০২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

আকিকার সুন্নাহ পদ্ধতি, ফজিলত ও গুরুত্ব – ইসলামিক দৃষ্টিকোণ

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময়ঃ ১১:৫০:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
  • / ৩৭ বার পড়া হয়েছে।

আকিকা শব্দটি এসেছে “আক্” মূল শব্দ থেকে যার অর্থ কাটার মাধ্যমে আলাদা করা। ইসলামে নবজাতকের জন্ম উপলক্ষে যে পশু জবাই করা হয়, তাকেই বলা হয় “আকিকা”। এটি একটি সুন্নাত ইবাদত, যা নবী করিম (সা.) নিজেও পালন করেছেন এবং তাঁর উম্মতকে তা করতে উৎসাহিত করেছেন।

এই প্রবন্ধে আমরা আকিকার সুন্নাহ পদ্ধতি, এর ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করবো সহিহ হাদীস ও ইসলামী স্কলারদের বক্তব্যের আলোকে।


আকিকার সংজ্ঞা

আকিকা হলো সন্তানের জন্ম উপলক্ষে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়, সন্তানকে শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা ও সামাজিকভাবে আনন্দ উদযাপন করার একটি ইবাদত।

ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন – “রসুলুল্লাহ (সা.) হাসান ও হুসাইনের আকিকা করেছেন, এবং তিনি বলেন, ‘প্রতিটি শিশুর জন্য আকিকা আছে; তার পক্ষ থেকে রক্ত ঢালো এবং তার নাম রাখো।’”
— (সুনান আবু দাউদ: ২৮৩৮)


আকিকার সুন্নাহ পদ্ধতি

১. সময় নির্ধারণ

  • সপ্তম দিনেই আকিকা করা উত্তম।

হাদীস: “সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে আকিকা করবে, নাম রাখবে এবং মাথা মুন্ডন করবে।”
— (তিরমিযী: ১৫২২)

  • কেউ যদি সপ্তম দিনে না করতে পারে, তাহলে ১৪ বা ২১তম দিনেও করতে পারে।

২. পশু জবাই

  • পুত্রের জন্য দুটি ছাগল বা ভেড়া
  • কন্যার জন্য একটি ছাগল বা ভেড়া

“ছেলের জন্য দুটি ছাগল এবং মেয়ের জন্য একটি ছাগল আকিকা করতে বলা হয়েছে।”
— (সুনান আন-নাসায়ী: ৪২১১)

💡 নোট: গরু বা উট দিয়েও আকিকা করা যায়, তবে একটি গরুতে ৭ জনের আকিকা করা যাবে না। আকিকায় একটি ছাগল/ভেড়া সর্বোত্তম।

৩. মাথা মুন্ডন করা

  • সন্তানের মাথার চুল মুন্ডন করে তা ওজন করে রূপা দান করা সুন্নাহ।

“নবী (সা.) হযরত হাসান (রাঃ) এর চুল মুন্ডন করেন এবং রূপা সমপরিমাণ সদকা করেন।”
— (বায়হাকী: ৯/৩০৪)

৪. নাম রাখা

সপ্তম দিনে সন্তানের নাম রাখা সুন্নাহ। নাম যেন সুন্দর ও অর্থবহ হয়, এটি গুরুত্বপূর্ণ।

“তোমরা তোমাদের সন্তানদের সুন্দর নাম দাও।”
— (মুসনাদে আহমাদ: ১৯৭৭৪)


আকিকার ফজিলত ও উপকারিতা

১. সন্তানের জন্য শয়তান থেকে নিরাপত্তা

“প্রতিটি শিশু তার আকিকার মাধ্যমে বাঁধা থাকে। সপ্তম দিনে আকিকা করলে সে এই বাঁধন থেকে মুক্ত হয়।”
— (তিরমিযী: ১৫২২)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়, আকিকার মাধ্যমে শিশু শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে এবং তার জন্য রহমতের দরজা খুলে যায়।


২. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

আকিকার মাধ্যমে পিতা-মাতা নবজাতকের জন্য আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এটি ইবাদতের একটি রূপ।


৩. সামাজিক ও আত্মীয়তার বন্ধন সুদৃঢ় করা

আকিকার গোশত আত্মীয়স্বজন, গরীব-দুঃখী এবং প্রতিবেশীদের মাঝে বিলিয়ে দিলে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হয় এবং দান ও খরচের মাধ্যমে মানুষের প্রতি দয়া প্রকাশ পায়।


৪. নবী করিম (সা.)-এর সুন্নাহ পালন

আকিকা একটি প্রমাণিত সুন্নাহ। যে এটি পালন করে, সে নবীর আদর্শকে অনুসরণ করে, যা অগণিত সওয়াবের কারণ।


এটি না করলে কি গুনাহ হবে?

