদৃশ্য জ্ঞান, আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শন।৪০. তারা কি কোনো সুফি তরিকার অন্তর্ভুক্ত ছিলেন?
হ্যাঁ, তারা প্রধানত চিশতিয়া, কাদিরিয়া, সুহরাওয়ার্দিয়া তরিকায় ছিলেন।৪১. তারা কি স্থানীয় ধর্মীয় নেতা হয়েছিলেন?
হ্যাঁ, অনেকেই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে স্থানীয় ধর্মীয় নেতা হয়েছিলেন।৪২. তাদের প্রধান লক্ষ্য কী ছিল?
ইসলামের প্রচার এবং ন্যায় ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা করা।৪৩. তারা স্থানীয় সংস্কৃতির উপর কী প্রভাব ফেলেছিলেন?
ইসলামী মূল্যবোধের সঙ্গে স্থানীয় সংস্কৃতির মিশ্রণ ঘটিয়ে একটি অনন্য বাঙালি মুসলিম পরিচয় গড়ে তোলেন।৪৪. তাদের দরগায় কি বিশেষ উৎসব হয়?
হ্যাঁ, উরস উপলক্ষে প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়।৪৫. তাদের জীবন নিয়ে কোনো লিখিত দলিল আছে?
সীমিত কিছু গ্রন্থ আছে, বেশিরভাগ তথ্য মুখে মুখে প্রচলিত।
৪৬. শাহ জালালের আগমন সিলেটে কী প্রভাব ফেলেছিল?
এটি সিলেটে ইসলামের ব্যাপক প্রচারের সূচনা করেছিল।৪৭. তারা কি প্রতিরোধের মুখে পড়েছিলেন?
হ্যাঁ, গৌর গোবিন্দের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।৪৮. গৌর গোবিন্দের সঙ্গে যুদ্ধে ফলাফল কী হয়েছিল?
শাহ জালাল ও তার সঙ্গীরা জয় লাভ করেন এবং সিলেটে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়।৪৯. সুলতান শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহের ভূমিকা কী ছিল?
তিনি সৈন্য পাঠিয়ে শাহ জালালের অভিযানকে সমর্থন করেছিলেন।৫০. আজকের দিনে শাহ জালালকে কীভাবে স্মরণ করা হয়?
তিনি একজন পবিত্র সাধু ও ইসলামী ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে সম্মানিত।
৫১. তার নামে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে?
হ্যাঁ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তার নামে প্রতিষ্ঠিত।৫২. তার শিক্ষা কি রাজনীতি বা শাসনে প্রভাব ফেলেছিল?
তিনি রাজনীতিতে অংশ নিতেন না, তবে তার নৈতিক শিক্ষা সমাজ ও শাসকদের প্রভাবিত করেছিল।৫৩. তাঁর জীবনযাপন কেমন ছিল?
সহজ ও সংযত জীবন যাপন করতেন।৫৪. তিনি কি অমুসলিমদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতেন?
সন্মান ও ন্যায়পরায়ণভাবে আচরণ করতেন।৫৫. তার আধ্যাত্মিক শিক্ষার মূল বিষয় কী ছিল?
তাওহীদ, ভক্তি, বিনয় ও মানবসেবার উপর জোর দিতেন।
৫৬. তিনি কি সুফি সাধনা প্রচার করতেন?
হ্যাঁ, যেমন জিকির ও ধ্যান।৫৭. বিশ্বে তার আধ্যাত্মিক প্রভাব কী রকম?
তার শিক্ষার ছোঁয়া বাংলার বাইরে সুফি জগতেও বিস্তৃত।৫৮. তিনি কি নিজে কোনো গ্রন্থ রচনা করেছিলেন?
কোনো লিখিত গ্রন্থ জানা যায় না।৫৯. তার অনুসারীরা কীভাবে তার শিক্ষাকে প্রসারিত করেছিল?
অনুসারীরা মাদ্রাসা ও দরগাহ প্রতিষ্ঠা করে।৬০. তার জীবন থেকে যুব সমাজ কী শিখতে পারে?
সহজ জীবনযাপন, ভক্তি ও পরোপকার।
৬১. শাহ পরানের দরগা কোথায়?
সিলেট শহরের টিলা গড় এলাকায়।৬২. তার দরগা কি সরকারিভাবে রক্ষিত?
হ্যাঁ, তা ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় সম্পদ হিসেবে সংরক্ষিত।৬৩. শ্রদ্ধালুদের জন্য দরগার গুরুত্ব কী?
আধ্যাত্মিক প্রেরণা ও শান্তির স্থান।৬৪. দরগায় নারী যেতে পারেন?
হ্যাঁ, তবে কিছু নিয়ম মেনে।৬৫. আধুনিক দিনে দরগার প্রতি মানুষের আকর্ষণ কেন?
আধ্যাত্মিক শান্তি ও দোয়ার জন্য।
৬৬. শাহজালাল বিমানবন্দর কি তার নামে?
হ্যাঁ, ঢাকায় অবস্থিত।৬৭. তাঁর জীবনী গবেষণায় কি অগ্রগতি হয়েছে?
হ্যাঁ, বিভিন্ন একাডেমিক গবেষণা চলছে।৬৮. তাঁর শিক্ষা আজকের দিনে প্রাসঙ্গিক?
