ইসলামে স্বাস্থ্য সচেতনতার গুরুত্ব (তথ্যচিত্রধর্মী আলোচনা)
ইসলামে স্বাস্থ্য সচেতনতার গুরুত্ব (তথ্যচিত্রধর্মী আলোচনা)
- আপডেট সময়ঃ ০২:২৭:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
- / ৬০ বার পড়া হয়েছে।
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা, যেখানে মানব জীবনের প্রতিটি দিকের দিকনির্দেশনা রয়েছে—
আধ্যাত্মিকতা থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনযাপন, এমনকি স্বাস্থ্যের বিষয়েও।
কোরআন ও হাদিসে স্বাস্থ্য রক্ষার গুরুত্ব অসংখ্যবার উল্লেখ করা হয়েছে, যা প্রমাণ করে ইসলাম শুধুই একটি ধর্ম নয়, বরং মানবতার জন্য একটি জীবনব্যবস্থা।
স্বাস্থ্য সংরক্ষণ: ইসলামের মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি
আল্লাহ তাআলা কোরআনে ইরশাদ করেন:“وَكُلُوا وَاشْرَبُوا وَلَا تُسْرِفُوا ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ”
“তোমরা খাও এবং পান কর, কিন্তু অপচয় করো না। নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।“— [সূরা আল-আ’রাফ: ৩১]
এই আয়াত ইসলামের খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যরক্ষার মূলনীতির উপর আলোকপাত করে।
স্বাস্থ্য সচেতনতায় পরিমিত আহার, পরিশ্রম ও বিশ্রামের সঠিক ভারসাম্য অপরিহার্য, যা কোরআনের এই বাণীতে প্রতিফলিত।
রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর স্বাস্থ্যবিষয়ক সুন্নাহ
হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন এক অনন্য স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিত্ব। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে যেমন স্বাস্থ্যবান ছিলেন, তেমনি তাঁর উম্মতকেও স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন:“المؤمن القوي خير وأحب إلى الله من المؤمن الضعيف”
“শক্তিশালী মু’মিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মু’মিন অপেক্ষা উত্তম ও প্রিয়।”— (সহীহ মুসলিম: ২৬৬৪)
এই হাদিস শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার প্রতি ইসলামের গুরুত্বের প্রমাণ।
পরিচ্ছন্নতা—স্বাস্থ্য রক্ষার মূল ভিত্তি
ইসলামে পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ওজু করা, নিয়মিত গোসল, দাঁত পরিষ্কার, নখ কাটা, শরীরের ঘাম ও দুর্গন্ধ দূর করা এসবই ইসলামি স্বাস্থ্যবিধির অংশ।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:“الطُّهُورُ شَطْرُ الْإِيمَانِ”
“পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অর্ধাংশ।”— (সহীহ মুসলিম: ২২৩)
রোগ প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাস ও সুন্নাহ চিকিৎসা
নবী ﷺ-র সুন্নাহ অনুযায়ী তিনি খেজুর, মধু, কালোজিরা, শীতল পানি ইত্যাদি ব্যবহার করতেন যা আজকের বিজ্ঞানের গবেষণায়ও স্বাস্থ্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন:“عليكم بهذه الحبة السوداء، فإن فيها شفاء من كل داء إلا السام”
“তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করো। এতে সব রোগের জন্য রয়েছে শিফা, মৃত্যু ব্যতীত।”— (সহীহ বুখারি: ৫৬৮৮)
ইসলাম কেবল আত্মিক শুদ্ধি নয়, বরং দেহ-মনের সুস্থতাকেও গুরুত্ব দেয়।
এক পরিপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতা ইসলামের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
মুসলমান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব, নিজের স্বাস্থ্য রক্ষা করা এবং সুন্নাহ অনুসরণ করে জীবন গঠন করা।