আকিকা ওয়াজিব নয়, বরং মুস্তাহাব বা সুন্নাতে মুআক্কাদা। কেউ না করলে গুনাহ হবে না, তবে বঞ্চিত হবে এক বড় সুন্নাহর সাওয়াব থেকে।


কেউ যদি বড় হয়ে নিজের আকিকা না পায় – তাহলে?

কেউ যদি বড় হয়ে জানতে পারে তার পিতা-মাতা আকিকা করেননি, তাহলে সে চাইলে নিজের পক্ষ থেকে আকিকা করতে পারে। এটি জায়েয।

একাধিক সালাফ ও ইমাম আহমদ (রহ.) এ বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন।


আকিকার গোশত কিভাবে বণ্টন করবেন?

  • গরীবদের মাঝে বিলানো উত্তম।
  • আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের দেওয়া যেতে পারে।
  • পরিবারে খাওয়া জায়েয।
  • গোশত রান্না করে খাওয়ানো বা কাঁচা দেওয়া – উভয়ই করা যায়।

❌ আকিকার গোশতের হাড্ডি ভাঙা মাকরুহ বলে বিবেচিত কিছু ওলামার মতে। কিন্তু এটি নির্ভর করে মতভেদে।


আকিকা ও কুরবানীর পার্থক্য

বিষয় আকিকা কুরবানি
উদ্দেশ্য সন্তান জন্মে শুকরিয়া যিলহজ মাসে আল্লাহর সন্তুষ্টি
সময় জন্মের পর ৭ম দিন যিলহজ ১০–১২ তারিখ
পশু ছেলে: ২টি, মেয়ে: ১টি গরু, ছাগল, উট
বাধ্যতামূলক সুন্নাহ সামর্থবানদের জন্য ওয়াজিব

আকিকা কি কেবল ছেলেদের জন্য?

না, কন্যাসন্তানের জন্যও আকিকা সুন্নাহ। যদিও ছেলের জন্য ২টি এবং মেয়ের জন্য ১টি নির্ধারিত হয়েছে, তবু কন্যার জন্য আকিকা না করা ইসলামী শিক্ষার পরিপন্থী।


সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য আকিকার প্রভাব

আকিকা শিশুর জীবনে:

  • শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা
  • রোগবালাই থেকে হেফাজত
  • বরকতপূর্ণ জীবন লাভের মাধ্যম

হিসেবে কাজ করে।


আকিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ যা নবজাতকের জন্মের পর আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং সন্তানের নিরাপত্তা ও সামাজিক বন্ধন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পালন করা হয়। এটি পিতা-মাতার দায়িত্ব এবং ইসলামী সংস্কৃতির একটি অনন্য দিক। একে অবহেলা না করে যথাসময়ে এবং সুন্নাহ অনুযায়ী পালন করা উচিত।


FAQs – আকিকা নিয়ে সাধারণ প্রশ্ন

১. পিতা-মাতার সামর্থ্য না থাকলে আকিকা করতেই হবে?
না, আকিকা মুস্তাহাব। সামর্থ্য না থাকলে না করলেও গুনাহ হবে না।

২. কি বয়সে আকিকা করা উচিত?
সপ্তম দিন উত্তম, তবে পরে করাও জায়েয।

৩. একাধিক সন্তানের আকিকা একসাথে করা যাবে কি?
হ্যাঁ, একদিনে একাধিক সন্তানের আকিকা করা বৈধ।

৪. নিজে বড় হয়ে নিজের আকিকা করা যাবে কি?
জায়েয আছে; অনেক ইমাম ও ওলামা এটি সমর্থন করেছেন।