অবশ্যই, শান্তি ও ন্যায়বিচার শেখায়।৬৯. তাঁর জীবন নিয়ে কোন মিথ আছে?
যে তিনি উড়ে সিলেটে এসেছেন, যা আধ্যাত্মিক রূপক।৭০. ৩৬০ আউলিয়ার শিক্ষা কী?
ঐক্য, ধারাবাহিকতা ও দয়া।
৭১. তাঁরা কি নিজেদের পরিবার গড়েছিলেন?
তথ্য সীমিত, তবে বেশিরভাগ সাধু বিয়ে করেননি।৭২. তাঁদের অনুসারীরা আজকের দিনে কোথায়?
বিভিন্ন জায়গায় সুফি মহল ও দরগায়।৭৩. শাহজালাল ও শাহ পরানের জীবন থেকে কী শিক্ষা নেওয়া যায়?
সাদাসিধে জীবন, ধৈর্য ও দায়িত্ববোধ।৭৪. তাঁদের করামাত কি ঐতিহাসিক সত্য?
অনেকই বিশ্বাসযোগ্য, তবে কিছু লোককাহিনী।৭৫. দরগা ভ্রমণের মাধ্যমে কি আল্লাহর নিকট যায়?
না, আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইবাদত হয় না।
৭৬. তাঁদের নামে ছেলে-মেয়ের নাম রাখা যায়?
হ্যাঁ, সাধারণ ব্যাপার।৭৭. তাঁরা কি শুধু সিলেটেই ছিলেন?
না, বাংলার অন্যান্য জায়গায়ও।৭৮. তাঁদের দরগায় কি নতুন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়?
কিছু দরগায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা আছে।৭৯. শাহজালালের অনুসারীদের প্রভাব কী ছিল রাজনীতিতে?
সরাসরি কম, কিন্তু নৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব বড়।৮০. তাঁদের জীবন আজকের তরুণদের জন্য উদাহরণ?
অবশ্যই, বিশেষ করে আত্মত্যাগ ও মানবতা।
৮১. শাহ পরানের জীবনী কি পাওয়া যায়?
কিছু পুরানো গ্রন্থে তথ্য আছে।৮২. তাঁরা কি সন্ন্যাসী ছিলেন?
হ্যাঁ, অনেকেই নির্জনতা পছন্দ করতেন।৮৩. তাঁদের জীবন নিয়ে কোন চলচ্চিত্র বা নাটক হয়েছে?
কিছু লোকজ নাটকে দেখা যায়।৮৪. তাঁদের কবরস্থান কোথায়?
সিলেটের বিভিন্ন দরগায়।৮৫. তাঁরা কি আদর্শ মানবিক জীবন যাপন করেছিলেন?
হ্যাঁ, তাদের জীবন ছিল পরিপূর্ণ নৈতিকতা ও ভক্তিতে।
৮৬. তাঁরা কি মানুষের পাপ মুছতে পারতেন?
না, শুধুমাত্র আল্লাহ ক্ষমা দেন।৮৭. তাঁরা কি ইসলামের অন্যতম সেরা ব্যক্তিত্ব?
বাংলায় অবশ্যই অন্যতম শ্রেষ্ঠ।৮৮. তাঁদের জীবন কি ইতিহাসের অংশ?
পুরোপুরি।৮৯. তাঁদের অনুসরণ কি ইসলামিক জীবন যাপনের অংশ?
সাধু-সৎ ও ধার্মিক জীবন অনুসরণ।৯০. তাঁদের জীবনের সেরা শিক্ষা কি?
ভালোবাসা, দয়া ও ঈমান।
৯১. তাঁদের উপাসনা কেমন ছিল?
নিয়মিত নামাজ, ধ্যান ও জিকির।৯২. তাঁরা কি সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিলেন?
হ্যাঁ, সবাইকে তারা গ্রহণ করতেন।৯৩. তাঁদের জীবন থেকে নতুন প্রজন্ম কী শিখবে?
ঐক্য, মানবিকতা ও পরিশ্রম।৯৪. তাঁরা কি মানবিক সমাজ গড়ার জন্য কাজ করেছিলেন?
হ্যাঁ, সহমর্মিতা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায়।৯৫. তাঁরা কি কুরআন ও হাদিস অনুসরণ করতেন?
অবশ্যই।
৯৬. তাঁদের জীবনের গল্প কি শিশুদের জন্য উপযোগী?
হ্যাঁ, শিক্ষণীয় ও অনুপ্রেরণামূলক।৯৭. তাঁদের স্মৃতিতে কি বই লেখা হয়েছে?
হ্যাঁ, অনেক গ্রন্থ রচিত হয়েছে।৯৮. তাঁরা কি শুধুমাত্র ধর্মীয় নেতা ছিলেন?
না, সমাজ সংস্কারকও ছিলেন।৯৯. তাঁদের নাম আজকের দিনে কেন এত গুরুত্ব পায়?
ঐতিহ্য ও আধ্যাত্মিকতার জন্য।১০০. তাঁদের জীবন কি সত্যিই মানবতার জন্য প্রেরণা?
নিশ্চয়ই, তারা জীবনের আদর্শ স্থাপন করেছেন।