৫. আকিকার গোশত নিজেরা খেতে পারবো?
হ্যাঁ, পরিবারে খাওয়া জায়েয এবং সুন্নাহ।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আকিকার সুন্নাহ পদ্ধতি, ফজিলত ও গুরুত্ব – ইসলামিক দৃষ্টিকোণ

আপডেট সময়ঃ ১১:৫০:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

আকিকা শব্দটি এসেছে “আক্” মূল শব্দ থেকে যার অর্থ কাটার মাধ্যমে আলাদা করা। ইসলামে নবজাতকের জন্ম উপলক্ষে যে পশু জবাই করা হয়, তাকেই বলা হয় “আকিকা”। এটি একটি সুন্নাত ইবাদত, যা নবী করিম (সা.) নিজেও পালন করেছেন এবং তাঁর উম্মতকে তা করতে উৎসাহিত করেছেন।

এই প্রবন্ধে আমরা আকিকার সুন্নাহ পদ্ধতি, এর ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করবো সহিহ হাদীস ও ইসলামী স্কলারদের বক্তব্যের আলোকে।


আকিকার সংজ্ঞা

আকিকা হলো সন্তানের জন্ম উপলক্ষে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়, সন্তানকে শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা ও সামাজিকভাবে আনন্দ উদযাপন করার একটি ইবাদত।

ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন – “রসুলুল্লাহ (সা.) হাসান ও হুসাইনের আকিকা করেছেন, এবং তিনি বলেন, ‘প্রতিটি শিশুর জন্য আকিকা আছে; তার পক্ষ থেকে রক্ত ঢালো এবং তার নাম রাখো।’”
— (সুনান আবু দাউদ: ২৮৩৮)


আকিকার সুন্নাহ পদ্ধতি

১. সময় নির্ধারণ

  • সপ্তম দিনেই আকিকা করা উত্তম।

হাদীস: “সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে আকিকা করবে, নাম রাখবে এবং মাথা মুন্ডন করবে।”
— (তিরমিযী: ১৫২২)

  • কেউ যদি সপ্তম দিনে না করতে পারে, তাহলে ১৪ বা ২১তম দিনেও করতে পারে।

২. পশু জবাই

  • পুত্রের জন্য দুটি ছাগল বা ভেড়া
  • কন্যার জন্য একটি ছাগল বা ভেড়া

“ছেলের জন্য দুটি ছাগল এবং মেয়ের জন্য একটি ছাগল আকিকা করতে বলা হয়েছে।”
— (সুনান আন-নাসায়ী: ৪২১১)

💡 নোট: গরু বা উট দিয়েও আকিকা করা যায়, তবে একটি গরুতে ৭ জনের আকিকা করা যাবে না। আকিকায় একটি ছাগল/ভেড়া সর্বোত্তম।

৩. মাথা মুন্ডন করা

  • সন্তানের মাথার চুল মুন্ডন করে তা ওজন করে রূপা দান করা সুন্নাহ।

“নবী (সা.) হযরত হাসান (রাঃ) এর চুল মুন্ডন করেন এবং রূপা সমপরিমাণ সদকা করেন।”
— (বায়হাকী: ৯/৩০৪)

৪. নাম রাখা

সপ্তম দিনে সন্তানের নাম রাখা সুন্নাহ। নাম যেন সুন্দর ও অর্থবহ হয়, এটি গুরুত্বপূর্ণ।

“তোমরা তোমাদের সন্তানদের সুন্দর নাম দাও।”
— (মুসনাদে আহমাদ: ১৯৭৭৪)


আকিকার ফজিলত ও উপকারিতা

১. সন্তানের জন্য শয়তান থেকে নিরাপত্তা

“প্রতিটি শিশু তার আকিকার মাধ্যমে বাঁধা থাকে। সপ্তম দিনে আকিকা করলে সে এই বাঁধন থেকে মুক্ত হয়।”
— (তিরমিযী: ১৫২২)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়, আকিকার মাধ্যমে শিশু শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে এবং তার জন্য রহমতের দরজা খুলে যায়।


২. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

আকিকার মাধ্যমে পিতা-মাতা নবজাতকের জন্য আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এটি ইবাদতের একটি রূপ।


৩. সামাজিক ও আত্মীয়তার বন্ধন সুদৃঢ় করা

আকিকার গোশত আত্মীয়স্বজন, গরীব-দুঃখী এবং প্রতিবেশীদের মাঝে বিলিয়ে দিলে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হয় এবং দান ও খরচের মাধ্যমে মানুষের প্রতি দয়া প্রকাশ পায়।


৪. নবী করিম (সা.)-এর সুন্নাহ পালন

আকিকা একটি প্রমাণিত সুন্নাহ। যে এটি পালন করে, সে নবীর আদর্শকে অনুসরণ করে, যা অগণিত সওয়াবের কারণ।


এটি না করলে কি গুনাহ হবে?

আকিকা ওয়াজিব নয়, বরং মুস্তাহাব বা সুন্নাতে মুআক্কাদা। কেউ না করলে গুনাহ হবে না, তবে বঞ্চিত হবে এক বড় সুন্নাহর সাওয়াব থেকে।


কেউ যদি বড় হয়ে নিজের আকিকা না পায় – তাহলে?

কেউ যদি বড় হয়ে জানতে পারে তার পিতা-মাতা আকিকা করেননি, তাহলে সে চাইলে নিজের পক্ষ থেকে আকিকা করতে পারে। এটি জায়েয।

একাধিক সালাফ ও ইমাম আহমদ (রহ.) এ বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন।


আকিকার গোশত কিভাবে বণ্টন করবেন?

  • গরীবদের মাঝে বিলানো উত্তম।
  • আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের দেওয়া যেতে পারে।
  • পরিবারে খাওয়া জায়েয।
  • গোশত রান্না করে খাওয়ানো বা কাঁচা দেওয়া – উভয়ই করা যায়।

❌ আকিকার গোশতের হাড্ডি ভাঙা মাকরুহ বলে বিবেচিত কিছু ওলামার মতে। কিন্তু এটি নির্ভর করে মতভেদে।


আকিকা ও কুরবানীর পার্থক্য

বিষয় আকিকা কুরবানি
উদ্দেশ্য সন্তান জন্মে শুকরিয়া যিলহজ মাসে আল্লাহর সন্তুষ্টি
সময় জন্মের পর ৭ম দিন যিলহজ ১০–১২ তারিখ
পশু ছেলে: ২টি, মেয়ে: ১টি গরু, ছাগল, উট
বাধ্যতামূলক সুন্নাহ সামর্থবানদের জন্য ওয়াজিব

আকিকা কি কেবল ছেলেদের জন্য?

না, কন্যাসন্তানের জন্যও আকিকা সুন্নাহ। যদিও ছেলের জন্য ২টি এবং মেয়ের জন্য ১টি নির্ধারিত হয়েছে, তবু কন্যার জন্য আকিকা না করা ইসলামী শিক্ষার পরিপন্থী।


সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য আকিকার প্রভাব

আকিকা শিশুর জীবনে:

  • শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা
  • রোগবালাই থেকে হেফাজত
  • বরকতপূর্ণ জীবন লাভের মাধ্যম

হিসেবে কাজ করে।


আকিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ যা নবজাতকের জন্মের পর আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং সন্তানের নিরাপত্তা ও সামাজিক বন্ধন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পালন করা হয়। এটি পিতা-মাতার দায়িত্ব এবং ইসলামী সংস্কৃতির একটি অনন্য দিক। একে অবহেলা না করে যথাসময়ে এবং সুন্নাহ অনুযায়ী পালন করা উচিত।


FAQs – আকিকা নিয়ে সাধারণ প্রশ্ন

১. পিতা-মাতার সামর্থ্য না থাকলে আকিকা করতেই হবে?
না, আকিকা মুস্তাহাব। সামর্থ্য না থাকলে না করলেও গুনাহ হবে না।

২. কি বয়সে আকিকা করা উচিত?
সপ্তম দিন উত্তম, তবে পরে করাও জায়েয।

৩. একাধিক সন্তানের আকিকা একসাথে করা যাবে কি?
হ্যাঁ, একদিনে একাধিক সন্তানের আকিকা করা বৈধ।

৪. নিজে বড় হয়ে নিজের আকিকা করা যাবে কি?
জায়েয আছে; অনেক ইমাম ও ওলামা এটি সমর্থন করেছেন।

৫. আকিকার গোশত নিজেরা খেতে পারবো?
হ্যাঁ, পরিবারে খাওয়া জায়েয এবং সুন্নাহ।